ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হল বাংলাদেশের সরকারী পলিটেকনিক সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি অভুতপূর্ব সুনাম অর্জন করেছে। ফলস্বরূপ ফেনী জেলার বাইরে থেকে ও ছাত্র ছাত্রীরা এখানে এসে পড়াশোনা করে। মনোরোম পরিবেশে, ফেনীর প্রানকেন্দ্রে গড়ে উঠা এ প্রতিষ্ঠানটি সাফল্যের চরম শিখরে উঠে সারা বাংলাদেশে নাম করে নিয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ফেনী পলিটেকনিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানবোঃ
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইতিহাস
ফেনী শহর হতে উত্তর-পূর্ব দিকে (সদর হাসপাতাল হতে আধা কিলোমিটার পূর্ব দিকে) পুরাতন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এর উত্তর পার্শ্বে ফেনী পৌরসভাধীন ফলেশ্বর মৌজায় ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অবস্থিত।
কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ সৃস্টির লক্ষে ১৯৬৪ সালের ২৯ শে ফেব্রুয়ারি সিভিল ও মেকানিক্যাল টেকনোলজি দিয়ে ফেনী টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৯৭২ সালে পাওয়ার টেকনোলজি চালুর মাধ্যমে ফেনী টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ রূপান্তরিত হয়। ১৯৭৮ সালে ইলেকট্রিক্যাল, ২০০২ সালে কম্পিউটার এবং ২০০৬ সালে এআইডিটি টেকনোলজি চালুর মাধ্যমে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বর্তমান রূপ ধারণ করে।
এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনা করে থাকে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর আওতাধীন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর অধীনে প্রশাসনিক ও ভর্তি কার্যক্রম এবং সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ ও সনদ প্রদান কার্যক্রম বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।
একটি দোতলা প্রশাসনিক ভবন, একটি তিন তলা একাডেমিক ভবন, প্রায় ২০ টি ওয়ার্কশপ, তিনটি আবাসিক হল, একটি ৬০০ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম, একটি পুকুর, একটি মসজিদ, একাধিক খেলার মাঠ, অধ্যক্ষের বাংলো, শিক্ষক ও কর্মচারীদের একাধিক আবাসিক ভবন সহ অসংখ্য ফলজ, বনজ ও ভেষজ গাছ-গাছালীতে পরিপূর্ণ নয়নাভিরাম দৃশ্যের সৌন্দর্যমন্ডিত একটি ক্যাম্পাস। বর্তমানে সুশৃঙ্খলভাবে দুইটি রোভার ও একটি গার্লস-ইন-রোভার স্কাউট ইউনিট এর কার্যক্রম চলছে।
ভিশন ও মিশন
ভিশন
যুগোপযোগী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, শিল্পের বিকাশ এবং জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
মিশন
মান সম্পন্ন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং, এনটিভিকিউএফ (NTVQF) প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
পরিচালনা পর্ষদ
মন্ত্রণালয় ও বিভাগঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের “শিক্ষা মন্ত্রণালয়” এর “কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ” এর অধিনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসনিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর” ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -এর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
একাডেমিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” এফপিআই এর একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সুযোগ -সুবিধা
এটি একটি স্কিলস কম্পিটিশন বেজড ইনস্টিটিউট। রেগুলার আয়োজন করা হয় জব ফেয়ারের। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্নরূপে একটি দূর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান। এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। রয়েছে একটি অভিযোগ বাক্স, ইন্ডাস্ট্রি-ইনস্টিটিউট সমঝোতা স্বাক্ষর, ডাটাবেজ স্টোর। এছাড়াও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, সততা স্টোর, ইনোভেশন ও অনলাইনে ভর্তির সুযোগ। এখানে শ্রেণীকক্ষে রয়েছে মাল্টিমিডিয়াসহ আধুনিক শিক্ষা উপকরণ, ওয়াই-ফাই ক্যাম্পাস, জব প্লেসমেন্ট সেলের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে সহায়তা, সিসি ক্যামেরা দ্বারা ক্লাস মনিটরিং এবং সু-শৃঙ্খল রোভার স্কাউট ইউনিট।
লাইব্রেরি
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর লাইব্রেরি শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। লাইব্রেরিতে প্রযুক্তিগত এবং সাধারণ বই, জার্নাল, ম্যাগাজিন এবং অন্যান্য রিসোর্স পাওয়া যায়। লাইব্রেরিটি নিয়মিতভাবে নতুন বই এবং জার্নাল দিয়ে আপডেট করা হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা সর্বশেষ তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারে। এছাড়াও, এখানে ই-লাইব্রেরির সুবিধাও রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের অনলাইন রিসোর্স এবং ডেটাবেসে প্রবেশ করতে সহায়তা করে।
ক্লাবসমূহ
- ডিভেটিং ক্লাব
- সাইন্স ক্লাব
- কম্পিউটার ক্লাব
- রক্তদান ক্লাব
- সাংস্কৃতিক ক্লাব
মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চাসহ বিভিন্ন খেলাধুলা পরিচালনা করার জন্য রয়েছে একটি মাঠ বা স্টেডিয়াম। উক্ত মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন সহ বিভিন্ন আউটডোর খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ বা স্টেডিয়ামে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা সহ একটি প্যাভিলিয়ন রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য।
ক্যান্টিন
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্যান্টিন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়, যা ছাত্রদের মাঝে পুষ্টির চাহিদা মেটায়। ক্যান্টিনের পরিবেশও খুবই উপভোগ্য; বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা। এখানে স্ন্যাকস, পানীয়, এবং দুপুরের খাবারসহ বিভিন্ন পদ পাওয়া যায়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগের একটি কেন্দ্র হিসেবে ক্যান্টিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত খাবার সরবরাহের মাধ্যমে এটি তাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
মসজিদ
বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়ায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটেও একটি মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদটি শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় প্রয়োজনে সমর্থন করে, যেখানে তারা নিয়মিত নামাজ পড়তে পারেন এবং ইসলামী মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে আধ্যাত্মিক উন্নয়নের সুযোগ পান। মসজিদের পরিবেশ শান্ত ও পূণ্যতম, যা শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তি দেয়। বিশেষ করে জুমার দিনে এখানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়, যা সম্প্রদায়ের ঐক্য এবং একতাবদ্ধতা বাড়ায়।
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
পদের নাম | কর্মরত শিক্ষক |
অধ্যক্ষ | ০১ |
উপাধ্যক্ষ | ০১ |
চিফ ইনস্ট্রাক্টর | ০৬ |
ইনস্ট্রাক্টর | ১১ |
ওয়ার্কশপ সুপার | ০২ |
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর | ০৭ |
ফিজিক্যাল এডুকেশন ইনস্ট্রাক্টর | ০১ |
সর্বমোট | ২৯ |
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক কার্যক্রম
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ডিপ্লোমা কোর্সসমূহ
বিভাগ | শিফট | আসন সংখ্যা |
আর্কিটেকচার | ১ম ও ২য় শিফট | ১০০ |
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি | ১ম ও ২য় শিফট | ২০০ |
সিভিল | ১ম ও ২য় শিফট | ২০০ |
ইলেকট্রিক্যাল | ১ম ও ২য় শিফট | ২০০ |
মেকানিক্যাল | ১ম ও ২য় শিফট | ২০০ |
পাওয়ার | ১ম ও ২য় শিফট | ১০০ |
বিভাগসমূহের পরিচিতি
সিভিল
পৃথিবীর প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে গেলে যে বিষয়টি মানুষের মাথায় খেলা করে তা হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরকৌশল। একজন সাধারণ মানুষ ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকেই কল্পনা করে থাকেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সভ্যতার শুরু থেকেই বিস্তার লাভ করে আসছে। বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ছোঁয়া লাগেনি। সবচেয়ে পুরাতন, বড় এবং সকল প্রকৌশল জ্ঞানের সমন্বয় এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ।
সুউচ্চ ভবন, হাইওয়ে, ব্রীজ, পানি প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ইত্যাদি পরিকল্পনা, ডিজাইন, গঠন এবং রক্ষণাবেক্ষন করার কাজ করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জরিপের কাজ করে থাকে, প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন দেয়, এমনকি প্রকল্প ব্যবস্থাপক এর কাজও করে থাকে। শুধুমাত্র দেশে নয়, দেশের বাহিরেও রয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অধিক চাহিদা। আমেরিকার ৬ নম্বর সেরা চাকুরি হল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। আমেরিকাতে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের বাৎসরিক বেতন নুন্যতম ৮০,০০০ ডলার থেকে ১২০,০০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ব বাড়ছে। বর্তমানে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কাজ করে। তারা আগুনে ক্ষয় ক্ষতি যেন কম হয় সেই বিষয়েও কাজ করে। পুরাতন মিশর এর পিরামিড বা রাস্তা নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর ভূমিকা উল্ল্যেখযোগ্য অবদান ছিল। পানি, বাতাস এবং মাটি পরিশোধনের বিভিন্ন উপায় নিয়েও তারা সজাগ।
যেহেতু সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ান এর পরিসর বাড়ছে তাই এর অনেক শাখা বের হয়েছে। এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হল-
- মৃত্তিকা প্রকৌশল
- স্ট্রাকচারাল প্রকৌশল
- পরিবহন প্রকৌশল
- পানি সম্পদ প্রকৌশল
- পরিবেশ প্রকৌশল
- কনস্ট্রাকশন প্রকৌশল
- সার্ভেয়িং প্রকৌশল
- এনভায়রনমেন্টাল প্রকৌশল
কর্মক্ষেত্র:
- সড়ক ও জনপদ
- গণপূর্ত বিভাগ
- রিয়েল এস্টেট কোম্পানি
- নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
- পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ইত্যাদি।
ইলেকট্রিক্যাল
এটি হল একটি পেশাদার প্রকৌশল বিষয়ক শাখা যা সাধারণত বিদ্যুৎ, ইলেকট্রনিক্স এবং ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিজমের গবেষণা এবং প্রয়োগ সম্পর্কিত। এই ক্ষেত্রটি প্রথম ইলেক্ট্রিক টেলিগ্রাফ, টেলিফোনের বাণিজ্যিকীকরণ এবং হপক্ট্রিক পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহার করার পর ১৯ শতকের শেষার্ধে একটি শনাক্ত যোগ্য পেশা হিসেবে চিহ্নিত হয়। আধুনিক সভ্যতার বা বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষতার মূল চাবিকাঠি বিদ্যুৎ। একবার শুধু চিন্তা করলেই বোঝা যায় কোথায় এর ব্যবহার নেই, শুধু তাইনা বিদ্যুৎ ছাড়া চলেইনা আমাদের। পৃথিবীর এই বিস্ময়কর উন্নয়ন কেবলই এই বিদ্যুৎশক্তির কল্যাণেই সম্ভব হয়েছে, আর আমাদের পড়ালেখা ও সেই বিদ্যুৎ বা তড়িৎ প্রকৌশল নিয়ে।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এখন ইলেকট্রনিক্স, ডিজিটাল কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রকৌশল, পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, টেলিকমিউনিকেশন, কন্ট্রোল সিস্টেম, রোবোটিক্স, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যাল প্রসেসিং, ইন্সট্রুমেন্টেশন এবং মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন উপ-ক্ষেত্রগুলিতে বিভক্ত।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ
কন্ট্রোলিং, এস্টিমেটিং, প্ল্যানিং, প্রোডাকশন, রিপেয়ারিং এন্ড মেন্টেনেন্স, গবেষণা, সুপারভাইজিং। বাহিনী/প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে, হাসপাতাল, বাংলাদেশের বিমানবন্দর, নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ, পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র, বেপজা, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কর্মক্ষেত্র
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা পাস করা শিক্ষার্থীরা সাধারণত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাব-অ্যাসিস্টান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকুরির সুযোগ পায়। ইহা ছাড়া দেশের বাইরেও দক্ষ প্রকৌশলী হিসাবে রয়েছে চাকুররি অনন্য সুযোগ। বাংলাদেশে চাকুরী ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াসা, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সোলার এনার্জি প্রজেক্ট, মিল ও কলকারখানা, অপারেশন অ্যান্ড সার্কিট কোম্পানিস, মোবাইল কোম্পানিস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম তৈরির প্রতিষ্ঠান, টেলিযোগাযোগ এবং অপটিক্যাল ফাইবার শিল্প, ন্যাভিগেশনাল সরঞ্জাম উৎপাদন শিল্প, এরোস্পেস উৎপাদন শিল্প, অটোমোবাইল শিল্প, স্থাপত্য ও নির্মাণ সাম সংস্থা, প্রকৌশল সেবা, সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ, সশস্ত্র বিভাগ।
মেকানিক্যাল
এটি হলো পৃথিবীর প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং। এটা এমন একটি টেকনোলজি যা বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের সমন্বিত কার্যক্রম। যাতে অতি সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে অতি বৃহৎ যন্ত্রাংশ, ডিভাইস বা মেশিন উৎপাদন করা হয়। এতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারগণ যন্ত্রাংশ বা মেশিনের ডিজাইন থেকে শুরু করে ঐ যন্ত্রাংশ বা মেশিন তৈরির সকল ধাপে কাজ করে থাকেন। এখানে উল্লেখ্য যে, পৃথিবীতে যত টেকনোলজি আছে তাদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত সকল যন্ত্রাংশ বা মেশিনগুলো মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারগণ তৈরি করে থাকেন। তবে এ সমস্ত জিনিসপত্র তৈরি করার জন্য ইঞ্জিনিয়ারগণকে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হয়।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ
মেকানিক্যাল যেহেতু একটি বিস্তৃত এবং বিচিত্র ধরনের টেকনোলজি সেহেতু মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে কোন যন্ত্রাংশ তৈরির পূর্বে এর পরিকল্পনা, ডিজাইন, প্রাক্কলন করতে হয়। ইহা ছাড়া-
- ডিজাইন করা
- মেজারমেন্ট ঠিক মতো নেয়া
- সঠিক মেশিন ও সঠিক মেটারিয়াল নির্বাচন করা
- সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ পূর্বক মালামাল তৈরি করা
- সুপারভিশন করা
- কোয়ালিটি কন্ট্রোল করা
- যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ করা ইত্যাদি।
কর্মক্ষেত্রের পরিধি
সঠিক দক্ষতা অর্জন করতে পারলে দেশে এবং বিদেশে প্রচুর জব রয়েছে। যে সমস্ত জায়গায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের জব রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ক্ষেত্র হলোঃ
- সকল ধরনের কল-কারখানা/শিল্প প্রতিষ্ঠান।
- পিডিবি বা বিদ্যুৎ উৎপাদন সেক্টর।
- সড়ক ও জনপথ বিভাগ
- গণ-পূর্ত বিভাগ
- ওয়াসা
- নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
- অটোমোবাইল সেক্টর
- বন্দর কর্তৃপক্ষ
- রেলওয়ে ইত্যাদি।
পাওয়ার
শব্দটির আভিধানিক অর্থ ক্ষমতা কিন্তু টেকনোলজির ক্ষেত্রে শক্তিকে বুঝানো হয়েছে। এক কথায় পাওয়ার টেকনালোজি মানে শক্তি কৌশল। বর্তমানে এই শক্তিকে নিয়ে প্রযুক্তিগতক থেকে যে টেকনোলজি এর ম্যাধমে কাজ করা হয় তাকে পাওয়ার টেকনালজি বলে। পাওয়ার টেকনালজি এমন একটি টেকনোলজি যা বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই টেকনোলজির সাথে ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স এই টেকনোলাজি গুলোও ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। পাওয়ার টেকনালজিতে প্রযুক্তিগত সকল ধরনের শক্তি যেমন ইলেকট্রিক্যাল, মেক্যানিক্যাল, পাওয়ার, অটোমোবাইল ও স্টিম পাওয়ার, সৌর শক্তি ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করা হয় এবং তা শিখানো হয়।
পাওয়ার টেকনোলজির কর্মক্ষেত্র
প্রযুক্তিগত দিক থেকে একজন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারের বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সুষ্টভাবে পরিচালনার জন্য একজন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । তাই বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাহিরে অর্থাৎ পৃথিবীর যে কোন জাযগায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিচালনার জন্য একজন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার খুবই প্রয়োজন। তাছাড়াও স্টীম চালিত প্ল্যান্ট এ বয়লার অপারেশন এর জন্য একজন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার এর খুবই প্রয়োজন। পাওয়ার টেকনালোজি, মেক্যানিকাল ও ইলেকট্রিক্যাল টেকনালোজির সাথে সম্পর্কযুক্ত বিধায় এই টেকনোলজি হতে পাশ করা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ পাওয়ার ছাড়াও ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল টেকনোলজিতে চাকুরী করতে পারে। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর নিন্মলিখিত প্রধান প্রধান ক্ষেত্র সমূহে পাওয়ার টেকনোলজি হতে পাশ করা প্রকৌশলীগণ কাজ করে থাকে-
- পাওয়ার সেক্টর
- ওয়াটার সেক্টর
- অটোমোবাইল
- রেলওয়ে সহ সকল ধরনের উৎপাদনশীল কারখানা ইত্যাদি।
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
কম্পিউটার এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়; যাকে বলা হয় গ্লোবাল ভিলেজ (Global Village)। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বা ডিজিটালাইজড করতে হলে কম্পিউটার শিক্ষাকে প্রধান নিয়ামক হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে। কম্পিউটারের মাধ্যমে ভূমি থেকে আকাশ জয় করে চলেছে প্রযুক্তিবিদরা। প্রযুক্তি মানে হল নতুন আবিষ্কার (Invention)। যেমন, এ পৃথিবীর স্রষ্টা মানুষকে সে প্রযুক্তির জ্ঞান দিয়েছেন যা পরিচালিত হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রাম দ্বারা। সুতরাং এটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় কম্পিউটার পৃথিবীর বিস্ময়কর আবিষ্কার এবং এর চাহিদা পৃথিবীর সর্বত্র বিরাজমান। তাই এ উক্তি হোক আমাদের আকাংঙ্খা “একটি জানালা একটি দৃশ্য একটি কম্পিউটার সারা বিশ্ব”।
কম্পিউটারের প্রয়োগক্ষেত্র
- শিক্ষাক্ষেত্রে
- গবেষণাক্ষেত্রে
- রোবটিক্স ইত্যাদি।
বাংলাদেশে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের জব চাহিদা ও বাস্তব কর্মক্ষেত্র
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সহকারী প্রোগ্রামার, সিস্টেম এনালিস্ট, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার ও কল সেন্টার সমূহে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। জেনারেল কলেজ সমূহে ICT শিক্ষক (BCS)। ব্যাংক, বীমা, করর্পোরেট অফিস সমূহে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর জব চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন শ্বায়ত্ত্বসাশিত প্রতিষ্ঠান সমূহে উপ-সহকারী প্রকৌশলী, সহকারী প্রোগ্রামার হিসেবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারগণ সেবা প্রদান করছে। যেমন: পাওয়ার গ্রীড কোঃ লিঃ, তিতাস গ্যাস। টেন্ডারিং-এর গতানুগতিক সিস্টেমের পরিবর্তে এখন ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়া খুব নির্ভেজাল বা স্বচ্ছ প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত। যাতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারগণ ওয়েভ ডেভেলপার/প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছে, যা বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল। সর্বোপরি বাংলাদেশের সকল মালিকানাধীন শিল্পকারখানায় উপ-সহকারী প্রকৌশলীগণের অবারিত কর্মের সুযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য যে কম্পিউটার প্রোগ্রামারগণ আউট সোর্চিং এর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। তাই করুণাময়ের দয়ায় আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিত- “কম্পিউটার শিক্ষা ডিজিটাল বাংলাদেশের দীক্ষা, মানসম্মত শিক্ষা নাই চাকুরির নিশ্চয়তা নাই, কম্পিউটার শিক্ষা যার হাতে চাকুরি নিশ্চয়তা তার সাথে”
আর্কিটেকচার
Architecture অর্থ হল স্থাপত্য, আর Architect শব্দের অর্থ হল স্থপতি। অর্থাৎ একজন Architect তার সৃজনশীলতাকে বিভিন্ন নকশা ও ডিজাইনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। আর এই ডিজাইনকে যখন বাস্তব বা কাঠামোগত রূপ প্রদান করা হয় তখন তাকে স্থাপত্য বলে। আমাদের বসবাসরত ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবন, মসজিদ, মন্দির, গির্জা এসব অবকাঠামোই এটির অন্তর্ভুক্ত। আর এসব ভবনের নকশা ডিজাইন করাই হল একজন আর্কিটেক্ট এর কাজ।
Interior Design হল অভ্যন্তরীণ নকশা। একটি ভবনের ভেতরের বিভিন্ন ফার্নিচারের নকশা পরিসর অনুযায়ী সাজিয়ে বা ফুটিয়ে তোলাই হল ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের কাজ, যাহা একজন স্থপতিরই করে থাকে। সহজ কথা স্থাপত্য ছাড়া মানব জীবন অচল। যে দেশ যত বেশি উন্নত সেদেশে Architect এর গুরুত্ব অপরিসীম। স্থাপত্যে নকশা এবং গঠনমূলক আকার, স্থান এবং পরিবেশগত কার্যকরী প্রতিফলন, প্রযুক্তিগত, সামাজিক ও নান্দনিক বিবেচ্য বিষয় পরিকল্পনা বিবেচনায় আনতে হয়। স্থপতি দ্বারা তৈরি ডকুমেন্টেশন, ভবন ও অন্যান্য জিনিসের আচরণ, কাঠামো, চিত্র, পরিকল্পনা ও প্রযুক্তিগত বিবরণকে সংজ্ঞায়িত করে। সে ক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশে Architect দের জন্য রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজির চাকরির ক্ষেত্রসমুহ
- রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)
- সিটি করপোরেশন
- শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
- পৌরসভা
- কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন ইন্সটিটিউট সমূহ
- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
- মৎস্য অধিদপ্তর
- সেনাবাহিনী
- মিলিটারী ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস
- ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম
- ইউনিঙ্গলিটির ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন
- কন্সট্রাকশন ফার্ম
- কনসাল্টেন্সি ফার্ম
- পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানী
- মাইকের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন
উল্লেখ্য যে, প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে কিছু তথ্য একই থাকে। যার প্রদান কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ হয় বলে। তাই নিচের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো একটি মাত্র ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে রাখা হয়েছে যেন, যে কেউ খুব সহজে তথ্যগুলো পেতে পারে এবং একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত পেয়ে যায়। যেমন, শিক্ষা ব্যবস্থা, কোটা পদ্ধতি, বৃত্তি, সরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ, ক্লাসের সময়সূচি, ভর্তির যোগ্যতা, কোর্সের সময়সীমা, গ্রেডিং সিস্টেম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা। তাছাড়া আরও জানতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবিধান দেখুন।
লিমা খাতুন, ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,
<https://abhinoboschool.com/ফেনী-পলিটেকনিক-ইনস্টিটিউট/>
ফেনী পলিটেকনিক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির যোগ্যতা কি?
সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে এসএসসি পরীক্ষায় ছাত্রদের জন্য সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে জিপি ২.০ সহ কমপক্ষে জিপিএ ৩.০ এবং ছাত্রীদের জন্য জিপিএ ২.৫ প্রয়োজন। পূর্ববর্তী পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগ থাকতে হবে। ‘ও’ লেভেলে একটি ‘সি’ ও অন্য দুটি বিষয়ে ‘ডি’ গ্রেড থাকতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর খেলার মাঠ আছে কি?
হ্যাঁ, এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি খেলার মাঠ আছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সুবিধা রয়েছে যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল এবং ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি।