ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং হলো টেক্সটাইল শিল্পের একটি বিশেষায়িত কোর্স, যা কাপড়ের রঙ, নকশা এবং ফিনিশিংয়ের প্রক্রিয়া শেখায়। এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কাপড়ের প্রাথমিক প্রক্রিয়াকরণ, ডাইং, প্রিন্টিং ও ফিনিশিংয়ের বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে। টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে এবং কাজের মান উন্নত করতে এই ডিপ্লোমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Table of Contents

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং শিক্ষাক্রমের নাম ও মেয়াদ

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় পরিচালিত প্রকৌশল ডিপ্লোমা স্তরের ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং শিক্ষাক্রমের নাম হবে ডিপ্লোমা-ইন-ওয়েট প্রসেসিং। এ শিক্ষাক্রমের মেয়াদ হবে ০৪ (চার) বছর, যা ০৮ (আট) টি পর্বে (Semester) বাস্তবায়ন করা হবে। ৮ম পর্বে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানে এবং স্ব স্ব ইনস্টিটিউট/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত হবে। ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং মোট ক্রেডিট থাকবে ১৫০-১৬০ এর মধ্য নির্ধারিত। ক্রেডিট এর ১০-১৫% সোস্যাল স্কিল, ১৫-১৭% সাইন্স ও ম্যাথ, ১০-১২% রিলেটেড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ৫৮-৬০% কোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের জন্য নির্ধারিত থাকবে। বিশেষ ক্ষেত্রে রিলেটেড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ক্রেডিটের শতকরা হার সমন্বয় করা যাবে। বিষয়/বিষয়াংশের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক অংশের শ্রেণীকক্ষের মোট শিখন ঘন্টার অনুপাত হবে ৪০:৬০। তবে ক্ষেত্রবিশেষে ৫% কম বা বেশি হতে পারে। প্রতি পর্বের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সময়কাল হবে ১৬ কার্য সপ্তাহ। প্রতি কার্য সপ্তাহে মোট ৩০-৪০ পিরিয়ড ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। 

ভর্তির যোগ্যতা ও নিয়মাবলি

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং ডিপার্টমেন্ট-এ ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও নিয়মাবলি মেনে চলতে হয়। এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীরা ১ম পর্বে ভর্তি হতে পারে। এছাড়া, এইচএসসি (ভোকেশনাল) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ৪র্থ পর্বে এবং এইচএসসি (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ৩য় পর্বে ভর্তি হতে পারে শূন্য আসনের ভিত্তিতে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশীয় শিক্ষার্থীরাও ইংরেজিতে অধ্যয়ন করতে পারবে। ভর্তির ক্ষেত্রে বোর্ডের নীতিমালা মেনে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। নিচের টেবিলে শিক্ষার্থীদের ভর্তির যোগ্যতা তুলে ধরা হলঃ

সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি
এস.এস.সি/সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ পদ্ধতিতে উত্তীর্ণদের জন্য:
ছাত্র: সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে জিপি ২.০ সহ কমপক্ষে জিপিএ ৩.০।
ছাত্রী: সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে জিপি ২.০ সহ কমপক্ষে জিপিএ ২.৫।

জিপিএ পদ্ধতির পূর্বের এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য:
ছাত্র/ছাত্রী: ন্যূনতম ২য় বিভাগ।

‘ও’ লেভেলে উত্তীর্ণদের জন্য:
ছাত্র/ছাত্রী: একটি বিষয়ে ‘সি’ গ্রেড এবং গণিতসহ অন্য যেকোন দুটি বিষয়ে ন্যূনতম ‘ডি’ গ্রেড থাকতে হবে।
যে কোন শিক্ষা বোর্ড অথবা বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এস.এস.সি/ দাখিল /এস.এস.সি (ভোকেশনাল)/ দাখিল (ভোকেশনাল) / সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কমপক্ষে জিপিএ ২.০ প্রাপ্ত।

অথবা ‘ও’ লেভেল এবং জিপিএ পদ্ধতি চালুর পূর্বে এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় যে কোন সালে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এর একাডেমিক কিছু তথ্য

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং গ্রেডিং পদ্ধতি এবং বিস্তারিত

ওয়েট প্রসেসিং-এ প্রতি পর্বে (Semester) একজন শিক্ষার্থী প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে লেটার গ্রেড এবং তৎপ্রেক্ষিতে গ্রেড পয়েন্ট (GP) অর্জন করবে। প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে লেটার গ্রেড এবং তৎপ্রেক্ষিতে গ্রেড পয়েন্ট নিম্নে ছক আকারে উপস্থাপন করা হলো;

প্রাপ্ত নম্বর লেটার গ্রেড গ্রেড পয়েন্ট (GP)
৮০% বা তদুর্ধ্ব A+ ৮.০০
৭৫% থেকে ৮০% এর নিচে A ৩.৭৫
৭০% থেকে ৭৫% এর নিচে A ৩.৫০
৬৫% থেকে ৭০% এর নিচে B+ ৩.২৫
৬০% থেকে ৬৫% এর নিচে B ৩.০০
৫৫% থেকে ৬০% এর নিচে B ২.৭৫
৫০% থেকে ৫৫% এর নিচে C+ ২.৫০
৪৫% থেকে ৫০% এর নিচে C ২.২৫
৪০% থেকে ৪৫% এর নিচে D ২.০০
৪০% এর নিচে F ০.০০

পর্ব ভিত্তিক GPA এর গুরুত্ব এবং বিস্তারিত

অন্যান্য টেকনোলজির ন্যায় ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এ ও পর্ব ভিত্তিক GPA গুরুত্ব সেমিস্টারভিত্তিক শিক্ষার্থীর মূল্যায়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের GPA এর গুরুত্ব ৫% করে, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্বের GPA ১০% করে এবং ৫ম, ৬ষ্ঠ, এবং ৭ম পর্বের GPA ২০% করে নির্ধারিত থাকে। শেষ ৮ম পর্ব, যেখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং হয়, এর GPA এর গুরুত্ব ১০% থাকে। সামগ্রিকভাবে, এই সিস্টেমের মাধ্যমে মোট GPA নির্ধারণ হয় ১০০% ভিত্তিতে, যা শিক্ষার্থীর একাডেমিক পারফরম্যান্সকে ভারসাম্যপূর্ণভাবে পর্যালোচনা করে। নিচে একটি টেবিলের মাধ্যমে দেখানো হলো। 

পর্ব পর্বভিত্তিক GPA এর গুরুত্ব
১ম পর্ব ৫%
২য় পর্ব ৫%
৩য় পর্ব ১০%
৪র্থ পর্ব ১০%
৫ম পর্ব ২০%
৬ষ্ঠ পর্ব ২০%
৭ম পর্ব ২০%
৮ম পর্ব (ইন্ডাঃ ট্রেনিং) ১০%
মোট ১০০%

CGPA নিরূপণ পদ্ধতি এবং বিস্তারিত

প্রতিটি টেকনোলজির মত ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং-এ রয়েছে ৮ টি সেমিস্টার। প্রতিটি সেমিস্টারের জিপিএ এর গড় রেজাল্টকে ফাইল রেজাল্ট হিসেবে সিজিপিএ আকারে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। যা পরবর্তিতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ফাইনাল রেজাল্ট হিসেবে কাউন্ট হয়ে থাকে।  সেমিস্টার ভিত্তিক GPA এর গুরুত্ব ও CGPA নিরূপণ পদ্ধতিতে টেবিল আকারে উপস্থাপণ করা হলো:

পর্ব পর্ব ভিত্তিক GPA পর্বভিত্তিক GPA এর গুরুত্ব গুরুত্ব অনুযায়ী অংশ (X)
১ম ৩.৮০ ৫% ০.১৯০
২য় ৩.৬০ ৫% ০.১৮০
৩য় ৮.০০ ১০% ০.৮০০
৪র্থ ৩.৮২ ১০% ০.৩৮২
৫ম ৩.৯০ ২০% ০.৭৮০
৬ষ্ঠ ৮.০০ ২০% ০.৮০০
৭ম ৩.৭০ ২০% ০.৭৪০
৮ম ৮.০০ ১০% ০.৮০০
CGPA ৩.৮৭২

পর্ব (সেমিস্টার) মূল্যায়ন সাধারণ নিয়মাবলিঃ

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক ও পর্ব সমাপনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ নিয়মাবলী রয়েছে। শিক্ষার্থীরা পর্বভিত্তিক ৮০% ক্লাস উপস্থিতি না থাকলে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠানের অনুমতিতে ১০% পর্যন্ত অনুপস্থিতি মওকুফ করা যায়। ধারাবাহিক মূল্যায়নে ব্যর্থ বা হাজিরার শর্ত পূরণে ব্যর্থ শিক্ষার্থীদের পরবর্তী পর্বে পুনরায় ভর্তি হতে হবে। সকল তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক বিষয়ের মূল্যায়ন বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পরীক্ষার কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। তাত্ত্বিক ধারাবাহিক মূল্যায়নের মানবন্টন:

মূল্যায়নের ক্ষেত্র ৪০% এর ক্ষেত্রে
পর্ব মধ্য ২০%
ক্লাস টেস্ট ০৬%
কুইজ ০৪%
প্রেজেন্টেশন ও অ্যাসাইনমেন্ট ০৫%
উপস্থিতি ০৫% (৮০% উপস্থিতির উর্ধ্বে আনুপাতিক হারে)

উপস্থিতির ব্যাখ্যা:

  • ৯০% এর উপরে: ০৫%
  • ৮০% – ৮৯%: ০৪%

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এ ক্লাস টেস্ট, কুইজ, মধ্যপর্ব (মিড টার্ম):

ওয়েট প্রসেসিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য পর্ব মধ্য পরীক্ষা সাধারণত সেমিস্টারের ৮ম সপ্তাহে সম্পন্ন করা হয়। ক্লাস টেস্টের তারিখ, সময় এবং স্থান সম্পর্কে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আগেই অবহিত করবেন। ৫ম ও ১৩তম সপ্তাহে ক্লাস টেস্ট এবং কুইজ ক্লাস চলাকালীন যে কোনো সময় নেওয়া হতে পারে। শিক্ষকদের দায়িত্ব হবে ক্লাস টেস্ট, কুইজ এবং মধ্যপর্ব পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে তা ১ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জানানো এবং নম্বরপত্র বিভাগীয় প্রধানের কাছে জমা দেওয়া।

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এ পর্ব ভিত্তিক ফলাফল এবং উত্তীর্ণ বা অনুত্তীর্ণ ঘোষণা

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং-এ পর্বভিত্তিক ফলাফল এবং উত্তীর্ণ বা অনুত্তীর্ণ ঘোষণার নিয়মাবলী অনুসারে, শিক্ষার্থী যদি তাত্ত্বিক বা ব্যবহারিক ধারাবাহিক মূল্যায়নে কোনো বিষয় বা বিষয়সমূহে অকৃতকার্য হয়, তবে তাকে পর্বে অনুত্তীর্ণ ঘোষণা করা হবে। সেই শিক্ষার্থী সর্বাধিক দুইবার পুনঃভর্তি হয়ে উক্ত বিষয়গুলো অধ্যয়ন করে পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীকে উক্ত পরীক্ষায় পৃথকভাবে তাত্ত্বিক, ধারাবাহিক, ব্যবহারিক অংশে কৃতকার্য হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি পরীক্ষা শেষে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হবে।

নম্বরপত্র ও সনদপত্র প্রদান সম্পর্কিত নীতিমালা অনুযায়ী

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এর ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম পর্বের Academic Transcript ইংরেজি ভাষায় বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত হবে। সনদপত্রে শিক্ষাক্রমের নাম ইংরেজি ভাষায় “Diploma-in-Engineering” হিসেবে উল্লেখ করা হবে। বোর্ড পর্বভিত্তিক প্রাপ্ত GPA-এর ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত CGPA-এর আলোকে সমন্বিত নম্বরপত্র (Transcript) এবং সনদপত্র (Certificate) প্রদান করবে। সনদপত্রে শিক্ষাক্রমের নাম ও মেয়াদ এবং অ্যালাইড টেকনোলজির নামসহ সংশ্লিষ্ট টেকনোলজির নাম উল্লেখ থাকবে (যদি প্রযোজ্য হয়)। ইংরেজি ভাষায় সনদপত্রের নাম হবে: Diploma-in-Textile Engineering in Concern Specialization Technology যেমন: Diploma in Engineering in Textile Engineering (Specialization with Wet Processing Technology)। সনদপত্রে শিক্ষাক্রমের মেয়াদও ইংরেজি ভাষায় উল্লেখ করা হবে।

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এ শিক্ষার্থী বদলি সম্পর্কিত নীতিমালা

বোর্ড কর্তৃক প্রণীত বদলি নীতিমালা অনুসারে, বদলি কমিটির সুপারিশের আলোকে আন্তঃপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী বদলি করা যাবে। তবে শিক্ষার্থী বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষাক্রম এবং টেকনোলজি ও শিফটের মিল থাকতে হবে। ১ম পর্বের কোন শিক্ষার্থীকে বদলি বিবেচনায় নেওয়া হবে না। ক্লাস শুরুর ০৪ (চার) সপ্তাহের মধ্যে আন্তঃপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী বদলি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী কেবলমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী কেবলমাত্র বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বদলিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। বিশেষ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা পরিষদের সুপারিশ অনুসারে শিক্ষার্থীকে শাস্তিমূলক বদলি করা যাবে। এসকল বদলির ক্ষেত্রে বোর্ড কর্তৃক গঠিত বদলি কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গন্য হবে। বদলির এই নীতিমালা ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং সহ সকল টেকনোলজির জন্য প্রযোজ্য।

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এ পড়তে প্রয়োজনীয় ল্যাব সমূহ

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং পড়তে কয়েকটি বিশেষায়িত ল্যাব প্রয়োজন হয়, যা শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়ক। প্রয়োজনীয় ল্যাবসমূহ হলো:

  • কেমিক্যাল প্রসেসিং ল্যাব: কাপড়ের রাসায়নিক প্রক্রিয়াকরণ শেখার জন্য।
  • ডাইং ল্যাব: রং করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি শেখার জন্য।
  • প্রিন্টিং ল্যাব: কাপড়ে নকশা এবং প্রিন্টিং প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য।
  • ফিনিশিং ল্যাব: কাপড়ের চূড়ান্ত প্রসেসিং শেখার জন্য।
  • ফিজিক্যাল টেস্টিং ল্যাব: কাপড়ের গুণগত মান পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং-এর নিয়মাবলি ও নাম্বার বণ্টন

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং-এর নিয়মাবলী ও নম্বরবন্টন:

  • ট্রেনিং এর মেয়াদ: ৮ম পর্বে ১৬ (ষোল) সপ্তাহের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং-এ ১২ (বার) সপ্তাহ সংশ্লিষ্ট ইন্ডাস্ট্রি/সংস্থায় এবং ৪ (চার) সপ্তাহ সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউটে সম্পন্ন করতে হবে।
  • পরিচালনা ও মূল্যায়ন: শিল্প কারখানা/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োজিত প্রশিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কর্তৃক মনোনীত বিভাগীয় শিক্ষক যৌথভাবে ১২ (বার) সপ্তাহব্যাপী ট্রেনিং কার্যক্রম পরিচালনা, তদারকি ও মূল্যায়ন করবেন।
  • প্রজেক্ট প্রস্তুতি: ইনস্টিটিউটের ৪ (চার) সপ্তাহ ট্রেনিং এ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক নির্ধারিত প্রজেক্ট প্রস্তুত করতে হবে।
  • প্রতিবেদন: ইন্ডাস্ট্রি/সংস্থায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ৪ (চার) সপ্তাহসহ মোট ১৬ (ষোল) সপ্তাহের কার্যক্রমের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে ব্যবহারিক পর্ব সমাপনী পরীক্ষার সময় পরীক্ষকদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
  • মূল্যায়ন: বোর্ড কর্তৃক নিযুক্ত অনাভ্যন্তরীণ পরীক্ষক, সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউটের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং বিভাগীয় প্রধান যৌথভাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং-এর ব্যবহারিক পর্ব সমাপনী পরীক্ষা এবং গ্রাজুয়েশন প্রজেক্ট মূল্যায়ন করবেন। মূল্যায়নকৃত নম্বর বোর্ড নির্ধারিত নম্বরপত্রে লিপিবদ্ধ করে যৌথ স্বাক্ষরে বোর্ড নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বরাবর প্রেরণ করতে হবে।
  • হাজিরা: কোন শিক্ষার্থীর হাজিরা ৮০% এর কম থাকলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং-এ অনুত্তীর্ণ ঘোষণা করা হবে।
  • ক্রেডিট ও নম্বরবন্টন: ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ১২ (বার) ক্রেডিটের একটি ব্যবহারিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে, যার মোট নম্বর ৬০০ (ছয়শত)। মোট নম্বরের ৫০% ব্যবহারিক ধারাবাহিকে এবং ৫০% ব্যবহারিক পর্ব সমাপনীতে নির্ধারিত থাকবে। ইন্ডাস্ট্রি/সংস্থায় ট্রেনিং-এর ব্যবহারিক ধারাবাহিক এবং ব্যবহারিক পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় পৃথকভাবে ন্যূনতম C+ গ্রেড বা শতকরা ৫০ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • ব্যবহারিক ধারাবাহিক নম্বরবন্টন:
    • দৈনন্দিন কাজ/জব: ১৫০ নম্বর
    • হাজিরা: ৬০ নম্বর
    • দৈনন্দিন কাজের রেকর্ড সংরক্ষণ (লগ বই): ৯০ নম্বর
    • মোট: ৩০০ নম্বর (হাজিরার ভিত্তিতে: ৯০% বা এর উপর (আনুপাতিক হারে) = ৭০-৯০, ৮০-৮৯% (আনুপাতিক হারে) = ৫০-৬৯)
  • ব্যবহারিক সমাপনী পরীক্ষার নম্বরবন্টন:
    • প্রতিবেদন প্রস্তুত ও উপস্থাপন: ৫০ নম্বর
    • প্রতিবেদন মূল্যায়ন: ১০০ নম্বর
    • গ্রাজুয়েশন প্রজেক্ট প্রস্তুত ও উপস্থাপন: ৭৫ নম্বর
    • গ্রাজুয়েশন প্রজেক্ট মূল্যায়ন: ৭৫ নম্বর
    • মোট: ৩০০ নম্বর

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এ নম্বরপত্র ও সনদপত্র প্রদান

ওয়েট প্রসেসিং এর ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম পর্বের Academic Transcript ইংরেজি ভাষায় বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত হবে। সনদপত্রে শিক্ষাক্রমের নাম ইংরেজি ভাষায় “Diploma-in-Engineering” হিসেবে উল্লেখ করা হবে। বোর্ড পর্বভিত্তিক প্রাপ্ত GPA-এর ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত CGPA-এর আলোকে সমন্বিত নম্বরপত্র (Transcript) এবং সনদপত্র (Certificate) প্রদান করবে। সনদপত্রে শিক্ষাক্রমের নাম ও মেয়াদ এবং অ্যালাইড টেকনোলজির নামসহ সংশ্লিষ্ট টেকনোলজির নাম উল্লেখ থাকবে (যদি প্রযোজ্য হয়)। ইংরেজি ভাষায় সনদপত্রের নাম হবে: Diploma-in-Textile Engineering in Concern Specialization Technology যেমন: Diploma in Engineering in Textile Engineering (Specialization with Wet Processing Technology)। সনদপত্রে শিক্ষাক্রমের মেয়াদও ইংরেজি ভাষায় উল্লেখ করা হবে।

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এর শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা

পাবলিক ইউনিভার্সিটি (সরকারি)

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চ শিক্ষার জন্য একমাত্র প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (DUET)। যেখানে শুধু মাত্র ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হলে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়ে থাকে।

তবে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী নির্মানাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি এবং ঠাকুরগাঁও) এর সকল আসনে ডুয়েট এর আদলে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থীরা শতভাগ ভর্তির সুযোগ পাবে। এছাড়া সুযোগ রয়েছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (SUST), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (JUST) এবং এসোসিয়েট মেম্বার অফ দা ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স (AIME)-তে।

বেসরকারি ইউনিভার্সিটি

বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়ে থাকে শুধুমাত্র হাতেগুনা কয়েকটা ইউনিভার্সিটি ব্যতিত। অনেকগুলো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশেষভাবে সহযোগিতা করে থাকে। যেমন, এফোর্টেবল টিউশন ফি, সন্ধ্যাকালীন ক্লাস এবং চাকরি করে পড়াশোনার সুযোগ।

বিদেশে উচ্চ শিক্ষা

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শিক্ষার্থীরা চাইলেই বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। বর্তমানের ট্রেন্ড অনুযায়ী আমাদের দেশের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা চীন, রাশিয়া, ভারত সহ অধিকাংশ দেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। যেমন, ইউকে (UK), ইউএসএ (USA), ফিনল্যান্ড (Finland), নেদারল্যান্ড (Netherlands), রোমানিয়া (Romania), ইতালি (Italy), পর্তুগাল (Portugal), ফ্রান্স (Franch), জাপান (Japan), জার্মানি (Germany), পোল্যান্ড (Poland) সহ ইউরোপের এবং পশ্চিমের প্রায় অধিকাংশ দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। তবে প্রতিটি দেশের রিকুয়ারমেন্ট অনুযায়ী কিছু ক্রাইটেরিয়া ফুল-ফিল করতে হয়। উলেক্ষ্য যে, অসাধ্য কিছু না, চাইলেই সম্ভব। অনেকে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে বাহিরে গিয়ে, পড়াশোনা শেষ করে বেশ ভালো ক্যারিয়ার গড়েছেন। বিদেশে উচ্চ শিক্ষার প্রথা শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য না। ডিপ্লোমাতে অধ্যায়নরত প্রতিটা শিক্ষার্থীর জন্য একই রুলস বিদ্যামান।

ওয়েট প্রসেসিং এর শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল স্কিল ও সফট স্কিল ডেভেলপ করা প্রয়োজন, যা তাদের প্রফেশনাল জীবনে সাফল্য পেতে সহায়ক। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে শুধুমাত্র একাডেমিক ফলাফলই নয়, বরং ব্যবহারিক দক্ষতাও সমান গুরুত্ব পায়। নিচে এই দক্ষতাগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ওয়েট প্রসেসিং টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের জন্য টেকনিক্যাল স্কিল

  • ডাইং টেকনোলজি – বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের উপাদান অনুযায়ী সঠিক রং করার প্রযুক্তি ও পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান।
  • প্রিন্টিং টেকনিক – কাপড়ে প্রিন্টিংয়ের বিভিন্ন কৌশল যেমন স্ক্রিন প্রিন্টিং, ডিজিটাল প্রিন্টিং, হিট ট্রান্সফার প্রিন্টিং শেখা।
  • ফিনিশিং প্রসেস – কাপড়ের ফিনিশিং যেমন সাইজিং, রেজিন ফিনিশ, এনজাইম ওয়াশ, সিলিকন ফিনিশ ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন।
  • কেমিক্যাল হ্যান্ডলিং – কাপড়ের প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিক্যালের নিরাপদ ব্যবহার, মিশ্রণ ও সঠিক মাত্রা প্রয়োগের দক্ষতা।
  • মেশিন অপারেশন – বিভিন্ন ডাইং, প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং মেশিন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল জ্ঞান।
  • টেস্টিং ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল – প্রক্রিয়াজাতকৃত কাপড়ের মান যাচাই করার জন্য ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল টেস্টের দক্ষতা- যেমন পিএইচ টেস্ট, কালার ফাস্টনেস টেস্ট।
  • রিসাইক্লিং ও ইকো-ফ্রেন্ডলি প্রসেস– টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব প্রসেসিং প্রযুক্তি সম্পর্কে টেকনিক্যাল জ্ঞান।

ওয়েট প্রসেসিং টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের জন্য সফট স্কিল

  • কমিউনিকেশনঃ টিমের অন্যান্য সদস্য, ম্যানেজার, এবং ক্লায়েন্টদের সাথে স্পষ্ট ও কার্যকরভাবে কথা বলা এবং তথ্য আদান-প্রদান করা।
  • প্রবলেম সলভিংঃ বিভিন্ন টেক্সটাইল প্রসেসিং ইস্যু সমাধানে সৃজনশীল চিন্তা ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা।
  • টিমওয়ার্কঃ একটি দলের অংশ হিসেবে কাজ করার সক্ষমতা, সহকর্মীদের সাথে সহযোগিতা ও সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করা।
  • টাইম ম্যানেজমেন্টঃ প্রজেক্ট ডেডলাইন মেনে কার্যসম্পাদন করা, বিভিন্ন কাজের মধ্যে ভারসাম্য রাখা এবং প্রোডাকশন সময় অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করা।
  • ক্রিয়েটিভিটিঃ নতুন সমাধান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষমতা।

পরিশেষে

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং শিক্ষার্থীদের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষ পেশাদার হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডাইং, প্রিন্টিং এবং ফিনিশিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াগুলো শিখে। টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের ভূমিকা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়, যা শিল্পের উন্নয়নে সহায়তা করে।


উল্লেখ্য যে, প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর সম্পর্কে কিছু তথ্য একই থাকে। যার প্রধান কারণ ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরগুলো একে অন্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই নিচের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো একটি মাত্র ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে রাখা হয়েছে যেন, যে কেউ খুব সহজে তথ্যগুলো পেতে পারে এবং একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত পেয়ে যায়। যেমন শিক্ষাক্রমের নাম ও মেয়াদ,  যোগ্যতা ও নিয়মাবলি, গ্রেডিং পদ্ধতি, নম্বরপত্র ও সনদপত্র প্রদান সম্পর্কিত নীতিমালা, শিক্ষার্থী বদলি সম্পর্কিত নীতিমালা, প্রয়োজনীয় ল্যাব সমূহ, শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।

লিমা খাতুন, ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-১১ অক্টোবর, ২০২৪,
<https://abhinoboschool.com/ডিপ্লোমা-ইন-ওয়েট প্রসেসিং/>

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এর চাকরির ভবিষ্যৎ কেমন?

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং এ পাশকৃত প্রকৌশলীদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা কি?

বর্তমানে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মেধার ভিত্তিতে ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে।

ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং পড়া শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ আছে?

হ্যাঁ, বর্তমানে ডিপ্লোমা ইন ওয়েট প্রসেসিং শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা ডুয়েটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ উচ্চশিক্ষার সুযোগ আছে।

শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে

লেখক সম্পর্কে

mstlima

নিউজ
চাকরি
Home
Question
Search