গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের জনগণকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল করার প্রত্যয় নিয়ে দুই যুগ ধরে গোপালগঞ্জের বুকে কাজ করে যাচ্ছে । আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো আমাদের দেশের জনসংখ্যা। একটি দেশের জনগণকে মূল্যবান সম্পদে পরিণত করতে সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অবদান অনস্বীকার্য।
ভিশন-২০৪১ কে বাস্তবায়ন করতে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই৷ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তে কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করে অনেকেই নিজেদের ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করছেন। তাই সরকার আমাদের দেশের যুবসমাজকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে নানান সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করছে। অত্যাধুনিক ল্যাব সুবিধা, উন্নত ওয়ার্কশপ ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের করে তুলছে দক্ষ ও পরিপক্ক। কর্মক্ষেত্রেও তারা এসব অত্যাধুনিক ফ্যাসিলিটিজ উপভোগ করছেন। যেসব শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষার দিকে আগ্রহ প্রকাশ করে তাদেরকে দক্ষ ও পরিপক্ক করে তুলতে গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একান্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবছর শত শত শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সহিত কাজ করে যাচ্ছে। আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আরও বিস্তারিতভাবে গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক সম্পর্কে জানবঃ
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইতিহাস
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান হিসেবে গোপালগঞ্জ সুপরিচিত। গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের একটি সুনামধন্য ও সুপরিচিত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০০১ সালে গোপালগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ১৪ কি.মি. দূরে চন্দ্রদিঘালিয়ায় প্রতিষ্ঠা করা হয় গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক। এটি এই অঞ্চলের একটি অন্যতম সুনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষকদের একান্ত প্রচেষ্টা ও নিরলস পরিশ্রমের ফলে আজকে প্রতিষ্ঠানটি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাতে পেরেছে।
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মতোই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর”-এর অধীনস্থ একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর একাডেমিক কার্যক্রম “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড” পরিচালনা করে থাকে৷ গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ৪ বছরে মোট ৮ টি পর্বে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স প্রদান করা হয়। এখানে পাঁচটি টেকনোলজিতে শিক্ষার্থীদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করানো হয়। বর্তমানে ১৫০০ এর অধিক শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়নরত রয়েছেন।
ভিশন ও মিশন
ভিশন
- দেশের অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে সর্বাধিক স্বনামধন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলির একটি হয়ে ওঠা এবং দেশের প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা। সর্বোচ্চ গুণমান ও পেশাগত মূল্যবোধ নিশ্চিত করার সাথে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অবস্থান করা।
- কারিগরি শিক্ষার প্রচার ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশে দক্ষ জনবল তৈরি করা।
- ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে, দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা।
মিশন
- গুণগতমান নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রদান, শিক্ষার্থীদের কারিগরি ও ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করা, উদ্ভাবনী গবেষণার ক্ষমতার বিকাশ ঘটানো। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা ভবিষ্যতে যাতে নৈতিক মূল্যবোধের সহিত সমাজকে সেবা প্রদান করতে উদ্বুদ্ধ হয়।
- কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দেশকে আত্মনির্ভরশীল করা। জাতিসংঘের এসডিজি-১৭ লক্ষ্য অর্জনে এবং দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখা।
- প্রযুক্তির উপর দক্ষতা লাভ করানো ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করে বেকারদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রস্তুত করা।
- দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বেগবান করতে নতুন কৌশলের উদ্ভাবন করা এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করা।
- কারিগরি দক্ষতা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সবার আগে শিক্ষক ও কর্মচারীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
- দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত ব্যবসায়ী সংস্থাগুলির সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ বজায় রাখা। শিক্ষার্থীদেরকে পেশাদার উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করানো ও ভবিষ্যতের জন্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
- কারিগরি শিক্ষা নীতি প্রণয়নে সরকারকে সকলপ্রকার পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা।
প্রিন্সিপালের বার্তা
শিক্ষাই একটি জাতির মেরুদন্ড। কোন জাতির উন্নয়নের জন্য পূর্বশর্ত হলো তার শিক্ষাব্যবস্থা। অর্থাৎ, যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত হবে, সে জাতি ততো বেশি উন্নত হবে। যুগে যুগে এমন শিক্ষাব্যবস্থার কথা শিক্ষার্থীরা বহু গুণীজনের মুখ থেকে কিংবা কাগজে-কলমে দেখে আসছে।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে সোনার বাংলা বিনির্মানে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেখানে তিনি শুধু সাধারণ শিক্ষার ব্যাপারেই গুরুত্ব দেননি; বাঙালি জাতির এই মহান নেতা সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার উপরও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।
অন্যান্য শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমেই জনগণকে দক্ষ ও স্বাবলম্বী করে তুলেই কেবল সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু তনয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে কারিগরি শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উৎকর্ষ সাধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমেই আমাদের দেশ উন্নত ও সোনার দেশ বাংলাদেশে পরিণত হবে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরস্থ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনস্থ গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একটি সুপরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মাননীয় ডিজি মহোদয়ের তত্ত্বাবধায়নে অন্যান্য পলিটেকনিকের মতো গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল শিক্ষার্থী বিনির্মাণে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন বোঝা না হয়ে জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে এবং দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূমিকা রাখবে। এ লক্ষে গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক বদ্ধপরিকর।
আমাদের প্রতিষ্ঠানে রয়েছে সুনামধন্য রোভার স্কাউট টিম যেখানে একজন শিক্ষার্থী সুশৃঙ্খলভাবে নিজেকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার অবারিত সুযোগ পাবে। আমাদের দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীরা সুন্দর ও সাবলীলভাবে ক্লাস টেস্ট, কুইজ, এসাইনমেন্ট, জবশিট এবং ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ইত্যাদির সম্মিলনে শিক্ষার্থীদের যথাযথ পাঠদানের জন্য একান্তভাবে নিবেদিত।
পুনরায়, আমি সকলকে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সবুজ প্রাঙ্গনে আগমনের জন্য আন্তরিকভাবে সাদর সম্ভাষণ জানাচ্ছি।
পরিচালনা পর্ষদ
মন্ত্রণালয় ও বিভাগঃ গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের “শিক্ষা মন্ত্রণালয়”-এর “কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ”-এর অধীনস্থ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসনিক পরিচালনাঃ গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কার্যক্রম “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর” পরিচালনা করে থাকে।
একাডেমিক পরিচালনাঃ গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একাডেমি কার্যক্রম “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সুযোগ-সুবিধা
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ক্যাম্পাসের উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্বে রয়েছে দুইটি পাঁচ তলা ভবন। ভবন দুটো যথাক্রমে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও পূর্ব ও পশ্চিমে আরো দুটি দু তলা ভবন রয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসে একটি শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি আছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ল্যাব, ওয়ার্কশপ, শহীদ মিনার, একাডেমিক ভবন, গ্রন্থাগার, বৃত্তি সুবিধা, জব প্লেসমেন্ট সেল ও ইন্ডাস্ট্রি লিংকেজ আছে। একজন শিক্ষার্থীকে সকল প্রকার অত্যাধুনিক সুবিধা প্রদান করা ও লেখাপড়া গুণগতমান নিশ্চিত করতে জি.পি.আই. বদ্ধপরিকর।
ওয়ার্কশপ
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো শিক্ষামান নিশ্চিত করতে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ওয়ার্কশপ গুলো সুসজ্জিত করে রেখেছে, যাতে একজন শিক্ষার্থী এখান থেকেই তার ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে৷
কম্পিউটার ল্যাব
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমান যুগে কম্পিউটার শিক্ষা সবার জন্য অত্যাবশ্যকীয়, তাই শিক্ষার্থীরা এই ল্যাব থেকে সহজেই কম্পিউটারে বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। এখানে রয়েছে সর্বাধুনিক সফটওয়্যার এবং প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের সহযোগিতা, যা শিক্ষার্থীদের বাস্তবসম্মত অভিজ্ঞতা প্রদান করে। ফলে, তারা শুধু প্রযুক্তিতে নয় বরং আধুনিক জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রস্তুত হতে সক্ষম হবে।
লাইব্রেরী
মুক্তমনন চর্চায় লাইব্রেরীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনার পাশাপাশি, বিশ্বের অন্যান্য বিষয়েও নিজেদেরকে পারদর্শী করে তুলতে পারে, তার জন্য গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি সেন্ট্রাল লাইব্রেরী রয়েছে। এই লাইব্রেরীতে প্রচুর বই এবং গবেষণা পত্র রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এখানে আলোচনা সেশন, কর্মশালা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও সমালোচনামূলক চিন্তা বিকাশে সহায়ক।
জব প্লেসমেন্ট সেল
শিক্ষার্থীদের চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর করতে গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে জব প্লেসমেন্ট সেল। এখান থেকে সহজেই শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দসই চাকরি খুঁজে নিতে পারে।
স্কলারশিপ
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে বৃত্তি প্রদান করে থাকে, যেন অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে কেউই শিক্ষার আলো থেকে পিছিয়ে না পড়ে। এজন্য দেশের অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের পরিমাণ একটু বেশী।
ইন্ডাস্ট্রি লিংকেজ
৪ বছরে মোট ৮টি পর্বে একজন শিক্ষার্থী যখন তার ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করে, তখন তাকে চাকরির জন্য পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ বিশাল ভূমিকা রাখে। একজন শিক্ষার্থীকে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা ও ব্যবহারিক শিক্ষা অর্জনের জন্য গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সাথে লিংকেজ রাখে যাতে একজন শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে তার ডিপ্লোমার বিষয় অনুযায়ী একটি ইন্ডাস্ট্রিতে ইন্টার্নশিপ করে নিজেকে কর্মক্ষেত্রের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করতে পারে৷
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
প্রিন্সিপাল | ১ জন |
ভাইস প্রিন্সিপাল | ১ জন |
চিফ ইন্সট্রাকটর | ২ জন |
ইন্সট্রাকটর এবং শিক্ষক (টেকনিক্যাল) | ১৩ জন |
নন টেকনিক্যাল শিক্ষক | ৮ জন |
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক কার্যক্রম
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ডিপ্লোমা কোর্সসমূহ
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন প্রতিষ্ঠানটিতে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম কার্যক্রম চালু রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে পাঁচটি টেকনোলজির উপর ডিপ্লোমা কোর্স প্রদান করা হয়ে থাকে। দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বাজারের চাহিদার কথা বিবেচনা করে উক্ত পাঁচটি টেকনোলজিসমূহ নির্ধারন করা হয়েছে। টেকনোলজিসমূহ :
- কম্পিউটার টেকনোলজি
- আর এ সি টেকনোলজি
- ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি
- ফুড টেকনোলজি
- ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি
ডিপার্টমেন্ট | আসন সংখ্যা |
কম্পিউটার টেকনোলজি | ৬০ জন |
আর এ সি টেকনোলজি | ৬০ জন |
ফুড টেকনোলজি | ৬০ জন |
ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি | ৬০ জন |
ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি | ১২০ জন |
ছাত্র সংগঠন
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একটি রাজনীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত। এখানে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটির উপর গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের মুক্তচিন্তা ও মুক্তচর্চায় বিকশিত করে ডিবেট ক্লাব ও সাংস্কৃতিক ক্লাব। আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের দক্ষ করে তুলতে রয়েছে সাইন্স ক্লাব ও কম্পিউটার ক্লাব। সেবা প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে রক্তদান ক্লাবের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ছাত্র সংগঠনগুলো হলঃ
- জি.পি.আই. এলমনাই এসোসিয়েশন।
- বাংলাদেশ পলিটেকনিক স্টুডেন্ট ফোরাম-বিপিএসএফ
- বাংলাদেশ পলিটেকনিক সাধারণ ছাত্র পরিষদ
- রোভার স্কাউট
- রক্ত দান সংগঠন
- কম্পিউটার ক্লাব
- সাইন্স ক্লাব
- ডিবেটিং ক্লাব
- সাংস্কৃতিক ক্লাব
উল্লেখ্য যে, প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে কিছু তথ্য একই থাকে। যার প্রদান কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ হয় বলে। তাই নিচের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো একটি মাত্র ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে রাখা হয়েছে যেন, যে কেউ খুব সহজে তথ্যগুলো পেতে পারে এবং একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত পেয়ে যায়। যেমন, শিক্ষা ব্যবস্থা, কোটা পদ্ধতি, বৃত্তি, সরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ, ক্লাসের সময়সূচি, ভর্তির যোগ্যতা, কোর্সের সময়সীমা, গ্রেডিং সিস্টেম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা। তাছাড়া আরও জানতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবিধান দেখুন।
লিমা খাতুন, গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,
<https://abhinoboschool.com/গোপালগঞ্জ-পলিটেকনিক-ইনস্টিটিউট/>
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উক্ত প্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কি কি টেকনোলজি আছে?
এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কম্পিউটার, ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, ফুড এবং আরএসি টেকনোলজি আছে।
গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির যোগ্যতা কি?
যেকোনো সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে এসএসসি পরীক্ষায় ছাত্রদের জন্য সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে জিপি ২.০ সহ কমপক্ষে জিপিএ ৩.০ এবং ছাত্রীদের জন্য জিপিএ ২.৫ প্রয়োজন। পূর্ববর্তী পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগ থাকতে হবে। ‘ও’ লেভেলে একটি ‘সি’ ও অন্য দুটি বিষয়ে ‘ডি’ গ্রেড থাকতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।