ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, বাগেরহাট, বাগেরহাট জেলার একটি সুপরিচিত প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত মেরিন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষাদান এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করে। ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির যাত্রা শুরু হয় ২০১০-২০১১ অর্থবছরে, যা বাংলাদেশের সমুদ্র এবং জাহাজ শিল্পের দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই আর্টিকেলে মূলত ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, বাগেরহাট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হবে। তথ্যগুলো বিভিন্ন ভেরিফাইড অনলাইন রিসোর্স থেকে সংগ্রহ করা।
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, বাগেরহাট এর ইতিহাস
এই ইনিস্টিটিউট এর ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তি শিক্ষার বিকাশে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, বাগেরহাট প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০-২০১১ অর্থবছরে, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান মেরিন এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পের দক্ষ জনবল তৈরি করার লক্ষ্যে।
প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই দেশের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কাজে অবদান রেখে চলেছে। শিক্ষার্থীরা চার বছরের ডিপ্লোমা ইন মেরিন টেকনোলজি কোর্স সম্পন্ন করে, যেখানে বিভিন্ন পর্যায়ে ৮টি পর্বে প্রায় ৫০টিরও বেশি বিষয় শেখানো হয়। ইনস্টিটিউটে রয়েছে আধুনিক ল্যাব, ওয়ার্কশপ, এবং প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা, যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভে সহায়তা করে।
এই ইনিস্টিটিউটটি দেশের মেরিন শিল্পে দক্ষ কর্মী তৈরির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলেছে এবং মেরিন শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ব্যবস্থাপনা | সরকারি |
---|---|
শিক্ষার্থী ধরণ | সহশিক্ষা |
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য | |
বাংলায় | ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, বাগেরহাট |
ইংরেজিতে (ব্লক লেটার) | INSTITUTE OF MARINE TECHNOLOGY, BAGERHAT |
স্থাপিত | ২০০৪ সাল |
ওয়েবসাইট | WWW.imt.bagerhat.gov.bd |
ঠিকানা | উপজেলা/থানা | তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রি এলাকা |
জেলা | বাগেরহাট |
বিভাগ | বাগেরহাট |
মিশন ও ভিশন
মিশন: আধুনিক এবং টেকসই মেরিন প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা, মেরিন খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জীবনমানের উন্নয়ন এবং জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখা।
ভিশন: মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য সমুদ্র ভিত্তিক ট্রেড কোর্সের মান নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদেরকে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তোলা।
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, বাগেরহাট সুযোগ সুবিধা
এই ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা। এটি মেরিন প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক এবং তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রদান করে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে লাইব্রেরি, ওয়ার্কশপ, মাঠ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আবাসিক হল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (মসজিদ), এবং অন্যান্য সুবিধা। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
লাইব্রেরি
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে রয়েছে একটি সুসজ্জিত লাইব্রেরি, যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে ৩,৫০০ টি বই রয়েছে। এখানে মেরিন প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান, বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য, এবং সামাজিক বিজ্ঞান সম্পর্কিত বইয়ের পাশাপাশি ম্যাগাজিন, জার্নাল এবং পত্রিকা পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরির সদস্য হয়ে সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় বই এবং অন্যান্য পাঠ্যসামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়ার্কশপ এবং ল্যাবরেটরি
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এখানে আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম সমৃদ্ধ ওয়ার্কশপ এবং ল্যাবরেটরি রয়েছে। এখানে মেরিন প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য বিভিন্ন ওয়ার্কশপের পাশাপাশি কম্পিউটার ল্যাব এবং ইলেকট্রিক্যাল ল্যাব রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এই ল্যাবরেটরিগুলোতে ব্যবহারিক শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদেরকে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান
শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা এবং শরীর চর্চার জন্য এখানে একটি বড় মাঠ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শরীর চর্চা এবং খেলাধুলার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে।
আবাসিক হল
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক সুবিধা রয়েছে। আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খল পরিবেশে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (মসজিদ)
শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায়ের জন্য ক্যাম্পাসের ভিতরে একটি মসজিদ রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা নিয়মিত নামাজ আদায় করতে পারেন।
এই ইনিস্টিটিউটের সকল সুবিধা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে, যা তাদের ভবিষ্যতে সফল মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হতে সাহায্য করে।
পলিটেকনিক ডাক বিভাগ
এই প্রতিষ্ঠানটির কোন নিজস্ব পলিটেকনিক ডাক বিভাগ নেই।
ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
অধ্যক্ষ | ১ জন |
প্রশিক্ষক (রসায়ন) | ১ জন |
ইন্সট্রাক্টর (মেকানিক্যাল) | ১ জন |
ইন্সট্রাক্টর ( মেরিন ডিজেল) | ১ জন |
ইন্সট্রাক্টর (পদার্থ, গণিত, কম্পিউটার সায়েন্স ও রসায়ন) | ১ জন |
ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর(রসায়ন) | ২ জন |
ইন্সট্রাক্টর(নেভাল আর্কিটেকচার) | ২ জন |
ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (পদার্থবিদ্যা) | ১ জন |
জাপানীজ ভাষা প্রশিক্ষক | ১ জন |
অতিথি প্রশিক্ষক(পেটি অফিসার) | ১ জন |
ইন্সট্রাক্টর | ৫ জন |
লাইব্রেরিয়ান | ১ জন |
কম্পিউটার অপারেটর (প্রশাসন শাখা) | ১ জন |
হোস্টেল সুপার | ১ জন |
অফিস সহায়ক | ৩ জন |
নিরাপত্তাপ্রহরী | ২ জন |
একাডেমিক কার্যক্রম
প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মেরিন টেকনোলজি প্রোগ্রাম প্রদান করে, যা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেরিন টেকনোলজির ওপর কেন্দ্রীভূত।
এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন কারিগরি এবং অকারিগরি বিষয়ের ওপর পাঠদান করা হয়। কারিগরি বিষয়ে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিন টেকনোলজি, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের ইংরেজি, উচ্চতর গণিত, বাংলা, রসায়ন, ব্যবসায় শিক্ষা, এবং সমাজ বিজ্ঞান বিষয়েও শিক্ষা প্রদান করা হয়।
এই ইনিস্টিটিউটের-এর শিক্ষার্থীরা সকাল এবং দুপুর এই দুই শিফটে ক্লাস করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি নৌযান ব্যবস্থাপনা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তোলার জন্য আধুনিক ল্যাব এবং কর্মশালার মাধ্যমে ব্যবহারিক শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে। বর্তমানে এই ইনিস্টিটিউটের-এ ৫টি প্রধান ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে:
- মেরিন টেকনোলজি
- মেকানিক্যাল টেকনোলজি
- ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি
- ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি
- শিপবিল্ডিং টেকনোলজি
এই কোর্সগুলোতে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করে, যা তাদের মেরিন শিল্পে কাজ করার জন্য প্রস্তুত করে।
শর্ট কোর্স
বর্তমানে এই ইনস্টিটিউটে কোন শর্ট কোর্স চালু নেই। ডিপ্লোমা কোর্স গুলোই চলমান রয়েছে।
ছাত্র সংগঠন
বর্তমানে এই ইনিস্টিটিউটের হচ্ছে সম্পূর্ণ রাজনীতি মুক্ত একটি পরিবেশ। অত্র প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক কোন কার্যকলাপ বা রাজনৈতিক কোন অনুষ্ঠান সংঘটিত হয় না।
ছাত্রাবাস
বর্তমানে আপাদত কোন ছাত্রাবাস নেই। একাডেমি ভবন ছাড়া উল্লেখ যোগ্য তেমন কোন ভবন নেই। সাধারনত বর্তমানে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি ছাত্র এবং ছাত্রিরা ম্যাচে থেকে থাকে।
সাধারণত আমরা জানি যে বাংলাদেশের প্রতিটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে এর সম্পর্ক কিছু তথ্য আছে যেগুলো প্রায় একই থাকে বলা যায়,কারণ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় বলে। পরে প্রত্যেকটি তথ্যগুলো আমরা ভেরিফাইড ওয়েবসাইট থেকে নিয়েছি প্রত্যেকটি তথ্য গুলো আমাদের রিচার্জ করা যার ধরুন আপনি এখান থেকে খুব ফ্রেশ এবং আপডেট তথ্যগুলো জানতে পারবেন। সাধারণত আমাদের যে বিষয়গুলো বেশি জরুরি হয়ে থাকে যেমনঃ ভর্তির যোগ্যতা, কোর্সের সময়সীম্,শিক্ষা ব্যবস্থ্ পড়াশোনা খরচ, ছাত্রাবাস ইত্যাদি উল্লেখিত পয়েন্টগুলো ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে দেওয়া হয়েছে।