ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানের ভিতর অন্যতম। ২০০৫ সালের প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান স্থাপনা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত আমাদেরকে দিয়ে আসছে গৌরবময় সাফল্য। এই পলিটেকনিক বাংলাদেশের অন্যান্য পলিটেকনিক এর মত দেশ সেরা ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে সাফল্য অর্জন করেছে। এছারাও প্রতিষ্ঠানটি উচ্চমানের শিক্ষা প্রদানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে । আমরা এই আর্টিকেলে ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা করবঃ
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইতিহাস
এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বিপ ভোলায় অবস্থিত। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয় কারিগরী শিক্ষার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্য নিয়ে। এই প্রতিষ্ঠানটি ৪ টি টেকনোলজি বিভাগ নিয়ে কার্যক্রম কাজ শুরু করে। চারটি বিভাগ হচ্ছে সিভিল টেকনোলজি,কম্পিউটার টেকনোলজি,ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি এবং মেকানিক্যাল টেকনোলজি। বর্তমানে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কারিকুলাম এটিতে চলমান রয়েছে। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে ১ম শিফট ও ২য় শিফট চালু আছে।
ভিশন ও মিশন
ভিশন
আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রধান প্রকৌশল বিদ্যা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত হওয়া ও বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা।
মিশন
দেশের উন্নয়নে অবদার রাখে এমন দক্ষ ও জ্ঞানী প্রকৌশলি তৈরি করা। প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাদানের মান উন্নত ও গবেষনা মাধ্যমে জ্ঞানের অগ্রগতি সাধন করা।
পরিচালনা পর্ষদ
মন্ত্রণালয় ও বিভাগঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের “শিক্ষা মন্ত্রণালয়” এর “কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ” এর অধিনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসনিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর” ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
একাডেমিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” ডিটিআই এর একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট DTE-এর অধীনে ডিপিআই কোর্স প্রদান করে।
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সুযোগ সুবিধা
বাংলাদেশের সবথেকে বড় দ্বীপে অবস্থিত ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটি। ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মূল ক্যাম্পাসে রয়েছে পাঁচ তলা বিশিষ্ট ২টি ভবন ও দুই তলা বিশিষ্ট ২ টি ভবন। এছারাও এদের রয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠানিক ভবন ও একটি প্রশাসনিক ভবন। রয়েছে অফিস, ল্যাবরেটরী, ওয়ার্কশপ কক্ষ, একটি মাল্টিমিডিয়া নেটওয়ার্কিং ল্যাব, সফটওয়্যার ল্যাব, ওয়াই-ফাই এবং হার্ডওয়্যার ল্যাবহার্ডওয়্যার ল্যাব সহ একটি ৫০০ ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন অডিটোরিয়াম।
আবাসিক স্থলে দেখা যাবে অধ্যক্ষ এবং টিচার্স কোয়াটার। তবে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র-ছাত্রিদের জন্য আপাতত কোন হোস্টেল ব্যবস্থা করা হইনি। রয়েছে একটি শহীদ মিনাদ এবং মসজিদ। ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা ধারা নিয়ন্ত্রিত এবং ক্লাস ও পরিক্ষার হলেও সিসিটিভি রয়েছে যা সব সময় বিদ্যমান।
লাইব্রেরি
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ক্যাম্পাসে লাইব্রেরিটি অবস্থিত। লাইব্রেরিতে বিভিন্ন বিষয় এর উপর একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। যেমনঃ প্রকৌশল,বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং মানবিক বিষয়ের উপর বই, জার্নাল এবং অন্যান্য। এটিতে অধ্যয়নের জন্য শান্ত এবং উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। এছারাও বই এবং অন্যান্য সংস্থান ঋণ,গবেষণা সহায়তা,তথ্য সাক্ষরতা প্রশিক্ষণ,বিশেষ অনুষ্ঠান এবং প্রদর্শনী ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয়।
ওয়ার্কশপ এবং ল্যাবরেটরি
বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের রয়েছে সজ্জিত ওয়ার্কশপ এবং ল্যাবরেটরি সহ একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান। ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রতিটি বিভাগে রয়েছে ওয়ার্কশপ এবং ল্যাবরেটরি যার দরূন শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই তাদের নির্দিষ্ট বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
কিছু উল্লেখযোগ্য ল্যাবরেটরি এবং ওয়ার্কশপঃ
ওয়ার্কশপ
- ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কশপ: এই ওয়ার্কশপে শিক্ষার্থীরা মোটর, জেনারেটর, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে।
- মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ: এখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরণের ইঞ্জিন, মেশিন এবং যন্ত্রপাতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে।
- ইলেকট্রনিক ওয়ার্কশপ: এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ডিজিটাল সার্কিট , ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি এবং মাইক্রোপ্রসেসর সম্পর্কে প্রশিক্ষণ লাভ করতে পারে।
- সিভিল ওয়ার্কশপ: এই ওয়ার্কশপে শিক্ষার্থীরা নির্মাণ সামগ্রী, ভবন নির্মাণ এবং স্থাপত্য নকশাপ্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণ লাভ করতে পারে।
ল্যাবরেটরি
- বিজ্ঞান ল্যাবরেটরি: ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং জীববিজ্ঞান বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা বিজ্ঞান ল্যাবরেটরি রয়েছে যার দ্বারা তাদের শিক্ষাজীবন আরো উন্নয়নশীল হয়।
- কম্পিউটার ল্যাবরেটরি: সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার ল্যাবরেটরি রয়েছে যেখানে তারা প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং নেটওয়ার্কিংয়ের মতো বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে তাদের শিক্ষাজীবন আরো উন্নয়নশীল করতে পারে।
মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চাসহ বিভিন্ন খেলাধুলা পরিচালনা করার জন্য রয়েছে একটি মাঠ যেটি প্রতিষ্ঠানের মুল ভবনের পেছনে অবস্থিত। মাঠটিতে বিভিন্ন ধরণের গাছপালা এবং বসার ব্যাবস্থা আছে। শিক্ষার্থীরা এই মাঠগুলিতে নিয়মিত খেলাধুলা করে থাকে। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে বিভিন্ন খেলাধুলার প্রতিযোগিতাও আয়োজন করে যাতে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে থাকে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র
এটি ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ভবনের পশ্চিম দিকে অবস্থিত। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সু্যোগ ও সুবিধা। যেমনঃ প্রাথমিক চিকিৎসা, এম্বুলেন্স সেবা, সাধারণ রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ,জরুরি চিকিৎসা ,ওষুধ প্রদান ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইত্যাদি।
আবাসিক হল
শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে মোট ৪টি আবাসিক হল রয়েছে। প্রতিটি হলে ৪টি তলা রয়েছে। ছেলেদের জন্য ২টি এবং মেয়েদের জন্য ২টি হল রয়েছে, যাতে তারা নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবেশে থাকতে পারে। এই হলগুলোতে আধুনিক সুবিধা, যেমন খাবার ব্যবস্থা, স্টাডি রুম এবং বিনোদনের স্থান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সহজ করার জন্য প্রতিটি হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কোয়াটার
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মোট দুটি কোয়াটার আছে। প্রতিটি কোয়াটারে আধুনিক সুবিধা রয়েছে, যেমন রান্নাঘর, বাথরুম এবং বিশ্রামের স্থান। এই কোয়াটারগুলি শিক্ষকদের আরামদায়ক পরিবেশে থাকতে সহায়তা করে, যাতে তারা তাদের পেশাদার দায়িত্বগুলিতে মনোনিবেশ করতে পারেন।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান(মসজিদ)
ভোলা পলিটেকনিক এর ভিতরেই রয়েছে ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মসজিদ। মসজিদটি সাধারণত স্বাভাবিক সময় সবসময় খোলা থাকে। মুসলমান শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীসহ সকলের জন্য এ কেন্দ্রীয় মসজিদ উন্মুক্ত থাকে।
পলিটেকনিক ডাক বিভাগ
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কোন নিজস্ব পলিটেকনিক ডাক বিভাগ নেই।
ব্যায়ামাগার ও ক্যাফেটেরিয়া
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ব্যায়ামাগারটি ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থিত। বাংলাদেশের অন্যান্য ইনস্টিটিউট এর মতন ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটেরও একটি সুন্দর এবং আধুনিক ব্যায়ামাগার রয়েছে। এই ব্যায়ামাগারে বিভিন্ন ধরনের উন্নত সরঞ্জাম রয়েছে যেগুলো দিয়ে শিক্ষার্থীরা খুব ভালোভাবে ব্যায়াম করতে পারবে যেমনঃ বাইসাইকেল, ট্রেডমিল, ওজন ইত্যাদি।
এখানে একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। এটি ক্যাম্পাসের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য খোলা থাকে।
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
প্রিন্সিপাল | ১ জন |
ভাইস প্রিন্সিপাল | ১ জন |
চিফ ইন্সট্রাক্টর বা ডিপার্টমেন্ট প্রধান | ৩ জন |
ইন্সট্রাক্টর এবং রাজস্বখাতে স্থানান্তর প্রক্রিয়াধীন | ২০ জন |
খন্ডকালীন শিক্ষক | ৭ জন |
জুনিয়র শিক্ষক | ১০ |
কেয়ারটেকার | ১ জন |
ষ্টোরকিপার ও রেজিস্ট্রার (অঃদাঃ) | ১ জন |
ইলেকট্রিশিয়ান কাম পাম্প অপারেটর | ১ জন |
ক্লিনার ও কোষাধ্যক্ষ (অঃদাঃ) | ১ জন |
ক্লিনার | ৫ জন |
একাডেমিক কার্যক্রম
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ডিপ্লোমা কোর্সসমূহ
এই পলিটেকনিকে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিআইই) কোর্সে ৪টি বিভাগ চলমান রয়েছে। সেগুলো হলো:
- ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি
- রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি
এছাড়াও, নন-টেক বিভাগে একটি কোর্স চালু আছে
- প্রতিটি ডিপ্লোমা কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর।
- সার্ভে এন্ড ড্রাফটিং
- কোর্স শেষে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারে।
- প্রতিটি কোর্সে ২টি শিফট (১ম ও ২য়) চালু আছে।
- শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে।
শর্ট কোর্স
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত শর্ট কোর্স পরিচালনা করে। এই কোর্সগুলি দক্ষতা বৃদ্ধি,পেশাদার উন্নয়ন এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
বর্তমানে চলমান শর্ট কোর্সগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ইংরেজি ভাষা
- অ্যাকাউন্টিং
- মার্কেটিং
- মোবাইল ফোন মেরামত
- কম্পিউটার প্রোগ্রামিং
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ইলেকট্রিক্যাল টেকনিশিয়ান
আসন্ন শর্ট কোর্সগুলির মধ্যে রয়েছে:
- উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ
- টেইলরিং ও ফ্যাশন ডিজাইন
- কুকিং ও বেকিং
- অফিস ম্যানেজমেন্ট
- প্রকল্প ব্যবস্থাপনা
- মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা
ছাত্র সংগঠন
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বেশ কয়েকটি সক্রিয় ছাত্র সংগঠন রয়েছে।
কিছু উল্লেখযোগ্য সংগঠন:
- ভোলা পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি (BPTA): শিক্ষকদের জন্য একটি পেশাদার সংগঠন।
- ভোলা পলিটেকনিক ছাত্র সংসদ (VPSS): এটি ইনস্টিটিউটের সকল ছাত্রের প্রতিনিধিত্বকারী একটি নির্বাচিত সংস্থা।
- ভোলা পলিটেকনিক সাংস্কৃতিক সংঘ (BPKS): সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করে।
- ভোলা পলিটেকনিক ক্রীড়া সংঘ (BPSS): ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও অনুশীলন আয়োজন করে।
- ভোলা পলিটেকনিক বিজ্ঞান সংঘ (BPSS): বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও কর্মশালা আয়োজন করে।
- ভোলা পলিটেকনিক উদ্যোক্তা সংঘ (BPES): ছাত্রদের উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করে।
- ভোলা পলিটেকনিক রোবোটিকস ও অটোমেশন ক্লাব (BPRAC): রোবোটিকস ও অটোমেশন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে।
ছাত্রাবাস
ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের পাশে ছাত্রাবাসটি অবস্থিত। সাধারনত ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মোট দুটি ছাত্রাবাস রয়েছে যথাঃ পুরুষ ছাত্রাবাস ও মহিলা ছাত্রাবাস। ছাত্রাবাসে পানি, বিদ্যুৎ টয়লেট এবং বিভিন্ন সুযোগ -সুবিধা রয়েছে।
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নিয়মিত ছাত্ররা ছাত্রাবাসে আবেদন করতে পারে। আবেদন গুলো প্রতিবছর নির্ধারিত সময় বিতরণ করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে কিছু তথ্য একই থাকে। যার প্রদান কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ হয় বলে। তাই নিচের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো একটি মাত্র ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে রাখা হয়েছে যেন, যে কেউ খুব সহজে তথ্যগুলো পেতে পারে এবং একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত পেয়ে যায়। যেমন, শিক্ষা ব্যবস্থা, কোটা পদ্ধতি, বৃত্তি, সরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ, ক্লাসের সময়সূচি, ভর্তির যোগ্যতা, কোর্সের সময়সীমা, গ্রেডিং সিস্টেম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা। তাছাড়া আরও জানতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবিধান দেখুন।
লিমা খাতুন, ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,
<https://abhinoboschool.com/ভোলা-পলিটেকনিক-ইনস্টিটিউট/>
ভোলা পলিটেকনিক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কি কি টেকনোলজি আছে?
এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে সিভিল, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স এবং রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং টেকনোলজি আছে।
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর খেলার মাঠ আছে কি?
হ্যাঁ, ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি খেলার মাঠ আছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সুবিধা রয়েছে যেমন ফুটবল, ক্রিকেট এবং ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি।
ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির যোগ্যতা কি?
ভোলা বা যেকোনো সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে এসএসসি পরীক্ষায় ছাত্রদের জন্য সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে জিপি ২.০ সহ কমপক্ষে জিপিএ ৩.০ এবং ছাত্রীদের জন্য জিপিএ ২.৫ প্রয়োজন। পূর্ববর্তী পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগ থাকতে হবে। ‘ও’ লেভেলে একটি ‘সি’ ও অন্য দুটি বিষয়ে ‘ডি’ গ্রেড থাকতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।