সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট জনগণকে কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ ও পরিপক্ক করে তুলতে একান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি ব্যবহারিকভাবে একাগ্রতার সহিত দীক্ষিত করতে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অন্যতম। সিলেট পলিটেকনিক এর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই নিরলস পরিশ্রম করে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। প্রতিবছর শত শত শিক্ষার্থী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন স্তরে দক্ষতার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন। আজকের আলোচনায় আমরা সিলেট পলিটেকনিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানবো:
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইতিহাস
৩৬০ আওলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেট। প্রতিবছর বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণে এই অঞ্চলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অঞ্চলের মানুষকে দক্ষ ও শিক্ষা সচেতন নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবনা পেশ করা হয়৷ ১৯৫৫ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশন নামক একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহায়তায় ফাইভ পলিটেকনিক তথা রংপুর, বগুড়া, পাবনা, বরিশাল ও সিলেট এই পাঁচটি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে।
২০ একরের বিশাল আয়তনের শিক্ষাঙ্গন নিয়ে স্থাপিত হয় সিলেট পলিটেকনিক। এটি সিলেটের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টটিউট। শুরুর দিকে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স করানো হতো। পাঠ্যক্রম হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির কারিকুলাম অনুসরণ করা হতো। বর্তমানে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছে৷ হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হওয়ার আগে থেকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অত্যন্ত দক্ষতা ও ঐতিহ্যের সাথে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স প্রদান করে আসছে।
দেশের অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মতো সিলেট পলিটেকনিক ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন। প্রতিষ্ঠানটির নকশা করেন বাংলাদেশের সুনামধন্য স্থপতি মাজহারুল ইসলাম ও স্ট্যানলি টাইগারম্যান ।
ভিশন ও মিশন
ভিশন
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লক্ষ্য হচ্ছে দেশ-বিদেশের কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পন্ন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করা। এই লক্ষ্যে, প্রতিষ্ঠানটি উন্নত পাঠ্যক্রম, কার্যকর প্রশিক্ষণ এবং হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তিগত ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নৈতিকতা, সামাজিক দায়িত্ব এবং নেতৃত্বের গুণাবলী তৈরি করতেও প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ গুরুত্ব দেয়।
মিশন
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই কিছু মিশন রয়েছে। সিলেট পলিটেকনিক এর মিশনগুলো হল:
- ইনস্টিটিউটের শিক্ষক কর্মচারীগণকে কর্মক্ষেত্রের বাস্তবতার নিরিখে আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ প্রদান
- ইনস্টিটিউটের যন্ত্রপাতি সমূহ রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ব্যবহারিক ক্লাসের উপযোগীকরণ
- ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স কারিকুলাম এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহকরন
- ছাত্র-ছাত্রীদের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ক্লাস অনুষ্ঠিত হওয়া নিশ্চিতকরণ
- পাঠ মূল্যায়নের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রশিক্ষণে ঘাটতি বিষয়ে ফিডব্যাক প্রদান
- বিভিন্ন কো-কারিকুলার কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের চৌকস হিসেবে প্রস্তুতকরণ
প্রিন্সিপালের বার্তা
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং স্বনামধন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট গুলির মধ্যে একটি। সুরমা নদীর তীরে পবিত্র শহর সিলেটে অবস্থিত। সিলেট পলিটেকনিক এর মূলমন্ত্র হলো আধুনিক যুগের সাথে মানিয়ে নিতে স্থিতিস্থাপক যুবকদের উৎসাহিত করতে আধুনিক ও প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা প্রদান করা। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। এই বিপুল জনসংখ্যাকে কারিগরি শিক্ষায় আলোকিত করা গেলে জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের সুবিধা পেয়ে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে পারে। সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং একটি প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ার জন্য দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিদ্যমান সাতটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বাজারের চাহিদার উপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে তারা দেশে এবং বিদেশে পেশাদার কর্মক্ষেত্রে মানদন্ড পূরণ করতে পারে।
আমি সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শুভ কামনা করছি।
পরিচালনা পর্ষদ
মন্ত্রণালয় ও বিভাগঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের “শিক্ষা মন্ত্রণালয়” এর “কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ” এর অধিনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসনিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর” সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -এর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
একাডেমিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” সিপিআই এর একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সুযোগ সুবিধা
বাংলাদেশের অন্যান্য সরকারি পলিটেকনিক এর মতো সিলেট পলিটেকনিক এর ও রয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস। সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আয়তন ২০ একর (৮.১ হেক্টর)। নিচে আমারা সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানবোঃ
ওয়ার্কশপ
শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে বিকশিত করার জন্য বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট করা হয়। সিলেট পলিটেকনিক একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বাস্তবিক জ্ঞান অর্জনকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ব্যবহারিক দক্ষতা. ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, সিভিল, অটোমোবাইল এবং রেফ্রিজারেশন, কেমিক্যাল এবং কেমিক্যাল (খাদ্য) এর ব্যবহারিক ক্লাস প্রায়ই অনুষ্ঠিত হয়।
লাইব্রেরি
শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য এবং তাদের অবসর সময়কে আরো সুন্দর করে তুলতে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি সুবিশাল লাইব্রেরী রয়েছে। এই ডিজিটাল লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধু কর্নার রয়েছে।
মেডিক্যাল সার্ভিস
সিলেট পলিটেকনিকে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে, যেখানে যোগ্য চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলসভাবে তাদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন। এখানে শিক্ষার্থীরা জরুরি চিকিৎসা, স্বাস্থ্য পরামর্শ এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আসতে পারেন। মেডিকেল সেন্টারের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
পলিটেকনিক ডাক বিভাগ
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি সিলেট রেল স্টেশন থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে টেকনিক্যাল মোড় বরইকান্দি ইউনিয়নে হওয়ায় এটি বরইকান্দি ডাক বিভাগের অধীনে। এছাড়াও আমরা অনলাইনের মাধ্যমে ইমেইল পাঠাতে পারি info@spi.gov.bd এই ঠিকানায়।
মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান
প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার চাপে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে একঘেয়েমিতা কাজ করে। এই একঘেয়েমিতা দূর করার জন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। তাই সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি সুবিশাল খেলার মাঠ।
কোয়াটার
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসের পাশেই একটি নিরিবিলি কোয়াটার রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের জন্য একটি আরামদায়ক ও প্রশান্ত পরিবেশ প্রদান করে। এই কোয়াটারটি সবুজ গাছপালায় ঘেরা, যেখানে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্রাম ও মুক্ত সময় কাটাতে পারেন। নিরাপত্তা এবং সহজ প্রবেশাধিকারের জন্য এটি খুবই সুবিধাজনক।
পরিচালিত প্রতিষ্ঠান
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি মূলত বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত। এটি দেশের কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেখানে শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারে। ইনস্টিটিউটটি বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্স এবং ট্রেনিং প্রোগ্রাম অফার করে, যা শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী করে তোলে। এভাবে, এটি বাংলাদেশের যুবকদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
সিলেট পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে একটি বৃহৎ জামে মসজিদ রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় কার্যক্রম ও আধ্যাত্মিক প্রয়োজন মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত। মসজিদটি সুন্দরভাবে নির্মিত এবং প্রশস্ত, যেখানে একসাথে অনেক মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। এখানে নিয়মিত জুমার নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এটি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সাদৃশ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সহায়ক।
প্লে-গ্রাউন্ড
শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা এবং অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি সুবিশাল প্লেগ্রাউন্ড রয়েছে।
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
প্রিন্সিপাল | ১ জন |
ভাইস প্রিন্সিপাল | ১ জন |
চিফ ইনস্ট্রাকটর বা ডিপার্টমেন্ট প্রধান | ১১ জন |
ইনস্ট্রাকটর এবং ওয়ার্কশপ সুপার | ১৭ জন |
জুনিয়র শিক্ষক | ৩৪ জন |
টেকনিক্যাল সাপোর্টিং স্টাফ | ২০ জন |
নন টেকনিক্যাল সাপোর্টিং স্টাফ | ৪০ জন |
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক কার্যক্রম
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ডিপ্লোমা কোর্সসমূহ
সিলেট পলিটেকনিক এর ওয়েবসাইট তথ্যমতে বর্তমানে চার বছর মেয়াদী ৭ টি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট চালু আছে। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে একের অধিক গ্রুপ আছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে ৭ টি ডিপার্টমেন্টে মোট ৭৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ পেয়ে থাকে। নিচে টেবিলে ডিপার্টমেন্ট, গ্রুপ ও সিট সংখ্যা তুলে ধরা হল।
ডিপার্টমেন্ট | সিট সংখ্যা |
ইলেকট্রিক্যাল | ১০০ টি |
সিভিল | ১৫০ টি |
কম্পিউটার | ১০০ টি |
মেকানিক্যাল | ১০০ টি |
ইলেকট্রনিক্স | ১০০ টি |
ইলেকট্রোমেডিকেল | ১০০ টি |
পাওয়ার | ৫০ টি |
ছাত্র সংগঠন
সিলেট পলিটেকনিক এর শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি দলের সাথে যুক্ত আছে। যেখানে একাডেমিক পড়াশোনা ছাড়াও বিভিন্ন কারিকুলাম ও রাজনৈতিক চর্চা হয়ে থাকে।
- টিম কারিগর – প্রযুক্তি ফোকাস একটি টিম।
- এলমনাই এসোসিয়েশন।
- বাংলাদেশ পলিটেকনিক স্টুডেন্ট ফোরাম-সিপিএসএফ
- বাংলাদেশ পলিটেকনিক সাধারণ ছাত্র পরিষদ
- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ছাত্রদল
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
ছাত্রাবাস
সিলেট পলিটেকনিক এর ছাত্রদের জন্য দুইটি এবং ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল রয়েছে। হলগুলো হল:
- সুরমা ছাত্রাবাস
- প্রতিভা ছাত্রাবাস
- মহিলা ছাত্রাবাস
উল্লেখ্য যে, প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে কিছু তথ্য একই থাকে। যার প্রদান কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ হয় বলে। তাই নিচের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো একটি মাত্র ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে রাখা হয়েছে যেন, যে কেউ খুব সহজে তথ্যগুলো পেতে পারে এবং একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত পেয়ে যায়। যেমন, শিক্ষা ব্যবস্থা, কোটা পদ্ধতি, বৃত্তি, সরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ, ক্লাসের সময়সূচি, ভর্তির যোগ্যতা, কোর্সের সময়সীমা, গ্রেডিং সিস্টেম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা। তাছাড়া আরও জানতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবিধান দেখুন।
লিমা খাতুন, সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,
<https://abhinoboschool.com/সিলেট-পলিটেকনিক-ইনস্টিটিউট/>
সিলেট পলিটেকনিক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কি কি টেকনোলজি আছে?
উক্ত প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, পাওয়ার, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার এবং ইলেকট্রো মেডিকেল টেকনোলজি আছে।
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে লাইব্রেরি আছে কি?
হ্যাঁ, সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি সুবিশাল লাইব্রেরি রয়েছে। এখানে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ও একাডেমিক বই, জার্নাল এবং অন্যান্য রিসোর্স পাওয়া যায়, যা শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও অধ্যয়নে সহায়তা করে।