উচ্চ শিক্ষা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আপনি কখনো ভেবে দেখেছেন কেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (SUST) বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি? সিলেটে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধুমাত্র শিক্ষা ক্ষেত্রেই নয়, বরং গবেষণা ও উদ্ভাবনে এক নতুন মাত্রা যোগ করছে। আপনি যদি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে আগ্রহী হন, তাহলে SUST আপনার জন্য আদর্শ জায়গা হতে পারে। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার উদ্ভাবনী শিক্ষার জন্য বিখ্যাত। এখানে ছাত্র-ছাত্রীরা শুধু গুণগত শিক্ষা নয়, গবেষণা, প্রযুক্তি, এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেদেরকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে পারে। 

Table of Contents

ভিশন (Vision)

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠা যা শুধু দেশের জন্যই নয়, পুরো বিশ্বের জন্য জ্ঞান ও উদ্ভাবনের কেন্দ্র হয়ে উঠবে। 

মিশন (Mission)

  • সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে  শিক্ষাপ্রদানের মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
  • নতুন জ্ঞান ও আবিষ্কার সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।
  • বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে আরো টেকসই উন্নয়নের দিকে ধাবিত করা।
ইআইআইএন (EIIN)১৩৬৬২০
নীতিবাক্যInner Spirit, Vision and Effort
ব্যবস্থাপনাসরকারি
শিক্ষার্থী ধরণসহশিক্ষা
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
বাংলায়শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)
ইংরেজিতে (ব্লক লেটার)SHAHJALAL UNIVERSITY OF SCIENCE AND TECHNOLOGY (SUST)
স্থাপিত২৫ আগস্ট, ১৯৮৬
ফোন০২৯৯৬৬৩২২১০
মোবাইল০১৭১১১৫৬৭৬২,০১৭১১১৫৬৭৬২
ই-মেইলregistrar@sust.edu
ওয়েবসাইটwww.sust.edu
স্থায়ী ক্যাম্পাস ৩২০ একর
ঠিকানা
হোল্ডিং নম্বর/রোডসিলেট
মৌজাইটেম স্কুল রোড
পোস্ট কোড৩১১৪
ওয়ার্ডওয়ার্ড নং-০৯
উপজেলা/থানাসিলেট সদর
জেলাসিলেট
বিভাগসিলেট
ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত তথ্য
পরিচালনা পর্ষদের ধরনস্ট্যাচুটরিবডিি
মোট ডিপার্টমেন্ট ২৮
কোলাবোরেশন৮টি দেশের ৮টি ভিন্ন ইউনিভার্সিটির সাথে
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস৩২০ একর
বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ৩২০ একর
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে মোট বইয়ের সংখ্যা১,৮০০০০

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয় এর ইতিহাস

দীর্ঘ সংগ্রাম ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। সে সময় এটি ছিল দেশের একমাত্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এর আনুষ্ঠানিকভাবে  যাত্রা শুরু হয় ১লা ফাল্গুন (১৩ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯১), মাত্র তিনটি বিভাগ-পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও অর্থনীতি নিয়ে। তখন শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩ জন, আর শিক্ষার্থী ২০৫ জন।

এরপর থেকে শাবিপ্রবির উন্নয়ন হয়েছে চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে এতে রয়েছে ৭টি স্কুল, ২৭টি বিভাগ এবং ২টি ইনস্টিটিউট। শিক্ষক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৬ জনে, আর শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৮,৫৯৬। এর পাশাপাশি মেডিকেল সায়েন্স স্কুলের অধীনে রয়েছে ১২টি অনুমোদিত মেডিকেল কলেজ, যেখানে অধ্যয়ন করছে প্রায় ৪,০০০ শিক্ষার্থী।

বাংলাদেশে ইন্টিগ্রেটেড অনার্স প্রোগ্রাম চালু করা প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল শাবিপ্রবি। ১৯৯৬–৯৭ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টি সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করে, যা শিক্ষার মানে দৃশ্যমান উন্নতি এনেছে, এমনকি জাতীয় পর্যায়েও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ভবিষ্যতের দিক বিবেচনায়, শাবিপ্রবি আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিং এ পৌঁছানোর লক্ষ্যে গবেষণা, শিক্ষার গুণমান ও একাডেমিক কার্যক্রমে আরও  উন্নতি সাধনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান ও ক্যাম্পাস বিবরণ

আপনি যদি হোন প্রকৃতিপ্রেমী, তাহলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরুপ সৌন্দর্যে আপনি বিমোহিত হতে বাধ্য। সিলেট শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ক্যাম্পাসটির সকাল শুরু হয় পাখির কলতান আর মৃদু বাতাসে। সুবজে ঘেরা বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন প্রকৃতি আর প্রযুক্তির এক অপূর্ব মিলনস্থল। এই সবুজ গাছপালা আর প্রশস্ত খোলা মাঠ শুধু পড়াশোনার পরিবেশই নয়, বরং মানসিক প্রশান্তিও এনে দেয়।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুবিধা

দেশের এত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ প্রদান করে থাকে। কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্ত সাপেক্ষে নির্দিষ্ট টেকনিক্যাল সাবজেক্টগুলোতে ভর্তি হতে পারে। বিশেষ করে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এই সাবজেক্ট গুলোতে নির্দিষ্ট আসন সংখ্যক ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সঠিক প্রস্তুতি ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সহজেই যেকেউ এই ৩২০ একরের ক্যাম্পাসে নিজের জায়গা করে নিতে পারে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ

দেশের সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। ১৯৯১ সালে ৩টি বিভাগ নিয়ে একাডেমিক যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এটি ৭টি স্কুল, ২৮টি ডিপার্টমেন্ট ও ২টি ইন্সটিটিউট নিয়ে সমৃদ্ধ। কেন সাস্ট অন্যতম তা তুলে ধরা হলো-

  • মাল্টিডিসিপ্লিনারি একাডেমিক কার্যক্রম যেখানে শিক্ষার্থীরা ৭টি স্কুলের অধীনে ২৮টি ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করতে পারে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে আধুনিক আইটি অবকাঠামো, যার মধ্যে রয়েছে হাই-স্পিড নেটওয়ার্কিং, ক্লাউড ও ভার্চুয়ালাইজেশন সুবিধা, ক্যাম্পাস অটোমেশন সিস্টেম, এবং ২৪/৭ টিয়ার-৩ ডেটা সেন্টার।
  •  ২০২৫ সালের QS Asia র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩৪২তম স্থানে রয়েছে, EduRank অনুযায়ী, SUST বাংলাদেশের মধ্যে ১১তম এবং বিশ্বব্যাপী ৩৪৪৮তম স্থানে রয়েছে ।
  • ৩২০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই ক্যাম্পাসে রয়েছে শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়াম, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, ছাত্রাবাস, এবং সবুজ পরিবেশ।
  • SUST-এর ভর্তি হার প্রায় ১২%, যা বিশ্ববিদ্যালয় কেন সেরা তার প্রমাণ।
  • SUST-এর গবেষণা প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মাইক্রোওয়েভ ফোটোনিক্স, অপটিক্যাল সিগন্যাল প্রসেসিং, ভিএলএসআই ডিজাইন, এবং সোলার সেল ফ্যাব্রিকেশন ।
  • এখানে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থী শুধু একাডেমিক পড়াশোনার জন্য সেরা পরিবেশ পাবে না, বরং নিজে মেধা ও মনন চর্চার জন্য বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের সান্নিধ্যও পাবে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর একাডেমিক প্রোগ্রাম ও বিভাগসমূহ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি ৭টি স্কুল, ২৭টি বিভাগ এবং ২টি ইনস্টিটিউট নিয়ে গঠিত। এছাড়া, মেডিকেল সায়েন্স স্কুলের অধীনে ১২টি অনুমোদিত মেডিকেল কলেজ রয়েছে। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রায় ৭৫০জনের মতো শিক্ষক ও শিক্ষিকা রয়েছেন। 

একাডেমিক স্কুল ও বিভাগসমূহ

কৃষি ও খনিজ বিজ্ঞান স্কুল (School of Agriculture and Mineral Sciences)

  • বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান (Forestry & Environmental Science)

প্রয়োগিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্কুল (School of Applied Sciences and Technology)

  • স্থাপত্য (Architecture)
  • রাসায়নিক প্রকৌশল ও পলিমার বিজ্ঞান (Chemical Engineering & Polymer Science)
  • সিভিল ও পরিবেশ প্রকৌশল (Civil & Environmental Engineering)
  • কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (Computer Science & Engineering)
  • ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (Electrical & Electronic Engineering)
  • খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি (Food Engineering & Tea Technology)
  • ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (Industrial & Production Engineering)
  • যান্ত্রিক প্রকৌশল (Mechanical Engineering)
  • পেট্রোলিয়াম ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (Petroleum & Mining Engineering)
  • সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং (Software Engineering)

জীবন বিজ্ঞান স্কুল (School of Life Sciences)

  • বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি (Biochemistry and Molecular Biology)
  • জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি (Genetic Engineering and Biotechnology)

ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসা প্রশাসন স্কুল (School of Management and Business Administration)

  • ব্যবসা প্রশাসন (Business Administration)

মেডিকেল সায়েন্স স্কুল (School of Medical Sciences)

  • এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট
  • শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জ
  • জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ
  • নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ
  • সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ
  • পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজ

ভৌত বিজ্ঞান স্কুল (School of Physical Sciences)

  • রসায়ন (Chemistry)
  • ভূগোল ও পরিবেশ (Geography and Environment)
  • গণিত (Mathematics)
  • পদার্থবিজ্ঞান (Physics)
  • পরিসংখ্যান (Statistics)
  • সমুদ্রবিজ্ঞান (Oceanography)

সমাজবিজ্ঞান স্কুল (School of Social Sciences)

  • নৃবিজ্ঞান (Anthropology)
  • বাংলা (Bangla)
  • অর্থনীতি (Economics)
  • ইংরেজি (English)
  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Political Studies)
  • লোকপ্রশাসন (Public Administration)
  • সমাজকর্ম (Social Work)
  • সমাজবিজ্ঞান (Sociology)

ইনস্টিটিউটসমূহ

  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (Institute of Information and Communication Technology – IICT)
  • আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট (Institute of Modern Languages – IML)

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য

লাইব্রেরি সুবিধা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (SUST) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ইতিহাস অনেকটাই সমৃদ্ধ। ১৯৯০ সালে মাত্র কিছু বই ও চারটি কক্ষে শুরু হলেও আজ এটি একটি আধুনিক ৪ তলা ভবনে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা সেবা প্রদান করা হয়। এখানে ৭৫,০০০+ বই, ৬,০০০+ জার্নাল এবং ২৩টি দৈনিক পত্রিকা রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জনে সহায়ক।

এছাড়া, গ্রন্থাগারটি ২৫,০০০+ ই-জার্নাল এবং ই-বুক সাবস্ক্রাইব করে, যা আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও পড়াশোনায় আরও এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আধুনিকায়িত লাইব্রেরিটি KOHA সফটওয়্যারের মাধ্যমে ২০১৩ সাল থেকে ডিজিটালাইজড হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সহজেই বই খুঁজে পেতে পারে এবং RFID সিস্টেমের মাধ্যমে বই ধার নেওয়া যায়।

বিশেষত, গ্রন্থাগারটি প্রতিবছর নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম আয়োজন করে, যাতে তারা সম্পূর্ণভাবে গ্রন্থাগারের সুবিধাগুলি ব্যবহার করতে পারে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল, এখানে রয়েছে একটি “মুক্তিযুদ্ধ কর্নার”, যেখানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত ২,০০০+ বই ও উপকরণ সংরক্ষিত রয়েছে, যা ইতিহাসের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে তোলে।

হোস্টেল/আবাসিক হল

শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা প্রদানের জন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (SUST) বর্তমানে মোট ৬টি আবাসিক হল রয়েছে। যার মধ্যে ৩টি ছেলেদের জন্য ও ৩টি মেয়েদের জন্য বরাদ্দ। 

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
  • শাহ পরান হল
  • সৈয়দ মুজতবা আলী হল
  • ফার্স্ট লেডিস হল
  • শহীদ জননী জাহানারা ইমাম হল
  • বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল

এছাড়া, মেয়েদের জন্য কিছু বেসরকারি আবাসিক হলও রয়েছে, যেমন: দারুল আমান ছাত্রাবাস, আমির কমপ্লেক্স, ফজল কমপ্লেক্স, সামাদ হাউস, মা মঞ্জিল ও সুনু মিয়া কমপ্লেক্স। এই আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবেশে বসবাস করতে পারেন। 

ক্লাব এবং সংগঠনসমূহ

বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু একাডেমিক গন্ডির মধ্যে  সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং চর্চা হয় সৃজনশীলতার। তাইতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব একটিভিস্টিজে যুক্ত হতে পারে। কেউ হয়তো যুক্ত হয় Shahjalal University Debating Society (SUDS)-এ যুক্তি আর বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের জন্য, কেউবা Shahjalal University Photographers Association (SUPA)-তে থেকে লেন্সে ধরে রাখে জীবনের গল্প।

SUST Career Club, Shahjalal University Speakers Club বা Kaizen SUST-এর মতো সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ প্রফেশনাল জীবনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে তুলছে।

শাহজালাল ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফি অ্যাসোসিয়েশন (SUPA)বাইনারি সাস্ট
শাহজালাল ইউনিভার্সিটি প্রেস ক্লাবস্টুডেন্ট এইড সাস্ট
শাহজালাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (SUDS)বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি 
সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব(SUSTCC)ক্যারিয়ার ডিজাইন সেন্টার
সাস্ট স্কুল অফ ডিবেট(SUST-SD)অনিকেত সাংস্কৃতিক সংঘ
অঙ্গিকার সাংস্কৃতিক সংসদসাস্ট সাহিত্য সংসদ
টুরিস্ট ক্লাব সাস্টইউনিসেব সাস্ট উং
শিখড়কাইজান সাস্ট
চোখ ফিল্ম সোসাইটিআজ মুক্তমঞ্চ
রোকন ইফতেখার মেমোরিয়াল (RIM)বিজ্ঞানের জন্য ভালোবাসা
থিয়েটার সাস্টকোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন : সাস্ট সেল
নোঙ্গরস্পোর্টস সাস্ট
দিক থিয়েটার শাহজালাল ইউনিভার্সিটি স্পিকার্স ক্লাব(SUSC)
সাস্ট সায়েন্স এরেনাকার্টুন ফ্যাক্টরি 
স্পোর্টস সাস্টসঞ্চালন
সাস্ট রাইটার্স ক্লাবগ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি (GES)

কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার (CIC)

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯১ সালে কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার (CIC) প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্যপ্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে। বর্তমানে এখানে আধুনিক ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক, টিয়ার-৩ ডেটা সেন্টার, ক্লাউড ও ভার্চুয়াল সার্ভার, ক্যাম্পাস সুপারভিশন, ইউনিভার্সিটি অটোমেশন সিস্টেমসহ সর্বাধুনিক আইটি সুবিধা রয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সব ভবন ও খোলা স্থানকে সংযুক্ত করেছে। HEQEP ও “সাঁওন” প্রকল্পের অর্থায়নে এই সেন্টারটি গড়ে উঠে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক ক্লাসরুম যা BDREN এর অর্থায়নে করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজকর্মে CIC বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সেন্টার অফ এক্সিলেন্স (Centre of Excellence)

স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের  পড়াশোনা ও গবেষণা কাজে নানা ধরনের যন্ত্রপাতি, ল্যাব ও ট্রেনিং এর প্রয়োজন হয়। আর এই বিশেষ কাজটি করে থাকে ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ যা কিনা ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের দক্ষ গবেষক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স নানা বিষয়ে ওয়ার্কশপ ও ট্রেনিং এর আয়োজন করে থাকে।

ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (IQAC)

প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার মান বজায় রাখার জন্য কাজ করে থাকে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স।  ঠিক তেমনিভাবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার গুনগত মান যাতে বজায় থাকে, সেজন্য ২০১৫ সালে HEQEP এর সহায়তায় IQAC চালু হয়। প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট ও ইন্সটিটিউট এর শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে নিগূঢ়ভাবে গবেষণা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়ে থাকে।

সাস্ট রিসার্চ সেন্টার(Sust Research Centre)

একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হচ্ছে গবেষণা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  গবেষণা কার্যক্রম ঠিকভাবে পরিচালনা করতে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সাস্ট রিসার্চ সেন্টার। সেন্টারটি গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় ফান্ড ম্যানেজ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব ল্যাব Facilities এর ব্যবস্থা করে থাকে। এই সেন্টারটি  বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট বা কোলাবোরেটিভ রিসার্চ করার জন্য শিক্ষকদের অনুপ্রানিত করে। বিভিন্ন ওয়ার্কশপের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজেক্টের রিসার্চ কার্যক্রমের ফলাফল তুলে ধরা হয়।

ভর্তি প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা (Admissions Requirements)

অন্যান্য ২৪টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়র মতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও ক্লাস্টার এডমিশনের মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে।

ভর্তি প্রক্রিয়া

  • অনলাইন আবেদন: প্রথমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে GST পোর্টালে আবেদন ফি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করে আবেদন করতে হয়।
  • ভর্তি পরীক্ষা: আবেদনকারীরা ইউনিটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মূলত ‘A’ ও ‘B’ ইউনিটে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভিন্নভাবে অংশ নেয়।
  • মেধা তালিকা: ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে একটি মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরে মেধাক্রম অনুযায়ী বিভাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
  • ভর্তি সম্পন্নকরণ: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।

যোগ্যতা

  • এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় নির্দিষ্ট জিপিএ: সাধারণত বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে GPA 4.00 বা তদূর্ধ্ব (উভয় পরীক্ষায় আলাদা করে এবং সম্মিলিতভাবে) থাকতে হয়। অন্যান্য বিভাগের জন্য আলাদা নিয়ম প্রযোজ্য হয়।
  • নির্ধারিত বিষয় থেকে উত্তীর্ণ হওয়া: উদাহরণস্বরূপ, ‘B’ ইউনিটে ভর্তির জন্য পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত/জীববিজ্ঞান বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়।
  • বর্তমান বছরের ও পূর্ববর্তী বছরের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারে (নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে)।

SUST-এর ভর্তি প্রক্রিয়া অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ও স্বচ্ছ। প্রতিবছর সারাদেশ থেকে হাজারো মেধাবী শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনার সুযোগ পেতে চায়।

 দরকারি ডকুমেন্টস

  • ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র (Admit Card)
  • ভর্তি প্রক্রিয়ার অফার লেটার / মেধাতালিকা অনুসারে নির্বাচিত প্রমাণপত্র 
  • এসএসসি ও এইচএসসি (বা সমমান) পরীক্ষার মূল সনদপত্র ও নম্বরপত্র (Marksheet)
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন সনদ
  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • চারিত্রিক সনদপত্র
  • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা/আদিবাসী/উপজাতি/বিশেষ কোটার সনদ
  • ভর্তি ফি জমাদানের রশিদ/চালান কপি
  • ইউনিটভিত্তিক অন্যান্য প্রয়োজনীয়

ভর্তি কার্যক্রমের সময় এসব কাগজপত্র নির্দিষ্ট তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে গিয়ে যাচাই করে জমা দিতে হয়। সব ডকুমেন্টস সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখা, সত্যায়িত কপি সঙ্গে নেওয়া, এবং প্রয়োজন হলে সফটকপি সংরক্ষণ করাও ভালো।

টিউশন ফি (Tuition Fees) – কোর্সভিত্তিক খরচ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (SUST) দেশের অন্যতম সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি তুলনামূলকভাবে খুবই কম এবং নাগালের মধ্যে রাখা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগ বা অনুষদের কোর্স অনুযায়ী ফি’র পরিমাণ ভিন্ন হয়, তবে মূল কাঠামো প্রায় একই রকম। ভর্তি ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি, পরীক্ষার ফি এবং অন্যান্য সেবা বাবদ কিছু নির্ধারিত খরচ রয়েছে, যা সাধারণত সেমিস্টারভিত্তিক আদায় করা হয়।

যেমন ধরুন, প্রকৌশল বা বিজ্ঞান অনুষদের কোর্সগুলোতে সাধারণত কিছু বাড়তি খরচ থাকে ল্যাবরেটরি, প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য। আবার মানবিক বা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের খরচ তুলনামূলকভাবে কম।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে এসব ফি হালনাগাদ করে এবং তা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দেয় যাতে শিক্ষার্থীরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে পারে। অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে স্কলারশিপ ও ফি মওকুফের সুযোগ, যা আবেদন সাপেক্ষে বিবেচনা করা হয়।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও র‍্যাংকিং

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গ্লোবালি কানেক্টেড একটি গবেষনা ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৮টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলাবোরেশান আছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিভিন্ন সুযোগ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে সুইডেন গ্লোবাল ওয়াটার পার্টনারশিপ, ইউএসএর ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি, USAID, TU Delft এর মতো গবেষণা সহযোগী সংগঠন।

র‍্যাংকিং

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (SUST) ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশে ১১তম এবং বিশ্বের মধ্যে ৩৪৪৮তম অবস্থানে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ৫১টি গবেষণার ক্ষেত্রের মধ্যে শীর্ষ ৫০%-এ স্থান পেয়েছে। 

শেষকথা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (SUST) শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি হাজারো স্বপ্নবাজ তরুণের আশ্রয়, গর্ব আর সম্ভাবনার একটি নাম। আপনি যদি এমন একটি পরিবেশে নিজেকে দেখতে চান যেখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাহিত্য, সংস্কৃতি আর মানবিক চেতনা একসাথে বিকশিত হয়, তাহলে SUST হতে পারে আপনার জন্য সেরা ঠিকানা। এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ডিগ্রি দেয় না, গড়ে তোলে দায়িত্বশীল নাগরিক, চিন্তাশীল মানুষ। এখানকার প্রতিটি ক্লাসরুম, সংগঠন, হল কিংবা সবুজ ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে শেখায়। একবার পা রাখলেই আপনি বুঝবেন, এটা কেবল বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এ যেন এক অনন্য অভিজ্ঞতার যাত্রা। আসুন, স্বপ্ন গড়ার এই যাত্রায় আপনিও অংশ নিন।


লিমা খাতুন,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-৭ জুলাই, ২০২৫,
<https://abhinoboschool.com/শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়/>

শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে

লেখক সম্পর্কে

mstlima

নিউজ
চাকরি
Home
Question
Search