ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (MPI) বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা ময়মনসিংহের মাসকান্দা, সদর এলাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের প্রযুক্তিগত শিক্ষার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই ইনস্টিটিউটটি যান্ত্রিক, বৈদ্যুতিক, সিভিল, কম্পিউটার টেকনোলজি, টেলিকমিউনিকেশন, এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম প্রদান করে। এই আর্টিকেলে আমরা ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিস্তারিতভাবে জানবো।
- ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইতিহাস
- ভিশন ও মিশন
- প্রিন্সিপালের বার্তা
- ভাইস প্রিন্সিপালের বার্তা
- পরিচালনা পর্ষদ
- ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সুযোগ সুবিধা
- ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
- ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক কার্যক্রম
- ময়মনসিংহ পলিটেকনিক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইতিহাস
এটি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বর্ষে মাত্র ১২০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং তিনটি টেকনোলজি (সিভিল, ইলেট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল) নিয়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়। পরর্বতীতে ফার্ম টেকনোলজি নামে নতুন একটি প্রযুক্তি চালু হয়। ৮০-র দশকে ফার্ম টেকনোলজি, “পাওয়ার টেকনোলজি” নামে রুপান্তরিত হয়। বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদী এই কোর্সে ৭টি টেকনোলজি ও একটি রিলেটড সাবজেক্টের জন্য নন-টেক বিভাগ চলমান রয়েছে।
২৭.৪ একর জমির উপর বিস্তৃত এই প্রতিষ্ঠানটি তার একাডেমিক ভবন, ওয়ার্কশপ/ল্যাবরেটরি, হোস্টেল, লাইব্রেরি এবং অন্যান্য আধুনিক সুবিধার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষার পরিবেশ প্রদান করে আসছে। MPI এর প্রতিষ্ঠার পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের শিল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা এবং এই লক্ষ্য অর্জনে ইনস্টিটিউট সফলভাবে কাজ করে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটি আজও তার শিক্ষার মান এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের কারিগরি শিক্ষা খাতে একটি নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে।
ভিশন ও মিশন
ভিশন
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মৌলিক ট্রেড কোর্স প্রশিক্ষণের মান নিশ্চিত করার জন্য প্রধান কার্য সম্পাদন করা।
মিশন
- সমসাময়িক টেকসই প্রযুক্তিগত কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
- মানবসম্পদ উন্নয়ন
- কর্মসংস্থান
- জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন
- শিল্প সম্প্রসারণ
- জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নতি।
প্রিন্সিপালের বার্তা
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের (MPI) পক্ষ থেকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১৯৬৩ সালে মাসকান্দা, সদর, ময়মনসিংহে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, পাওয়ার, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার এবং ইলেক্ট্রো-মেডিকেল টেকনোলজি নামে ৭ (সাত)টি প্রযুক্তি বিভাগ রয়েছে। ২৭.৪ একর জমির উপর অবস্থিত এই বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভবন, ওয়ার্কশপ/ল্যাবরেটরি এবং সেরা শিক্ষা সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও এখানে দুটি ছেলেদের হোস্টেল এবং একটি মেয়েদের হোস্টেল রয়েছে, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি সব ধরনের আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ক্যাম্পাসে একটি আবাসিক ভবনও রয়েছে। এখানে রয়েছে জ্ঞানার্জনের জন্য বিশাল বই সমৃদ্ধ একটি আধুনিক লাইব্রেরি, প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথের পাশে একটি মসজিদ, সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের জন্য একটি বড় অডিটোরিয়াম এবং একটি বড় খেলার মাঠ।
বাংলাদেশের কারিগরি ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য যথাযথ দিকনির্দেশনা ও কাউন্সেলিং বজায় রেখে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক উন্নত মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রদানের জন্য আমরা সর্বদা আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সরকারের TVET সম্পর্কিত এজেন্ডার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা।
ভাইস প্রিন্সিপালের বার্তা
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লক্ষ্য হল প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ পেশাদার তৈরি করা এবং সেইসাথে ব্যাপক উপায়ে চিন্তা করতে সক্ষম করা। একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং ছাত্রদের নিয়োগযোগ্যতার উপর ফোকাস সহ আমাদের একটি শক্তিশালী পেশাদার অভিযোজন রয়েছে। আমরা আশা করি, আপনি একজন ছাত্র, নিয়োগকর্তা, সহকর্মী বা শুভাকাঙ্ক্ষী যেই হন না কেন, আমাদের একাডেমিক অভিজ্ঞতা এবং অফিসিয়াল চিঠিপত্রের মাধ্যমে আমাদের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিশেষত্ব সম্পর্কে জানতে পারবেন। ইনস্টিটিউটের একটি উচ্চ যোগ্য শিক্ষণ অনুষদ রয়েছে যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা প্রদান করে। আমরা এমন প্রোগ্রাম এবং পরিষেবা অফার করি যা আমাদের সম্প্রদায় এবং অর্থনীতির প্রয়োজন দ্বারা চালিত হয়। ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লক্ষ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গি হল সবচেয়ে আধুনিক কৌশলগুলির সাথে দেশে এবং বিদেশে উভয়ের জন্য দক্ষ জনশক্তি এবং বাজারযোগ্য কর্মী তৈরি করা। আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা।
পরিচালনা পর্ষদ
মন্ত্রণালয় ও বিভাগঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের “শিক্ষা মন্ত্রণালয়” এর “কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ” এর অধিনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসনিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর” ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -এর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
একাডেমিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” এফপিআই এর একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সুযোগ সুবিধা
লাইব্রেরি
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরি শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। লাইব্রেরিতে প্রযুক্তিগত এবং সাধারণ বই, জার্নাল, ম্যাগাজিন, এবং অন্যান্য রিসোর্স পাওয়া যায়। লাইব্রেরিটি নিয়মিতভাবে নতুন বই এবং জার্নাল দিয়ে আপডেট করা হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা সর্বশেষ তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারে। এছাড়াও, এখানে ই-লাইব্রেরির সুবিধাও রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের অনলাইন রিসোর্স এবং ডেটাবেসে প্রবেশ করতে সহায়তা করে।
অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রতিটি বিভাগের জন্য বিশেষায়িত অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি রয়েছে। এখানে যান্ত্রিক, বৈদ্যুতিক, সিভিল, কম্পিউটার টেকনোলজি, টেলিকমিউনিকেশন, এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। এই ল্যাবগুলিতে সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার সুযোগ প্রদান করে। প্রতিটি ল্যাবরেটরিতে দক্ষ প্রশিক্ষক এবং টেকনিশিয়ানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে পারে।
কম্পিউটার ল্যাব
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক এর কম্পিউটার ল্যাবে উন্নতমানের কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার সজ্জিত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখানে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা, ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, এবং অন্যান্য কম্পিউটার সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে। ল্যাবটি সর্বদা আপডেট করা হয় এবং ইন্টারনেট সুবিধা সহ সব আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। এছাড়াও, ল্যাবে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা সবসময় শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্য উপস্থিত থাকেন।
কর্মশালা ও সেমিনার
প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন কর্মশালা এবং সেমিনার আয়োজন করে, যা শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিক্যাল দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধি করতে সহায়ক। এই কর্মশালা এবং সেমিনারগুলিতে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বক্তৃতা প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করেন। এর ফলে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির সর্বশেষ প্রবণতা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে।
মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চাসহ বিভিন্ন খেলাধুলা পরিচালনা করার জন্য রয়েছে একটি মাঠ বা স্টেডিয়াম। উক্ত মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন সহ বিভিন্ন আউটডোর খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ বা স্টেডিয়ামে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা সহ একটি প্যাভিলিয়ন রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য।
ইন্টারনেট সুবিধা
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসজুড়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের যেকোনো স্থান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে, যা তাদের গবেষণা, অনলাইন শিক্ষা, এবং অন্যান্য শিক্ষামূলক কার্যক্রমে সহায়তা করে। এছাড়াও, ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনলাইন কোর্স এবং ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করতে পারে, যা তাদের শিক্ষার পরিধি আরও বৃদ্ধি করে।
আবাসিক হল
দূরের শিক্ষার্থীদের জন্য ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদের জন্য দুইটি এবং ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হলের সুবিধা প্রদান করে। আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরিবিলি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে, যেখানে তারা নিশ্চিন্তে অধ্যয়ন করতে পারে।এখানে নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয়। এছাড়াও, আবাসিক হলে বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রম এবং খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক।
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
প্রিন্সিপাল | ১ জন |
ভাইস প্রিন্সিপাল | ১ জন |
চিফ ইনস্ট্রাকটর বা ডিপার্টমেন্ট প্রধান | ৩৫ জন |
ইনস্ট্রাকটর এবং ওয়ার্কশপ সুপার | ৫২ জন |
জুনিয়র শিক্ষক | ৩৩ জন |
টেকনিক্যাল সাপোর্টিং স্টাফ | ৪৯ জন |
নন টেকনিক্যাল সাপোর্টিং স্টাফ | ৫৩ জন |
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক কার্যক্রম
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ডিপ্লোমা কোর্সসমূহ
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক এর তথ্যমতে বর্তমানে তারা ৭ টি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট চালু রেখেছে। একটি সেশনে সর্বমোট প্রায় ৯৬০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ পেয়ে থাকে। অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ক্ষেত্রে প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট এর অধীনে একের অধিক গ্রুপ থাকলেও ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর শুধুমাত্র একটি করে গ্রুপ রয়েছে। নিচে তা টেবিল আকারে তুলে ধরা হল।
ডিপার্টমেন্ট | গ্রুপ | সিট সংখ্যা |
সিভিল | ২ টি | ১৯২ |
ইলেক্ট্রিক্যাল | ২ টি | ১৯২ |
মেকানিকাল | ১ টি | ৯৬ |
পাওয়ার | ১ টি | ৯৬ |
ইলেক্ট্রো মেডিকেল | ১ টি | ৯৬ |
কম্পিউটার | ১ টি | ৯৬ |
ইলেক্ট্রনিক্স | ১ টি | ৯৬ |
ছাত্রাবাস
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউট এর অধীনে দুইটি ছাত্রাবাস রয়েছে এবং ছাত্রীদের জন্য আলাদা আরেকটি আবাসিক হল রয়েছে। প্রতিটি ছাত্রাবাসে রয়েছে আধুনিক সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা। তবে বিল্ডিংগুলো বেশ পুরাতন।
- শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন হল
- শহীদ খায়রুল জাহান হল
- মহুয়া ছত্রী হল
উল্লেখ্য যে, প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে কিছু তথ্য একই থাকে। যার প্রদান কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ হয় বলে। তাই নিচের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো একটি মাত্র ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে রাখা হয়েছে যেন, যে কেউ খুব সহজে তথ্যগুলো পেতে পারে এবং একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত পেয়ে যায়। যেমন, শিক্ষা ব্যবস্থা, কোটা পদ্ধতি, বৃত্তি, সরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ, ক্লাসের সময়সূচি, ভর্তির যোগ্যতা, কোর্সের সময়সীমা, গ্রেডিং সিস্টেম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা। তাছাড়া আরও জানতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবিধান দেখুন।
লিমা খাতুন, ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,
<https://abhinoboschool.com/ময়মনসিংহ-পলিটেকনিক-ইনস্টিটিউট/>
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর লাইব্রেরি আছে কি?
হ্যাঁ, ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি সুবিশাল লাইব্রেরি রয়েছে। শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি থেকে বই ধার নেওয়ার পাশাপাশি জার্নাল এবং অন্যান্য রিসোর্স পাওয়া যায়।
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর খেলার মাঠ আছে কি?
হ্যাঁ, ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি খেলার মাঠ রয়েছে। এখানে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ আছে।