বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অন্যতম। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত এবং দেশের প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করা হয়েছে। চলুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে জেনে নেয়:
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইতিহাস
- ভিশন ও মিশন
- পরিচালনা পর্ষদ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সুযোগ সুবিধা
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক কার্যক্রম
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইতিহাস
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যতম প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। এই প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে পরিচালিত হয় এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স প্রদান করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের তরুণ প্রজন্মকে উচ্চমানের প্রযুক্তি শিক্ষা প্রদান করা এবং তাদেরকে দক্ষ প্রযুক্তিবিদ হিসেবে গড়ে তোলা।
এটি প্রায় ২.৩০ একর জমির ওপর অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক ল্যাবরেটরি, গ্রন্থাগার, ওয়ার্কশপ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধার দিক থেকে অনেকটাই সমৃদ্ধ। শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষার মাধ্যমে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। এটি শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চমানের প্রযুক্তি শিক্ষা প্রদান করে এবং তাদেরকে দক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক চাকরি বাজারে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রযুক্তি শিক্ষা এবং দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
ভিশন ও মিশন
ভিশন
কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানবসম্পদ সৃষ্টি।
মিশন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল লক্ষ্য হলো মানসম্মত কর্মমুখী, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদান করা। এই লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদেরকে পেশাগত জীবনে সফল হতে সহায়তা করে এবং তাদের দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এই মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে অবদান রেখে চলেছে।
পরিচালনা পর্ষদ
মন্ত্রণালয় ও বিভাগঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের “শিক্ষা মন্ত্রণালয়” এর “কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ” এর অধিনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসনিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর” ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -এর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
একাডেমিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” ডিপিআই এর একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সুযোগ সুবিধা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের পাশে সবুজ শ্যামলিমার মাঝে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অবস্থিত। এই মনোরম ও প্রশান্তিময় পরিবেশ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য অনুকূল। প্রায় ২.৩০ একর জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা ও সুবিধাসমূহ প্রদান করে। এখানে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ সম্পাদনের জন্য রয়েছে ৫-তলা বিশিষ্ট ভিন্ন ভিন্ন দুটি ভবন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সুস্থ মানসিক বিকাশের উদ্দেশ্য সংস্কৃতিচর্চার জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক আসনবিশিষ্ট এক বিশাল মিলনায়তন। এছাড়া ক্যাম্পাসের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা উল্লেখ করা হল।
লাইব্রেরি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশের জন্য রয়েছে সুবিশাল লাইব্রেরী যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দসই বই, জার্নাল বা ম্যাগাজিন পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।
ওয়ার্কশপ এবং ল্যাবরেটরি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ওয়ার্কশপ এবং ল্যাবরেটরিগুলো শিক্ষার্থীদের বাস্তবিক দক্ষতা উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক শিক্ষার মাধ্যমে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। এই ইনস্টিটিউটে দুইটি ওয়ার্কশপ ভবন রয়েছে, যা আধুনিক মেশিন ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত। এই ওয়ার্কশপগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রকল্প এবং বাস্তব কাজের মাধ্যমে শিল্প উন্নয়নের সঙ্গে নিজেদের গড়ে তোলার দিক নির্দেশনা পায়।
ল্যাবরেটরিগুলোতে বিভিন্ন ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্য আলাদা আলাদা যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়। ল্যাবরেটরিগুলোতে শিক্ষার্থীরা তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগ করার সুযোগ পায়, যা তাদের প্রফেশনাল জীবনে অত্যন্ত কার্যকরী হয়ে ওঠে। এই ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত ৪টি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্য আলাদা আলাদা দক্ষতা বৃদ্ধির যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম ল্যাবরেটরিগুলোতে সরবরাহ করা হয়। মোট ল্যাব ও সপের সংখ্যা প্রায় ১৯টি।
মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে সুবিশাল খেলার মাঠ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খেলার মাঠ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের আউটডোর একটিভিটিতে অংশগ্রহণ করেন।
আবাসিক হল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর নিজস্ব কোনো হল সুবিধা নেই। তবে ইনস্টিটিউট সংলগ্ন এলাকায় সহজেই বাসা বা মেস ভাড়া করে থাকা যায়।
কোয়াটার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিকের মোট কোয়াটার সংখ্যা ২টি। এর মধ্যে একটি বরাদ্দ আছে দায়িত্বরত অধ্যক্ষের জন্য, যা অধ্যক্ষের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে। অন্যটি বরাদ্দ আছে প্রতিষ্ঠানের কর্মরত কর্মচারীদের জন্য, যা তাদের থাকার পরিবেশ উন্নত করে এবং কাজের প্রতি তাদের উৎসাহ বৃদ্ধি করে। এই কোয়াটারগুলি প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশকে আরও উন্নত ও কার্যকর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (মসজিদ)
ধর্মপ্রাণ মুসলমান সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিকের ক্যাম্পাসে একটি কেন্দ্রীয় মসজিদ রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের নামাজ আদায় করতে পারেন। এই মসজিদটি শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ স্থান হিসেবে কাজ করে। এখানে প্রতিদিনের নামাজ ছাড়াও, ইসলামী অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতা ও ঐক্যবোধ সৃষ্টি করে।
ব্যায়ামাগার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীদের শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ব্যায়ামাগার। অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সেখানে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
প্রিন্সিপাল | ১ জন |
ভাইস প্রিন্সিপাল | ১ জন |
চিফ ইনস্ট্রাকটর বা ডিপার্টমেন্ট প্রধান | ১১ জন |
ইনস্ট্রাকটর এবং ওয়ার্কশপ সুপার | ৪০ জন |
জুনিয়র শিক্ষক | ৩৮ জন |
টেকনিক্যাল সাপোর্টিং স্টাফ | ৭২ জন |
নন টেকনিক্যাল সাপোর্টিং স্টাফ | ১৯ জন |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক কার্যক্রম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ডিপ্লোমা কোর্সসমূহ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক এর ওয়েবসাইট তথ্যমতে বর্তমানে চার বছর মেয়াদী ১৪ টি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজিসমূহ চালু আছে। প্রতিটি টেকনোলজির জন্য আলাদা আলাদা শ্রেণিকক্ষ ও ল্যাব সুবিধা রয়েছে।মোট ৪টি টেকনোলজিতে মোট ৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ পেয়ে থাকে। নিচে টেবিলে টেকনোলজি ও সিট সংখ্যা তুলে ধরা হল।
ডিপার্টমেন্ট | ল্যাব সংখ্যা | সিট সংখ্যা |
কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি | ৩ টি | ১০০টি |
আর্কিটেকচার টেকনোলজি | ৯ টি | ২০০ টি |
ইলেকট্রোমেডিক্যাল টেকনোলজি | ৬ টি | ১০০টি |
রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং টেকনোলজি | ৪ টি | ১০০ টি |
শর্ট কোর্স
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনার পাশাপাশি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ৩৬০ ঘন্টার বেসিক ট্রেড কোর্স পরিচালনা করে থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
- ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার
- ডিপ্লোমা ইন ফিসারিজ(৯৩)
- ডিপ্লোমা ইন ফিসারিজ(ইন সার্ভিস)
- ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি
- ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি (ইন সার্ভিস)
- ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক
- ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি
- ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং(নেভাল)
- ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জি (আর্মি)
- ডিপ্লোমা ইন ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি
- ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল আলট্রাসাউন্ড
- ডিপ্লোমা ইন এনিমেল হেলথ এন্ড প্রোডাকশন (ইন সার্ভিস)
- এইচএসসি বিএম (৫৫)
- এইচএসসি ভোক (৫৪)
- ডিপ্লোমা ইন কমার্স(৯৪)
- এসএসসি ভোক (৫৩)
- দাখিল ভোক
- সার্টিফিকেট ইন মেরিন ট্রেড
- স্কিল সার্টিফিকেট কোর্স
- সার্টিফিকেট ইন ভোকেশনাল এডুকেশন
- সার্টিফিকেট ইন হেলথ টেকনোলজি
- সার্টিফিকেট ইন পোলট্রি ফার্মিং
- সার্টিফিকেট ইন এনিমেল হেলথ এন্ড প্রোডাকশন
- জাতীয় দক্ষতামান-২
- জাতীয় দক্ষতামান-৩
- প্রোফেশনাল ডিপ্লোমা ইন অটোমোবাইল
- মেরিন এন্ড শিপ বিল্ডিং ট্রেড সার্টিফিকেট
ছাত্র সংগঠন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের শুধু টেকনিক্যাল নলেজ ছাড়াও সহশিক্ষামূলক সৃজনশীল ও সুস্থ রাজনীতি চর্চা সুযোগ করে দিয়েছে।বিভিন্ন ধরনের ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ববোধের ক্ষমতাকে আরো দৃঢ় করে।
- বাংলাদেশ পলিটেকনিক স্টুডেন্ট ফোরাম-বিপিএসএফ
- বাংলাদেশ পলিটেকনিক সাধারণ ছাত্র পরিষদ
- রোভার স্কাউট
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ব্লাড সোসাইটি
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সাইবার সিকিউরিটি ক্লাব
উল্লেখ্য যে, প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে কিছু তথ্য একই থাকে। যার প্রদান কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ হয় বলে। তাই নিচের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো একটি মাত্র ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে রাখা হয়েছে যেন, যে কেউ খুব সহজে তথ্যগুলো পেতে পারে এবং একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত পেয়ে যায়। যেমন, শিক্ষা ব্যবস্থা, কোটা পদ্ধতি, বৃত্তি, সরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ, ক্লাসের সময়সূচি, ভর্তির যোগ্যতা, কোর্সের সময়সীমা, গ্রেডিং সিস্টেম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা। তাছাড়া আরও জানতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবিধান দেখুন।
লিমা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,
<https://abhinoboschool.com/ব্রাহ্মণবাড়িয়া-পলিটেকনিক-ইনস্টিটিউট/>
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে লাইব্রেরি আছে কি?
হ্যাঁ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি সুবিশাল লাইব্রেরি রয়েছে। এখানে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ও একাডেমিক বই, জার্নাল এবং অন্যান্য রিসোর্স পাওয়া যায়, যা শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও অধ্যয়নে সহায়তা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির যোগ্যতা কি?
যেকোনো সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে এসএসসি পরীক্ষায় ছাত্রদের জন্য সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে জিপি ২.০ সহ কমপক্ষে জিপিএ ৩.০ এবং ছাত্রীদের জন্য জিপিএ ২.৫ প্রয়োজন। পূর্ববর্তী পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগ থাকতে হবে। ‘ও’ লেভেলে একটি ‘সি’ ও অন্য দুটি বিষয়ে ‘ডি’ গ্রেড থাকতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।