বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত সকল প্রতিষ্ঠানের ভিতর ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হচ্ছে অন্যতম। স্থাপনা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত এই পলিটেকনিকের রয়েছে গৌরবময় সাফল্য। এই পলিটেকনিক থেকে যেমন দেশ সেরা ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হয়েছে তেমনই অন্যান্য সেক্টরেও সুনাম অর্জন করেছে। এই আর্টিকেলে মূলত ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হবে। তথ্যগুলো বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স থেকে সংগ্রহ করা।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইতিহাস
দেশ ভাগের আগে “ইস্ট পাকিস্থান পলিটেকনিক, ঢাকা” নামানুসারে ১৯৫৫ সালে বর্তমান ঢাকা পলিটেকনিক যাত্রা শুরু করে। তৎকালীন আমেরিকার ফোর্ড ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে স্থাপিত হয়েছিল “ইস্ট পাকিস্থান পলিটেকনিক, ঢাকা” এবং ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির কারিকুলাম অনুসরণে পরিচালিত হতো আজকের এই ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। তৎকালীন সময়ে চারটি টেকনোলজি(সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ও পাওয়ার) নিয়ে পরিচালিত হতো এবং কোর্সের মেয়াদ ছিল ৩ বছর মেয়াদী। প্রতিটি টেকনোলজি/ডিপার্টমেন্টে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী নিয়ে অর্থাৎ মোট ১২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে ডিপ্লোমা স্তরের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করেছিল। ডিপ্লোমা স্তরের এই শিক্ষাকে তৎকালীন সময়ে Associates in Engineering নামে অভিহিত করা হয়েছিল।
দীর্ঘ ৫ বছর কার্যক্রম পরিচালনা করার পর ১৯৬০ সালের মাঝামাঝিতে “ইস্ট পাকিস্থান পলিটেকনিক, ঢাকা” নাম পরিবর্তন করে “Dacca Polytechnic Institute” করা হয়েছিল। বর্তমানে ইংরেজিতে “Dhaka Polytechnic Institute” এবং বাংলাতে “ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট” নামে পরিচিত রয়েছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও বৃহতম পলিটেকনিকগুলোর ভিতর ডিপিআই একটি ও প্রথম।
ডিপিআই-এর মিশন ও ভিশন
মিশনঃ সমসাময়িক টেকসই প্রযুক্তিগত কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন, শিল্প সম্প্রসারণ এবং জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নতি।
ভিশনঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মৌলিক ট্রেড কোর্স প্রশিক্ষণের মান নিশ্চিত করার জন্য প্রধান কার্য সম্পাদন করা।
ডিপিআই-এর প্রিন্সিপালের বার্তা
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (ডিপিআই) বাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইনস্টিটিউট জেনে আপনার হৃদয় আনন্দে ভিজে যাবে। এটি আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাড়াতে TVET সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ডিপিআই রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থল তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত। এই ইনস্টিটিউটটি ১৯৫৫ সালে পণ্য উৎপাদনের ধারণার সাথে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখন, ডিপিআই বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে জনশক্তি গড়ে তুলছে এবং আমরা পাস আউট TVET স্নাতকদের উপযুক্ত চাকরিতে নিয়োগের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করি।
ডিপিআই-এর ভাইস প্রিন্সিপালের বার্তা
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (ডিপিআই) এর পক্ষ থেকে আমার আন্তরিক স্বাগতম। এটি বাংলাদেশের একটি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান যা রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এই ইনস্টিটিউট ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ডিপিআই-এ একটি চমৎকার TVET বন্ধুত্বপূর্ণ একাডেমিক পরিবেশ রয়েছে। ডিপিআই এর লক্ষ্য হল শিল্পের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা যাতে দেশে এবং বিদেশে চাকরির বাজারের চাহিদা মেটানো যায়। আমরা উচ্চ মানের দক্ষ জনশক্তি প্রদান করি। আমরা পাস আউট TVET স্নাতকদের উপযুক্ত চাকরিতে নিয়োগের জন্য সহায়তা প্রদান করি। আমরা সরকারের TVET সম্পর্কিত এজেন্ডার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা।
ডিপিআই -এর পরিচালনা পর্ষদ
মন্ত্রণালয় ও বিভাগঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের “শিক্ষা মন্ত্রণালয়” এর “কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ” এর অধিনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসনিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর” ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -এর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
একাডেমিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” ডিপিআই এর একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সুযোগ সুবিধা
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ২৭ একর জমি নিয়ে অবস্থিত। এর মূল ক্যাম্পাসটি চার তলা বিশিষ্ট ভবন। ঢাকা-টঙ্গী মহাসড়ক ঘেঁষা ক্যাম্পাসটি অবস্থিত। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং সুবিধার জন্য মূল ভবনটির উত্তর কোণে রয়েছে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা। বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য ৫০০ আসন বিশিষ্ট্য একটি মিলিনায়তন আছে যা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণে অবস্থিত। তাছাড়া ডিপিআই ক্যাম্পাস সম্পর্কিত শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সমূহ সংক্ষিপ্ত আকারে এখানে তুলে ধরা হল।
লাইব্রেরি সুবিধা
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর রয়েছে বিশাল এক লাইব্রেরী। যা মূল ভবনের দোতালায় অবস্থিত। বর্তমানে এই লাইব্রেরীতে রয়েছে ২০ হাজারেরও অধিক পাঠ্যপুস্তক এবং ১০ হাজারেরও অধিক সাময়িকী বা ম্যাগাজিন। পাশাপাশি ৩৭টি জার্নালের সাবস্ক্রিপশন রয়েছে। ডিপিআই এর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে রয়েছে একসাথে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীর অধ্যয়নের সুযোগ।
ওয়ার্কশপ এবং ল্যাবরেটরি তথ্য
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক/বাস্তবিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য রয়েছে আধুনিক মেশিন ও বিভিন্ন যন্ত্রে সজ্জিত ৩ টি ওয়ার্কশপ ভবন। যেখানে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্প উন্নয়নের সাথে নিজেকে কিভাবে গড়ে তুলা যায় তার দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। ডিপিআই কর্তৃক পরিচালিত ১১ টি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা দক্ষতা বৃদ্ধির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।
ডিপিআই-এর মাঠ ও উন্মক্ত স্থান
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চাসহ বিভিন্ন খেলাধুলা পরিচালনা করার জন্য রয়েছে ৩ একর জায়গা বিশিষ্ট একটি মাঠ বা স্টেডিয়াম। উক্ত মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন সহ বিভিন্ন আউটডোর খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ বা স্টেডিয়ামে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা সহ একটি প্যাভিলিয়ন রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য।
ডিপিআই-এর স্বাস্থ্যকেন্দ্র
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সকল শ্রেণীর কর্মচারীদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করার জন্য রয়েছে নিজস্ব মেডিক্যাল সেন্টার। মেডিক্যাল সেন্টারটি সকলের জন্য বিনামূল্যে সাধারণ চিকিৎসা প্রদান করে থাকে।
আবাসিক হল
শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর রয়েছে মোট ৫ টি হোস্টেল। তার ভিতর ৩ টি হোস্টেল হচ্ছে ছেলেদের জন্য বরাদ্দ এবং বাকি ২ টি হোস্টেল মেয়েদের জন্য।
কোয়াটার
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষক এবং কর্মচারীদের জন্য রয়েছে দুইটি কোয়াটার। যেগুলো ঢাকা পলিটেকনিক “স্টাফ কোয়াটার” এবং ঢাকা পলিটেকনিক “টিচার্স কোয়াটার” নামে পরিচিত।
পরিচালিত প্রতিষ্ঠান
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্ব পরিচালিত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ঢাকা পলিটেকনিক ল্যাবরেটরি স্কুল। যেখানে প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যায়নের ব্যবস্থা আছে। স্কুলটি লতিফ ছাত্রাবাসের পাশে অবস্থিত।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (মসজিদ)
মুসলমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীসহ সকলের জন্য একটি কেদ্রীয় মসজিদ আছে ডিপিআই এ। মসজিদ টি মূল ভবনের পাশেই অবস্থিত। কেদ্রীয় মসজিদ ছাড়াও লতিফ ছাত্রাবাসের দ্বিতীয় তলায় আরেকটি মসজিদ আছে। বিটাকের কাছে ঢাকা পলিটেকনিক মসজিদ মার্কেট নামে একটি বাজারও আছে।
পলিটেকনিক ডাক বিভাগ
ঢাকা পলিটেকনিক ডাক বিভাগ ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে বটতলা মোড়ে অবস্থিত। এই ডাক বিভাগ তেজগাঁওয়ের জন্য অত্যন্ত পরিচিত একটি ডাক বিভাগ।
ব্যায়ামাগার ও ক্যাফেটেরিয়া
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কার্মচারীদের কর্ম ক্লান্তি দূর করার জন্য রয়েছে একটি ক্যাফেটেরিয়া। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চার জন্য রয়েছে একটি ব্যায়ামাগার।
ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
প্রিন্সিপাল | ১ জন |
ভাইস প্রিন্সিপাল | ১ জন |
চিফ ইনস্ট্রাকটর বা ডিপার্টমেন্ট প্রধান | ১১ জন |
ইনস্ট্রাকটর এবং ওয়ার্কশপ সুপার | ৮৭ জন |
জুনিয়র শিক্ষক | ৪৭ জন |
টেকনিক্যাল সাপোর্টিং স্টাফ | ৪৮ জন |
নন টেকনিক্যাল সাপোর্টিং স্টাফ | ৫০ জন |
একাডেমিক কার্যক্রম
ডিপ্লোমা কোর্সসমূহ
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ওয়েবসাইট তথ্যমতে বর্তমানে চার বছর মেয়াদী ১১ টি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট চালু আছে। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে একের অধিক গ্রুপ আছে। মোট গ্রুপ সংখ্যা ৫০ টি এবং ১১ টি ডিপার্টমেন্টে মোট ২৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ পেয়ে থাকে। নিচে টেবিলে ডিপার্টমেন্ট, গ্রুপ ও সিট সংখ্যা তুলে ধরা হল।
ডিপার্টমেন্ট | গ্রুপ | সিট সংখ্যা |
ইলেকট্রিক্যাল | ৬ টি | ৩০০ টি |
সিভিল | ৮ টি | ৪০০ টি |
কম্পিউটার | ৬ টি | ৩০০ টি |
মেকানিক্যাল | ৬ টি | ৩০০ টি |
অটোমোবাইল | ৪ টি | ২০০ টি |
ইলেকট্রনিক্স | ৪ টি | ২০০ টি |
আর্কিটেকচার | ৪ টি | ২০০ টি |
এনভায়রনমেন্টাল | ২ টি | ১০০ টি |
রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার -কন্ডিশন | ৪ টি | ২০০ টি |
ফুড | ৪ টি | ২০০ টি |
পরিচালিত শর্ট কোর্স
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনার পাশাপাশি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ৩৬০ ঘন্টার বেসিক ট্রেড কোর্স পরিচালনা করে থাকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
- কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন
- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং
- কম্পিউটার গ্রাফিক্স এন্ড ফ্রিল্যান্সিং
- ইলেকট্রিক্যাল হাউজ ওয়্যারিং
- জেনারেল ইলেকট্রনিক্স
- ওয়েল্ডিং(গ্যাস ও আর্ক)
- ফুড প্রসেসিং এন্ড প্রিজারভেশন
- বিল্ডিং এন্ড আর্কিটেকচারাল ড্রাফটিং উইথ অটোক্যাড
- ফুড প্রসেসিং এন্ড প্রিজারভেশন
- রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং
- অটো মেকানিক্স
- আমিনশীপ(সার্ভে)
- মেশিনিষ্ট
- প্লাম্বিং এন্ড পাইপ ফিটিং
ছাত্র সংগঠনের তালিকা
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি দলের সাথে যুক্ত আছে। যেখানে একাডেমিক পড়াশোনা ছাড়াও বিভিন্ন কারিকুলাম ও রাজনীতিক চর্চা হয়ে থাকে।
- টিম কারিগর – প্রযুক্তি ফোকাস একটি টিম।
- এলমনাই এসোসিয়েশন।
- বাংলাদেশ পলিটেকনিক স্টুডেন্ট ফোরাম-বিপিএস এফ।
- বাংলাদেশ পলিটেকনিক সাধারণ ছাত্র পরিষদ।
- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।
- বাংলাদেশ ছাত্রদল।
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
ডিপিআই এর ছাত্রাবাসের তালিকা
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মোট ৫টি ছাত্রাবাস রয়েছে। প্রতিটি ছাত্রাবাস ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণে অবস্থিত। ৫টি ছাত্রাবাসের ভিতর ৩টি ছেলেদের জন্য এবং দুইটি মেয়েদের জন্য বরাদ্দ। বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিতর লতিফ ছাত্রা উল্লেখযোগ্য। এটি অত্যন্ত বড় এবং পুরাতন ছাত্রাবাস।
- লতিফ ছাত্রাবাস
- কাজী মোতাহার হোসেন ছাত্রাবাস
- জহির রায়হান ছাত্রাবাস
- মহিলা ছাত্রাবাস(মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য দুইটি)
উল্লেখ্য যে, প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে কিছু তথ্য একই থাকে। যার প্রদান কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ হয় বলে। তাই নিচের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো একটি মাত্র ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে রাখা হয়েছে যেন, যে কেউ খুব সহজে তথ্যগুলো পেতে পারে এবং একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত পেয়ে যায়। যেমন, শিক্ষা ব্যবস্থা, কোটা পদ্ধতি, বৃত্তি, সরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ, ক্লাসের সময়সূচি, ভর্তির যোগ্যতা, কোর্সের সময়সীমা, গ্রেডিং সিস্টেম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা।
তাছাড়া আরও জানতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবিধান দেখুন।
আলী হাসান টিটু, ২০২২, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ ২৮, ডিসেম্বর, ২০২২,
<https://abhinoboschool.com/ঢাকা-পলিটেকনিক-ইনস্টিটিউট/>
রংপুর কত তম পলিটেকনিক?
………………
কন্টেন্ট সম্পর্কে আপনার মতামত লিখুন