উচ্চ শিক্ষা

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজি। এটি মূলত ডুয়েট নামে বেশ জনপ্রিয়। অনেকটা এমন যে, ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার কথা ভাবলেই সর্বপ্রথম ডুয়েটের নামটাই মুখে আসে। গাজীপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বিআইডিসি রোডে ২৩.৪২ একর জমির উপর ডুয়েট অবস্থিত। ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) অনুমোদনের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে, ডুয়েট প্রতিবছর সহস্রাধিক দক্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তুলছে।

Table of Contents

মিশন

  • বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ প্রদান করা।
  • ভবিষ্যতের দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা মেটাতে বাস্তবমুখী জ্ঞান,দক্ষতা ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করা।
  • গবেষণা ও উদ্ভাবনের লক্ষ্যে বহুমুখী একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা। 
  • জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানে অবদান রাখা।

ভিশন

উচ্চমানের শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের এক অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠা। 

এক নজরে  ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি

ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
ইআইআইএন (EIIN)136624
নীতিবাক্যপ্রযুক্তিই প্রগতি
ব্যবস্থাপনাসরকারি
প্রতিষ্ঠানের ধরন:সহশিক্ষা
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
প্রতিষ্ঠানের নাম: ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট)
ইংরেজিতে (ব্লক লেটার)DHAKA UNIVERSITY OF ENGINEERING AND TECHNOLOGY 
বিশ্ববিদ্যালয়ের ধরনঃপ্রকৌশল ও প্রযুক্তি
প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর ধরনঃ সহশিক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঠদান পদ্ধতিঃসেমিস্টার
বৎসরে সেমিস্টার সংখ্যাঃ২  টি
স্থাপিত১লা সেপ্টেম্বর, ২০০৩
ফোন০২৪৯২৭৪০০৩
মোবাইল০১৯৪১৪৫৪৯৪৪
ই-মেইলreg_duet@duet.ac.bd
ওয়েবসাইটwww.duet.ac.bd
ঠিকানাগাজীপুর, ঢাকা, ১৭০৭, বাংলাদেশ
ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত তথ্য
পরিচালনা পর্ষদের ধরনসিন্ডিকেট কমিটি
মোট ডিপার্টমেন্ট ১৩
কোলাবোরেশন৯টি দেশি–বিদেশি সংস্থা
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসহ্যাঁ
বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ২৩.৪২  একর 
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে মোট বইয়ের সংখ্যা৩০,০০০

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এর ইতিহাস

আপনি কি জানেন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) যাত্রা শুরু হয়েছিল ঢাকার তেজগাঁওয়ের এক ছোট্ট ক্যাম্পাস থেকে? ১৯৮০ সালে এটি College of Engineering, Dhaka হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো। অল্প দিনের মধ্যেই ১৯৮১ সালে ঢাকা প্রকৌশল কলেজ (DEC) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। তখন থেকেই এখানে স্নাতক পর্যায়ে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীরা যে দুনিয়া-গড়ার স্বপ্ন আঁকতে শুরু করেছিল, সেটাই আজকের ডুয়েটের ভিত্তি।

১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (BIT) আইন কার্যকর হলে DEC কে BITD (Bangladesh Institute of Technology, Dhaka) হিসেবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বানানো হয়। তখন থেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ডিগ্রি প্রদানের দায়িত্ব নেবে প্রতিষ্ঠানটা। আর সেই স্বপ্নই পরিণত হলো ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর, যখন “ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর আইন ২০০৩” অনুসারে BITD অবশেষে নিজস্ব আইনি মর্যাদা পেয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হলো যা এখন ডুয়েট নামে পরিচিত।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অবস্থান ও ক্যাম্পাস বিবরণ

মজার বিষয় হলো ডুয়েট কিভাবে ঢাকার তেজগাঁও থেকে গাজীপুরের প্রাণকেন্দ্রে চলে আসলো! ১৯৮৩ সালে যখন ক্যাম্পাস ঢাকা থেকে ৪০ কিমি উত্তরে গাজীপুর সিটিতে স্থানান্তরিত হলো, তখন ঘরোয়া একটি শহর ছিল গাজীপুর, কিন্তু আজ? রেলস্টেশন আর বাস টার্মিনালের সহজ যোগাযোগের কারণে কলেজের ছোট্ট স্বপ্নের ছায়া থেকেই গড়ে উঠলো এক বিস্তৃত, প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস। ২৩.৪২ একরে শিক্ষার্থীদের জন্য সাজানো নতুন একাডেমিক ভবন, স্বপ্নের ছাত্রী-ছাত্রাবাস, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, মেডিকেল সেন্টার, ওয়েলফেয়ার সেন্টার আর অডিটোরিয়ামের মতো যেসব অবকাঠামো এখন গর্বের বিষয়। ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীদের জায়গা ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য ডুয়েট আরেকটি ক্যাম্পাস নির্মাণ করছে। নতুন ক্যাম্পাসটি গাজীপুরের মাঝিরখোলা রোডে মূল ক্যাম্পাসের কাছেই অবস্থিত। ২০২৫ সাল থেকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেছে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুবিধা

আপনি যদি একজন ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই ভাবেছেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (BTEB) থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করার পর উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান বেছে নিবেন? দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনেক থাকলেও, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা নামমাত্র। সেক্ষেত্রে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা সরাসরি পাশ করার পর ভর্তি হতে পারে। উল্লেখ করার মতো যে, ডুয়েট এর B.Sc.Engineering ডিগ্রি দেশের চাকরির বাজারে বেশ স্বীকৃত। দেশ-বিদেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ডুয়েট গ্র্যাজুয়েটরা চাকরি করছে না। তাই ডুয়েটের শিক্ষার মান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার কোনো সুযোগ নেই।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ

ডুয়েট বা ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বনামধন্য সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় যা ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান করে আসছে। ডিপ্লোমা স্টুডেন্টদের পছন্দের তালিকায় ডুয়েট শীর্ষে থাকার অন্যতম কারণ-

  • ডুয়েটের মাল্টিডিসিপ্লিনারি একাডেমিক কার্যক্রম যেখানে ৪টি ভিন্ন ফ্যাকাল্টিতে ১৪ টি ডিপার্টমেন্টের অধীনে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ পায়।
  • প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আধুনিক স্থাপনায় নির্মিত ২৩.৪২ একরের ক্যাম্পাসটি শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে। 
  • প্রযুক্তি নির্ভর ক্যাম্পাসটি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন কোর্স, ওয়াইফাই এবং কম্পিউটার ল্যাব সুবিধা প্রদান করে থাকে।
  • শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের জন্য রয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী নানা ক্লাব ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। 
  • ডুয়েটের রয়েছে স্ট্রং অ্যালামনাই এসোসিয়েশন যা চাকরিক্ষেত্রে নেটওয়ার্কিং এর সুযোগ সৃষ্টি করে। 
  • ডুয়েট নিয়মিত কোনো না কোনো ওয়ার্কশপ ও কনফারেন্সের আয়োজন করে থাকে যা প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্টে ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে থাকে।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি একাডেমিক প্রোগ্রাম ও বিভাগসমূহ

ডুয়েট ২০০৩ সাল থেকে সাফল্যের সাথে প্রতিবছর সহস্রাধিক দক্ষ ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত করতে ভূমিকা রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি মোট ৪টি ফ্যাকাল্টির অধীনে ১৪ টি ডিপার্টমেন্ট ও ৩টি ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে এর একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই ডিপার্টমেন্টগুলোতে স্নাতক (B.Sc.Engg) এবং স্নাতকোত্তর (M.Sc,Ph.D.) প্রোগ্রামে ডিগ্রী প্রদান করে থাকে।

পুরকৌশল অনুষদ (Faculty of Civil Engineering )

  • Department of Civil Engineering (CE)
  • Department of Architecture
  • Institute of Water & Environment (IWE) 
  • Center for Climate Change & Sustainability Research.

যন্ত্রকৌশল অনুষদ (Faculty of Mechanical) Engineering

  • Department of Electrical and Electronic Engineering (EEE)
  • Department of Computer Science and Engineering (CSE) 
  • Institute of Information & Communication Technology (IICT).

ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Faculty of Electrical and Electronic Engineering) 

  • Department of Mechanical Engineering (ME)
  • Department of Textile Engineering (TE)
  • Department of Industrial & Production Engineering (IPE)
  • Department of Chemical and Food Engineering (FE)
  • Department of Materials and Metallurgical Engineering 
  • Institute of Energy Engineering (IEE)

বিজ্ঞান অনুষদ (Faculty of Science)

  • Department of Materials Science & Engineering (MSE)
  • Institute of Appropriate Technology (AT)
  • Department of Chemistry, Department of Mathematics
  • Department of Physics 
  • Department of Humanities and Social Sciences (HSS).

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এর সুযোগ সুবিধা ও অন্যান্য তথ্য

এক কথায় বলতে গেলে, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (ডুয়েট) সবদিক বিবেচনায় একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ পাবলিক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ২টি ক্যাম্পাস সুসজ্জিত রয়েছে। হোক সেটা লাইব্রেরি ,অত্যাধুনিক মেডিকেল সেন্টার বা বাস সার্ভিস অন্যান্য নানা সুবিধা। 

লাইব্রেরি সুবিধা

ডুয়েটের একাডেমিক প্রোগ্রামসমূহের পাশাপাশি অন্যান্য নানা বিষয়ের রিসোর্স সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে। একাডেমিক বিল্ডিং ও ছাত্রাবাসের মাঝে অবস্থিত লাইব্রেরিটি সপ্তাহের প্রতিদিনই খোলা থাকে। শুনে অবাক হবেন যে, লাইব্রেরিটিতে প্রায় ৩৫,৮৩৬ টি বই, ৩৩৮ পিরিডিকালস, ২৫২টি ম্যাগাজিন রয়েছে। ডুয়েট কেন্দ্রীয় গন্থাগারেটি কোহা ভিত্তিক সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হয় যা এটিকে আন্তর্জাতিক মান প্রদান করেছে।

হোস্টেল/আবাসিক হল

ডুয়েট তার শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন সুবিধা দেওয়ার সক্ষমতা রাখে। বলা চলে, ডুয়েটের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বাইরে থাকার প্রয়োজন পরে না। মোট ৭টি আবাসিক হল রয়েছে যার মধ্যে ৫টি ছেলেদের ও ১টি মেয়েদের জন্য বরাদ্দ। 

  • মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা হল
  • এফ আর খান হল
  • শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হল
  • কাজী নজরুল ইসলাম হল
  • মেরি কুরি হল
  • মেরি কুরি এক্সটেনশন হল
  • শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল
  • বিজয় ২৪ হল (২য় ক্যাম্পাস)

যাতায়াত সুবিধা

ডুয়েট পুরো ঢাকা শহরের যাতায়াত সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বাস সার্ভিস প্রদান করে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা এ বাস ব্যবহার করতে পারে।

অন্যান্য সুবিধা

এছাড়া ডুয়েট ক্যাম্পাস আধুনিক মেডিকেল সেন্টার, স্টুডেন্ট কমপ্লেক্স, কেন্দ্রীয় মসজিদ , ফ্যাব ল্যাবসহ নানা ধরনের সুবিধা প্রদান করে আসছে।

বিভিন্ন ক্লাবের তালিকা 

ডুয়েট একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল কাজকে বেশ উদ্বুদ্ধ করে থাকে, তা এই সমৃদ্ধ ক্লাব ও সংগঠনের সংখ্যাটা দেখলেই বুঝা যায়। এখানে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের আগ্রহ অনুযায়ী নানা এক্সট্রাকারিকুলাম এক্টিভিটিজে যুক্ত হতে পারে।

ডুয়েট বিজ্ঞান ক্লাবডুয়েট ক্যারিয়ার এন্ড রিসার্চ ক্লাব
ডুয়েট নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাবডুয়েট কম্পিউটার সোসাইটি
ডুয়েট অটোমোবাইল ক্লাবইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, ডুয়েট
ডুয়েট এনার্জি ক্লাবডুয়েট স্পোর্টস ক্লাব
ডুয়েট টেক্সটাইল ক্লাবডুয়েট গণিত ক্লাব
ডুয়েট সাংবাদিক সমিতিডুয়েট ফটোগ্রাফিক ক্লাব
ডুয়েট রোবটিক্স ক্লাবডুয়েট ড্রামা সোসাইটি
ডুয়েট ইনোভেশন সোসাইটিডুয়েট মূর্ছনা

ভর্তি প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা 

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন ও তারপর নির্দিষ্ট তারিখ অনুষ্ঠিত ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।

অনলাইন আবেদন: অনলাইন এপ্লিকেশন ফর্মপূরণের জন্য http:/admission.duetbd.org এ লগ ইন করতে হবে এবং ভর্তি পরিক্ষার আবেদেন ফি বাবদ ১৫০০ টাকা রকেট/বিকাশ/অগ্রনী এডুকেশন ফি পে বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর সহায়তা পে করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পর এখান থেকে এডমিট কার্ড ডাউনলোড করে নিতে হবে।

ভর্তি পরিক্ষা: নির্দিষ্ট তারিখে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরিক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে তাদের পছন্দসই প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ প্রদান করা হয়।

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা (Undergraduate Programs):

(ক) প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে;

(খ) প্রার্থীকে বাংলাদেশের যে কোনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড হতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০% নম্বর অথবা ৫.০০ এর স্কেলে ন্যূনতম GPA ৩.০০ (ঐচ্ছিক বিষয়সহ) পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে;

(গ) প্রার্থীকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং/আর্কিটেকচার-এ গড়ে ন্যূনতম ৬০% নম্বর অথবা ৪.০০ এর স্কেলে ন্যূনতম CGPA ৩.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে;

(ঘ) ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং/আর্কিটেকচার পাসকৃত প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। 

(ঙ) একাধিক বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে পৃথক পৃথক ভাবে আবেদন করতে হবে। তবে ME/IPE/MME বিভাগে আবেদনকারীদের জন্য একটি মাত্র আবেদন করতে হবে এবং ঐ তিন বিভাগের যেকোনো একটিতে পরীক্ষার্থীকে পছন্দক্রম নির্ধারণ করতে হবে;

(ছ) বিদেশী প্রার্থীগণ নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে; এবং

(জ) বিদেশী প্রার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদনপত্র গ্রহণ ও অনুমোদনের পর ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। বিদেশী প্রার্থীদের ভর্তির বিস্তারিত তথ্য http://www.duet.ac.bd/admission/undergraduate/rules-foreign-students হইতে সংগ্রহ করা যাবে।

ভর্তির জন্য দরকারি ডকুমেন্টস

ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নিচের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মূলকপি ও সত্যায়িত এক কপি সাথে আনতে হবে-

  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। 
  • আপলোডকৃত ছবির পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি সত্যায়িত ছবি।
  • মাধ্যমিক বা সমমান পরিক্ষার সার্টিফিকেট। 
  • ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং/আর্কিটেকচার/৮ম সেমিস্টার পরীক্ষার নম্বরপত্র/গ্রেডশীট।
  • ডিপ্লোমা-ইন–ইঞ্জিনিয়ারিং/আর্কিটেকচার পরিক্ষার সার্টিফিকেট। 
  • সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত প্রশংসাপত্র।
  • চাকুরীরত প্রার্থীর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র। 
  • উপজাতি হলে নিজ এলাকা থেকে ইস্যুকৃত উপজাতি সার্টিফিকেট। 
  • মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রমাণের সার্টিফিকেট। 
  • জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গেজেটভুক্ত শহীদ বা আহতদের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক গৃহীত সিধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করতে হবে।

টিউশন ফি (Tuition Fees) 

ডুয়েট ডিপ্লোমা পাশ করা ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চশিক্ষার জন্য একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নামমাত্র খরচে এখান থেকে সহজে বি.এস.সি, মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা যায়। তবে ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী টিউশনের ফি তারতম্য হতে পারে। 

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও র‍্যাংকিং

ডুয়েট দক্ষ প্রফেশনাল তৈরির লক্ষ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি ও ইউনিভার্সিটির সাথে কোলাবোরেশানে বিভিন্ন একচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করেছে।এর মধ্যে জাপান,মালয়েশিয়া,ব্রুনাই দারুসসালাম সহ অন্যান্য দেশের নানা ইউনিভার্সিটির সাথে Mou সাইন করা আছে।

  • Saga university
  • Sunway university sdn bhd
  • UNIVERSITI TEKNOLOGI BRUNEI (UTB)
  • FACULTY OF ENGINEERING UNIVERSITY OF FUKUI

 র‍্যাংকিং

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজি (ডুয়েট) এর গবেষণা মান, একাডেমিক খ্যাতি, শিক্ষার মান, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ, সাইটেশন ও শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাতের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৪,১৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬,৪৯৬তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া এশিয়ার ৫,৮৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এর অবস্থান ২,৪৬২। সর্বশেষ, বাংলাদেশের মোট ১২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এটি ৪২তম অবস্থানে রয়েছে।

শেষকথা

ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি কেন সেরা তা আমরা এই আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এছাড়া আরো বিস্তারিত জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। সবশেষে, নিজের পছন্দসই ডিপার্টমেন্টে ভর্তির মাধ্যমে নিজের স্বপ্নপূরণ করুন।


লিমা খাতুন,ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-৭ জুলাই, ২০২৫,
<https://abhinoboschool.com/ঢাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি/>

শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে

লেখক সম্পর্কে

mstlima

নিউজ
চাকরি
Home
Question
Search