ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং চলাকালেই ডুয়েট ভর্তি প্রস্তুতি শুরু করলে সময় এবং দক্ষতা দুটোই সঠিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। বর্তমানে বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থায় Diploma in Engineering অথবা কারিগরি প্রকৌশলী শিক্ষা ব্যবস্থা, অন্যতম একটি গ্রহনযোগ্য শিক্ষা ব্যবস্থা। প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী কারিগরি ব্যবস্থায় শিক্ষা গ্রহন করছে। এই কোর্সে পড়া মানে শুধু একটি ডিগ্রি অর্জন নয়; এটি এক ধরনের দক্ষতা অর্জনের পথ। তবে ডিপ্লোমা শেষ করেই অনেকে উচ্চশিক্ষার জন্য ডুয়েটের (ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) দিকে ঝুঁকে পড়েন। এখানে দেশ সেরা কিছু মেধাবী পড়ার সুযোগ পায়, ডুয়েটের কঠিন ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হার খুবই কম। তাই, ডুয়েটে ভর্তির জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতির দরকার হয়, যা আপনাকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কি?
এই কোর্স টি চার বছরের একটি কারিগরি শিক্ষা প্রোগ্রাম, যা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হয়। যেখানে ছাত্ররা নির্দিষ্ট বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন করে। এখানে ছয় মাসের সেমিস্টার পদ্ধতিতে মোট আটটি সেমিস্টারে কোর্স সম্পন্ন করা হয়। এটি মূলত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে পড়ানো হয় এবং যেকোনো প্রযুক্তিগত খাতে কাজ করার জন্য এটি খুবই কার্যকরী।
সরকারি ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীরা, উপসহকারী প্রকৌশলি পদে বেশ ঈর্ষনীয় সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা। একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের ভুমিকায় সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। তাই আজকাল এই শিক্ষা প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও শিক্ষার্থী সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ উচ্চশিক্ষা
ডিপ্লোমা শেষে একজন শিক্ষার্থীর হাতে অনেক গুলো অপশন থাকে নিজের ক্যারিয়ার কে সাজানোর জন্য। অনেকেই ডিপ্লোমা এর পর প্রাইভেট সেক্টরের চাকরিতে জয়েন করেন আবার অনেকে সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এছাড়া যাদের উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য থাকে তাদের দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। ডিপ্লোমা শেষ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য ডুয়েট অন্যতম সেরা গন্তব্য হতে পারে। এখানে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন ছাত্ররা বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে পারে, যা তাদের কর্মজীবনে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে।বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম সেরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হলো ডুয়েট। ডুয়েটে পড়াশোনা করে নিজের জ্ঞান এবং দক্ষতাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ডুয়েটের ইতিহাস এবং অবস্থান
১৯৮০ সালে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। সেসময় এখান থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করা যেতো। ১৯৮৩ সালে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর নাম পরিবর্তন করে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (ডিইসি) নামে গাজীপুরের বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সম্মুখীন হওয়া বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় ১৯৮৬ সালে সরকারের অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে ডিইসিকে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (বিআইটি) ঢাকাতে রুপান্তরিত করা হয়। সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।
রাজধানী ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং গাজীপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে ভাওয়াল গড় এলাকায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২৩.৪৩ একর জমির উপর অবস্থিত।
ডিপ্লোমা শেষে কেনো ডুয়েটে পড়ার চেষ্টা করা উচিত?
প্রত্যেকটি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে ডুয়েট এ পড়ার। ডুয়েটে ভর্তি হওয়ার অন্যতম বড় কারণ হলো ডিপ্লোমা পাস করা ছাত্রদের জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে। এখানে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারে, যা দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি, ডুয়েটের ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য দেশের এবং আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে আলাদা গুরুত্ব বহন করে। তাই নিজের জ্ঞান ও দক্ষতার মাত্রা বৃদ্ধি করতে, নিজেকে সেরাদের মধ্যে সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলেও অন্তত ডুয়েটে পড়ার চেষ্টা করা উচিত৷
ডুয়েট ভর্তি প্রস্তুতির জন্য কেনো দীর্ঘ প্রস্তুতি দরকার?
ডুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা অত্যন্ত বেশি। প্রতি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৬৭০ জন ছাত্রছাত্রী প্রকৌশল এবং স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের জন্য ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকে। প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ১৪ হাজার জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৫% ছাত্রছাত্রী এখানে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষিকার সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন। প্রতিবছর সীমিত আসনের জন্য হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করে। ফলে যারা ভর্তি হতে চায় তাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিতে ভালো জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। হাজারো মেধাবীদের সাথে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে দীর্ঘ প্রস্তুতি নেয়ার কোনো বিকল্প নেই।
ডিপ্লোমা চলাকালে কিভাবে ডুয়েট ভর্তি প্রস্তুতি নেবো?
ডিপ্লোমা পড়ার সময়ই ধীরে ধীরে ডুয়েটের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। ক্লাসের সিলেবাস এবং ডুয়েটের সিলেবাসের মধ্যে অনেক বিষয়ের মিল রয়েছে। যেমন ডিপ্লোমাতেও কিন্তু গনিত, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি সাবজেক্ট গুলো পড়তে হয়। তবে সত্যি বলতে ডিপ্লোমা স্টুডেন্টরা এই জেনারেল সাবজেক্ট গুলো কম গুরুত্ব দিয়ে পড়ে। ডুয়েট ভর্তি পরিক্ষার সিলেবাস ও ডিপ্লোমা ওই জেনারেল সাবজেক্ট গুলোর সিলেবাসে যে মিল রয়েছে তা প্রতিদিন অল্প অল্প করে অধ্যয়ন করলে পুরো প্রস্তুতিটা সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে। তবে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পড়তে হবে এবং সঠিক গাইডেন্স ও ক্লাস করতে হবে৷ একজন জেনারেল এর স্টুডেন্ট যেভাবে উচ্চ মধ্যামিকের গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ইংরেজি ইত্যাদি খুব গুরুত্ব দিয়ে পড়ে ঠিক তেমনি ডুয়েট ভর্তি প্রত্যাশি শিক্ষার্থীদেরও বেশি করে গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে উক্ত সাবজেক্ট গুলো। বিশেষ করে গণিতের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, কারণ এটি ভর্তি পরীক্ষায় অন্যতম বড় ভূমিকা রাখে।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ইংরেজি এর উপর বিশেষ দক্ষতা ডুয়েট ভর্তি পরিক্ষায় একটি ট্রাম্প কার্ড হয়ে গেছে। ইংরেজিতে দুর্বলতা ডিপ্লোমা স্টুডেন্টদের একটি কমন সমস্য, তাই ডুয়েট এই ইংরেজির উপর বিশেষ নজর দিচ্ছে। এই সাবজেক্ট এ পাশ নম্বর বাড়ানো হয়েছে এবং পাশ নম্বর না পেলে খাতাই দেখা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সর্বসাকুল্যে ডিপ্লোমা চলাকালে ডুয়েট ভর্তি প্রস্তুতির জন্য একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি জেনারেল সাবজেক্ট যেমন, পদার্থ,গনিত,রসায়ন,ইংরেজি দক্ষতার সাথে আয়ত্তে আনতে হবে। আর এর সাথে নিজ ডিপার্টমেন্ট এর সাবজেক্ট গুলোতেও বেশ দক্ষ হতে হবে। এরজন্য প্রয়োজন সিলেবাস, পড়াশুনা নিয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও পরামর্শ।
ডুয়েট ভর্তি প্রস্তুতিতে গাজীপুরে কোচিং আবশ্যক কিনা।
অষ্টম পর্বের ইন্টার্নি করার জন্য অনেকেই গাজিপুর আসে এবং ডুয়েট ভর্তি প্রত্যাশি অনেকেই ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোচিং এ ভর্তি হয়। ডুয়েট এরিয়ার আশেপাশে এসব কোচিং এ সবসময়ই শিক্ষার্থীদের উপচে পরা ভির লেগে থাকে। মূলত কোচিং গুলো ডুয়েট স্টুডেন্ট দিয়েই পরিচালিত হয়ে থাকে। এই কোচিং গুলোতে বেশ ভালো ভাবেই সিলেবাস অনুযায়ী নন ও ডিপার্টমেন্টের কোর্সগুলো পড়ানো হয়। এর সাথে কোচিং এর আবাসিক ব্যাবস্থা ও নার্সিং কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেয়। ডুয়েট ভর্তি পরিক্ষায় সফল হতে কোচিং এর ভুমিকা রয়েছে তবে কোচিং আবশ্যক নয়। যদি নিজের উপর আত্মবিশ্বাস থাকে এবং নিয়মিত পড়াশুনা ও কঠোর পরিশ্রমের করার মানসিকতা থাকে, তাহলে কোচিং এর দরকার হয় না। কোচিং শুধুমাত্র নির্দেশনা এবং সঠিক পদ্ধতি শেখানোর জন্য সহায়ক হতে পারে। তবে নিজের ইচ্ছাশক্তি ও অধ্যবসায়ই হলো আসল বিষয়।
ডিপ্লোমা শেষে ডুয়েট ভর্তি প্রস্তুতি
ডিপ্লোমা শেষ করার পর যারা ডুয়েটে ভর্তি হতে চান, তাদের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও পূর্ন প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে গাজীপুরে কোচিং সেন্টারে যোগদান করেন। তবে শুধু কোচিংয়ের উপর নির্ভর না করে নিজে থেকে নিয়মিত অধ্যয়ন করতে হবে। পুরনো প্রশ্নপত্র, রেফারেন্স বই, এবং সিলেবাসের বাইরে কিছু অতিরিক্ত পড়া, নিজস্ব কিছু এনালাইসিস ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে সাহায্য করবে।
ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় সফলতা পেতে করণীয়
ডুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় সফলতা পেতে হলে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রথমেই সিলেবাস ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে, এরপর নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিতে দিতে হবে। পাশাপাশি, নিজেকে নিয়মিত পুরনো প্রশ্নপত্র এবং মডেল টেস্টের মাধ্যমে যাচাই করা উচিত। নিজের টাইম ম্যানেজমেন্টের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। আর বেশি বেশি মডেল টেস্ট দেয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একবার মডেল টেস্ট দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নিতে হবে। ডুয়েট ভর্তি পরিক্ষায় এই টেস্ট এক্সাম দেয়া এবং এই এক্সাম গুলোতে খুব ভালো করার প্রচেষ্টা সফলতা পেতে সাহায্য করে। এছাড়া নিজের উপর আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম ইত্যাদি সেল্ফ মোটিবেটিং বিষয়গুলো তো আছেই।
পরিশেষে
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে ডুয়েটে ভর্তি হওয়া সুন্দর ও সফল ক্যারিয়ারের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। তবে এর জন্য সময়মত এবং পরিকল্পিত প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিপ্লোমা চলাকালেই যদি ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করা যায়, তবে সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যায়।
লিমা খাতুন, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পাশাপাশি ডুয়েট ভর্তি প্রস্তুতি, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-০৭ নভেম্বর, ২০২৪,
<https://abhinoboschool.com/ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পাশাপাশি ডুয়েট ভর্তি প্রস্তুতি/>
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পাশাপাশি ডুয়েট ভর্তি প্রস্তুতি সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
পড়াশোনার পাশাপাশি ডুয়েট ভর্তি প্রস্তুতি নিলে কি পড়াশোনায় ক্ষতি হয়?
একদমই না। বরং পড়াশোনার পাশাপাশি ডুয়েট ভর্তি প্রস্তুতি নিলে অন্যদের তুলনায় দ্রুত সফলতা পাওয়া যায়।
ডুয়েট কোথায় অবস্থিত?
রাজধানী ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং গাজীপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে ভাওয়াল গড় এলাকায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ক্যাম্পাস।
ডুয়েটের আসন সংখ্যা কত?
প্রতি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৬৭০ জন ছাত্রছাত্রী প্রকৌশল এবং স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের জন্য ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকে।