ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি গ্রহণ করলে একাডেমিক পড়াশোনা শেষে খুব দ্রুতই সরকারি বা বেসরকারি চাকরি লাভ করা যায়। চাকরির প্রস্তুতিতে পড়াশোনার পাশাপাশি দক্ষতা অর্জনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে আমরা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার পাশাপাশি কিভাবে চাকরির প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায় সে বিষয়ে জানবো:
- ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কি
- ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর একাডেমিক কোর্স স্ট্রাকচার
- ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ক্যারিয়ার
- ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি নিতে করণীয়
- ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ চাকরির প্রস্তুতিতে সহায়ক বই
- একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার সুফল
- ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষে যেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে পারে
- পরিশেষে
- ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কি
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত ৪ বছর মেয়াদী ও ৮টি সেমিস্টারে বিভক্ত একটি কোর্স ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং। বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পলিটেকনিকে প্রায় ৩২ টি বিষয়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করা যায়। কোর্সটিতে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি হাতে-কলমে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এছাড়াও কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য অষ্টম সেমিস্টারে বিভিন্ন শিল্পকারখানা বা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং করানো হয়। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষে শিক্ষার্থীদের ডিপ্লোমা সনদ প্রদান করা হয় এবং উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অভিহিত করা হয়।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর একাডেমিক কোর্স স্ট্রাকচার
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম চার বছরে ৮ টি সেমিস্টারের বিভক্ত। প্রতিটি সেমিস্টারের মেয়াদ ৬ মাস। ১ম হতে ৭ম সেমিস্টার পর্যন্ত নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। ৬ মাস মেয়াদী প্রতি সেমিস্টারে ৮টি বিষয়ে পড়াশোনা করানো হয়। সেমিস্টারের মাঝে পর্ব মধ্য এবং শেষে চূড়ান্ত মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি সেমিস্টারের রেজাল্ট এর ভিত্তিতে চূড়ান্ত রেজাল্ট প্রদান করা হয়।
এছাড়াও অষ্টম সেমিস্টারে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং করানো হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সরাসরি হাতে কলমে দক্ষতা অর্জন করে এবং ভবিষ্যৎ চাকরি সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ক্যারিয়ার
একাডেমিক পড়াশোনা শেষে দ্রুত ক্যারিয়ার শুরু করতে চাইলে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার বিকল্প নেই। একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সরকারি বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিবছরই বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলোতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিয়ে থাকে। সরকারি চাকরিতে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা তথা উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা যায়। এছাড়াও প্রতিবছর বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণ শিল্পে প্রচুর পরিমাণে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন হয়। বেসরকারি খাতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে বিদেশেও ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ পায়।
এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এই শিক্ষা ব্যবস্থায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাশাপাশি বেসরকারি ইউনিভার্সিটি গুলোতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনেরও সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় এসএসসির পর যেখানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনে প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর সময় লাগে সেখানে এসএসসি পরীক্ষা শেষে মাত্র ৪ বছর ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে ক্যারিয়ার শুরু করা যায়। বাংলাদেশে বেকার সমস্যার সমাধানের অন্যতম উপায় হতে পারে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি নিলে মাত্র ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করা যায়।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি নিতে করণীয়
সব শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে পড়াশোনা শেষে দ্রুত একটি চাকরি লাভ করা। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনবলের তুলনায় চাকরির সুযোগ খুবই সীমিত। প্রতিবছর যেই হারে শিক্ষার্থী চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে, তত সংখ্যক শুন্য পদ না থাকায় খুব কম শিক্ষার্থীই চাকরি পাচ্ছে। অনেকে দীর্ঘদিন চেষ্টার পর আবার কেউ দ্রুত সফল হচ্ছে। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ার পাশাপাশি কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে চাকরির প্রস্তুতি অনেক সহজ হবে এবং দ্রুত চাকরি পাওয়া সম্ভব। যেমনঃ
- একাডেমিক পড়াশোনাতে গ্যাপ না রাখা। প্রত্যেকটি সেমিস্টার এ যে সকল বিষয় পড়ানো হয় সেগুলো মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করা। প্রত্যেকটি টপিকের বেসিক ক্লিয়ার করা এবং লেগিংস না রাখা। সেমিস্টার ফাইনালের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ কোন টপিক চাকরির পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তাই বেছে বেছে না পড়ে সম্পূর্ণ বই ভালোভাবে শেষ করা।
- নিজ নিজ ডিপার্টমেন্টের প্রধান বিষয়গুলো ভালোভাবে অধ্যয়ন করা। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলোর হ্যান্ড নোট তৈরি করা। হ্যান্ড নোট তৈরি থাকলে পরবর্তীতে রিভিশন দেওয়া সহজ হয় এবং দীর্ঘদিন আত্মস্থ থাকে।
- ডিপার্টমেন্ট বিষয়ের পাশাপাশি সাধারণ বিষয় বলি যেমনঃ বাংলা, ইংরেজি, গণিত সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা।
- যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রাবস্থায় সাধারণ জ্ঞানের চর্চা করা এবং নিয়মিত দৈনিক ও সাপ্তাহিক যেকোনো পত্রিকা পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায় যা পরবর্তীতে চাকরি পরীক্ষায় সহায়তা করে।
- একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির জন্য সহায়ক বই অধ্যায়ন করে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকা সম্ভব। প্রতিদিন অল্প কিছু সময় চাকরির যে সমস্ত সহায়ক বই রয়েছে সেগুলো অধ্যায়ন করলে অন্যদের তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে থাকা যায়।
- কম্পিউটার স্কিল অর্জন করা হতে পারে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বর্তমানে প্রায় সকল চাকরিতেই কমবেশি কম্পিউটার স্কিলের প্রয়োজন হয়। তাই ছাত্র অবস্থায় পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটারের বেসিক স্কিল অর্জন করতে হবে।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি এ সমস্ত স্কিল অর্জন করতে পারলে যে কেউ অন্যদের থেকে দ্রুত এবং সহজে চাকরি পেতে পারে।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ চাকরির প্রস্তুতিতে সহায়ক বই
চাকরির প্রস্তুতিতে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু সহায়ক বই বাজারে রয়েছে। এ সমস্ত বইয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সংযুক্ত থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীরা চাকরির প্রস্তুতিতে যে সমস্ত বইয়ের সহায়তা নিতে পারে তা নিম্নরূপঃ
- নিজ নিজ টেকনোলজি সম্পর্কিত সহায়ক বই। যেমন প্রযুক্তি, আরসিসি, রেজোন্যান্স, ওপটিমাম, ইকুয়েশন, পারফেক্ট ইত্যাদি এর মত নিজ নিজ ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকাশনীর বই বাজারে রয়েছে। এ সমস্ত বইগুলোতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর নিজ নিজ টেকনোলজির গুরুত্বপূর্ণ সকল বিষয় একত্রে দেওয়া আছে। ফলে একটি বই পড়লে পুরো ডিপার্টমেন্টের বিষয়গুলি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
- বাংলা বিষয়ে বাজারে যে সমস্ত বই রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণ, mp3, জব সিরিজ এর বাংলা অংশ এবং অবরোধ। এর মধ্যে যেকোনো একটি বা একাধিক বই অনুসরণ করা যেতে পারে।
- ইংরেজি এর জন্য বাজারে যে সমস্ত বই পাওয়া যায় এর মধ্যে ইংলিশ ফর কম্পিটিটিভ এক্সাম বইটি সর্বজন গৃহীত। এছাড়াও mp3 এবং জব সিরিজের ইংরেজি অংশ অনুসরণ করা যেতে পারে।
- গণিতে ভালো করতে অনুশীলন এর বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত অনুশীলনের জন্য খাইরুল বেসিক ম্যাথ, mp3 এবং জব সিরিজের গনিত অংশ অনুশীলন করা যেতে পারে।
- সাধারণ জ্ঞানে ভালো করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং সাম্প্রতিক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এর জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, জর্জ, mp3 এবং জব সিরিজের সাধারণ জ্ঞান অংশ অনুশীলন করা যেতে পারে।
এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন প্রকাশনীর ডাইজেস্ট বই পাওয়া যায় যেগুলোতে সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। এ ধরনের বইগুলো পড়লে একটি বইয়ের মধ্যে সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়।
একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার সুফল
শিক্ষার্থীরা সাধারণত একাডেমিক পড়াশোনা শেষে চাকরির জন্য আলাদাভাবে পড়াশোনা শুরু করে। তবে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির পড়াশোনা শুরু করলে দ্রুত চাকরি পাওয়ার পথ সুগম হয়। আলাদাভাবে প্রিপারেশনের প্রয়োজন হয় না বিধায় তাড়াতাড়ি স্বনির্ভর হওয়া যায়। বেকার সমস্যার সমাধানে অন্যতম পদক্ষেপ হতে পারে একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া। পড়াশোনা শেষে দ্রুত চাকরি পেলে শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয় বরং সামাজিকভাবেও সম্মান বৃদ্ধি পায়।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষে যেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে পারে
বাংলাদেশের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ রয়েছে। একজন দক্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার যেকোনো প্রতিষ্ঠানে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি করতে পারেন।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা হলোঃ
- গণপূর্ত অধিদপ্তর
- সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর
- শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
- স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
- জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
- বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড
- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
- সকল সিটি কর্পোরেশন
- বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড
- বাংলাদেশ রেলওয়ে
- বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ
- বাংলাদেশ জাতীয় গ্যাস কোম্পানি
- পানি উন্নয়ন বোর্ড
- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ইত্যাদি।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা হলোঃ
- বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থায়
- ইলেকট্রিক্যাল ও পাওয়ার কোম্পানিতে
- বিভিন্ন ফ্যাক্টরি ও ইন্ডাস্ট্রিতে
- বিভিন্ন সফটওয়্যার আইটি কোম্পানি
- অটোমোবাইল কোম্পানি
- কনসাল্টেন্সি ফার্মে
- শিল্প কারখানায়
- এনজিও ও উন্নয়ন সংস্থায় ইত্যাদি।
পরিশেষে
বর্তমানে প্রযুক্তি নির্ভর যুগে সাধারণ শিক্ষার তুলনায় কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা প্রতিযোগিতা মূলক কর্মসংস্থানে এগিয়ে থাকে। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থায় বহুমুখী শিক্ষার সুযোগ থাকে। ফলে পছন্দের বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি গ্রহণ করলে দ্রুত চাকরি পাওয়া যায়। সরকারি চাকরির পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকুরীর পরীক্ষা বর্তমানে তীব্র প্রতিযোগিতামূলক। এ সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতির। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি গ্রহণ করলে দ্রুত সফলতা পাওয়া যায়।
লিমা খাতুন, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-০৭ নভেম্বর, ২০২৪,
<https://abhinoboschool.com/ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি/>
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি নিলে কি পড়াশোনায় ক্ষতি হয়?
একদমই না। বরং পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি নিলে অন্যদের তুলনায় দ্রুত চাকরি পাওয়া যায়।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষে কি সরকারি চাকরি পাওয়া যায়?
হ্যাঁ, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় প্রতিবছর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
চাকরি প্রস্তুতি নিতে কতদিন সময় লাগে?
চাকরির প্রস্তুতি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তবে যথাযথ অধ্যায়ন করলে এক বছরের মধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়।