খুলনা বাংলাদেশের একটি বিভাগীয় শহর। খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একটি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ এবং প্রাচীন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। আজকের আলোচনায় আমরা খুলনা পলিটেকনিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানবোঃ
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইতিহাস
পাকিস্তানের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৫৫-৬০) চলাকালীন খুলনায় একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল দেশের শিল্প এবং প্রযুক্তি উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা। খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৩ সালে।
ভিশন ও মিশন
ভিশন
বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য ব্যাপকভাবে শিল্পের সঙ্গে মান সম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, সঠিক নির্দেশনা এবং পরামর্শ, সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে খুলনা পলিটেকনিক কে স্বনির্ভরশীল প্রমাণ করা।
মিশন
কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করণ এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে সুশিক্ষিত, দক্ষ ও উন্নত নৈতিকতা সম্পন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করার লক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড প্রণীত প্রয়োজনীয় নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলের হার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা।
প্রিন্সিপালের বার্তা
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সারা দেশে বিশেষত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। খুলনা যেহেতু মূলত একটি শিল্প অঞ্চল, তাই আমাদের ইনস্টিটিউট শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ পরিচালনা করে। সুতরাং, আমাদের শিক্ষার্থীরা সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, পাওয়ার, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, এনভায়রনমেন্টাল, আইপিসিটি এবং আরএসি নয়টি বিভাগে দক্ষ হয়ে উঠে। আমরা সবসময় প্রাসঙ্গিক শিল্পের সাথে একটি শক্তিশালী যোগসূত্র রাখি এবং শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত সেমিস্টার সম্পন্ন করে তাদের ডেটাবেস সরবরাহ করি। আমাদের খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি ১৯৬৩ সালে উচ্চ মানের প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রদান, মানবসম্পদ বিকাশ এবং ভাল বেতনের চাকরি দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমাদের ইনস্টিটিউট এবং কর্মীরা সরকারের অংশ। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমাদের দেশকে সমুন্নত রাখাই আমাদের মহৎ কর্তব্য। বর্তমানে দক্ষ কর্মী বাহিনী ছাড়া একটি দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
সুতরাং, আমাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষ হতে হবে। যেহেতু আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করেছি, ধারাবাহিকভাবে আপগ্রেড করা বিশ্বের নতুন চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমরা আরও বেশি করে উন্নত হচ্ছি। এখানে, আমরা শিক্ষা এবং মানকে গুরুত্ব দিই।
পরিচালনা পর্ষদ
মন্ত্রণালয় ও বিভাগঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের “শিক্ষা মন্ত্রণালয়” এর “কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ” এর অধিনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসনিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর” খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -এর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
একাডেমিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” কেপিআই এর একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সুযোগ সুবিধা
বাংলাদেশের অন্যান্য সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মত খুলনা পলিটেকনিকে রয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস। খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বর্তমানে প্রায় ৪০০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৮০০ নতুন শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ৯০ জন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা ৫৮ জন। এই ক্যাম্পাসে রয়েছে লাইব্রেরী, মসজিদ, খেলার মাঠ, ক্যান্টিন, হোস্টেল । নিচে খুলনা পলিটেকনিক এর ক্যাম্পাস সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানবো:
ওয়ার্কশপ
শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে বিকশিত করার জন্য বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট করা হয়। খুলনা পলিটেকনিক একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বাস্তবিক জ্ঞান অর্জনকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, পাওয়ার, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, এনভায়রনমেন্টাল, আইপিসিটি এবং আরএসি সহ নয়টি বিভাগের ব্যবহারিক ক্লাস প্রায়ই অনুষ্ঠিত হয়।
লাইব্রেরি
শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য এবং তাদের অবসর সময়কে আরো সুন্দর করে তুলতে খুলনা পলিটেকনিক এ একটি সুবিশাল লাইব্রেরী রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ বিনামুল্যে এসব সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
মেডিক্যাল সার্ভিস
শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য খুলনা পলিটেকনিকে একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। এই সেন্টারটি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি, জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। মেডিকেল সেন্টারে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং তাদের মৌলিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেন।
কোটা
বাংলাদেশের অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মত খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটেও কিছু কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। এসব কোটাগুলো হলো:-
- মহিলা কোটা – ২০%
- এসএসসি ( কারিগরি) – ১৫ %
- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী – ২ %
- মুক্তিযোদ্ধা – ৫ %
- বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্র – ৫ %
মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান
শিক্ষার্থীদের শরীর ও মনকে সতেজ রাখার জন্য খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি বিশাল খেলার মাঠ রয়েছে। এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটির নিরিবিলি মনোরম পরিবেশ সবার মন মুগ্ধ করে।
কোয়াটার
খুলনা পলিটেকনিক ক্যাম্পাসের পাশেই একটি নিরিবিলি কোয়াটার রয়েছে। এই কোয়াটারটি শিক্ষকদের এবং কর্মচারীদের জন্য নির্মিত, যেখানে তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাস করতে পারেন। কোয়াটারটির অবস্থান ইনস্টিটিউটের সন্নিকটে হওয়ায় শিক্ষকেরা সহজেই কাজের সময় এবং পরবর্তী সময়েও শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে পারেন। পরিবেশটি সবুজে ঘেরা, যা কর্মক্ষেত্রে এবং বাসস্থানে একটি সজীবতা নিয়ে আসে।
পরিচালিত প্রতিষ্ঠান
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি মূলত বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত। এই বোর্ড দেশের কারিগরি শিক্ষা সিস্টেমের মান উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাঠ্যক্রম এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী তৈরি, যা শিল্পের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
খুলনা পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে একটি বৃহৎ জামে মসজিদ রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের এবং কর্মচারীদের ধর্মীয় চাহিদা পূরণে সহায়তা করে। এই মসজিদটি সুশৃঙ্খলভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এবং সেখানে নিয়মিত নামাজের আয়োজন করা হয়, যা ক্যাম্পাসের পরিবেশকে আধ্যাত্মিকতা ও শান্তিতে পূর্ণ করে। এই স্থানটি শিক্ষার্থীদের জন্য একে অপরের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে।
প্লে-গ্রাউন্ড
শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা এবং অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি সুবিশাল প্লে-গ্রাউন্ড রয়েছে। এই মাঠটি বিভিন্ন ধরনের খেলার জন্য উপযোগী, যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন এবং ভলিবল। প্লে-গ্রাউন্ডে নিয়মিত আন্তঃশিক্ষা প্রতিযোগিতা এবং টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলবদ্ধ কাজ এবং প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি করতে সহায়তা করে।
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
প্রিন্সিপাল | ১ জন |
ভাইস প্রিন্সিপাল | ১ জন |
চিফ ইনস্ট্রাকটর বা ডিপার্টমেন্ট প্রধান | ৭ জন |
ইনস্ট্রাকটর এবং ওয়ার্কশপ সুপার | ১৯ জন |
জুনিয়র শিক্ষক | ৩৮ জন |
টেকনিক্যাল সাপোর্টিং স্টাফ | ১০ জন |
নন টেকনিক্যাল সাপোর্টিং স্টাফ | ২৮ জন |
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক কার্যক্রম
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ডিপ্লোমা কোর্সসমূহ
খুলনা পলিটেকনিক এর ওয়েবসাইট তথ্যমতে বর্তমানে চার বছর মেয়াদী ৭ টি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট চালু আছে।উক্ত প্রতিষ্ঠানে ৭ টি ডিপার্টমেন্টে দুটি শিফটে মোট ১২০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ পেয়ে থাকে।নিচে টেবিলে ডিপার্টমেন্ট, গ্রুপ ও সিট সংখ্যা তুলে ধরা হল।
ডিপার্টমেন্ট | সিট সংখ্যা |
ইলেকট্রিক্যাল | ১৫০ টি |
সিভিল | ১৫০ টি |
কম্পিউটার | ৫০ টি |
মেকানিক্যাল | ১০০ টি |
ইলেকট্রনিক্স | ৫০ টি |
পাওয়ার | ৫০ টি |
আরএসি | ৫০ টি |
ছাত্র সংগঠন
খুলনা পলিটেকনিক এর শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি দলের সাথে যুক্ত আছে। যেখানে একাডেমিক পড়াশোনা ছাড়াও বিভিন্ন কারিকুলাম ও রাজনীতিক চর্চা হয়ে থাকে।
- টিম কারিগর – প্রযুক্তি ফোকাস একটি টিম।
- এলমনাই এসোসিয়েশন।
- বাংলাদেশ পলিটেকনিক সাধারণ ছাত্র পরিষদ
- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ছাত্রদল
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
ছাত্রাবাস
অন্যান্য সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মতো খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটেরও আবাসিক হল রয়েছে। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে কোনো একটি বিশেষ কারণে খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সকল আবাসিক হলগুলো বন্ধ রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় পার্শ্ববর্তী একটি মেসে।
উল্লেখ্য যে, প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে কিছু তথ্য একই থাকে। যার প্রদান কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ হয় বলে। তাই নিচের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো একটি মাত্র ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে রাখা হয়েছে যেন, যে কেউ খুব সহজে তথ্যগুলো পেতে পারে এবং একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত পেয়ে যায়। যেমন, শিক্ষা ব্যবস্থা, কোটা পদ্ধতি, বৃত্তি, সরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ, ক্লাসের সময়সূচি, ভর্তির যোগ্যতা, কোর্সের সময়সীমা, গ্রেডিং সিস্টেম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা। তাছাড়া আরও জানতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবিধান দেখুন।
লিমা খাতুন, খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,
<https://abhinoboschool.com/খুলনা-পলিটেকনিক-ইনস্টিটিউট/>
খুলনা পলিটেকনিক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কি কি টেকনোলজি আছে?
উক্ত প্রতিষ্ঠানে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, পাওয়ার, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, এনভায়রনমেন্টাল, আইপিসিটি এবং আরএসি টেকনোলজি আছে।
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর খেলার মাঠ আছে কি?
হ্যাঁ, খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি খেলার মাঠ রয়েছে। এখানে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ আছে।