কৃষক, কৃষিকর্মী ও কর্মকর্তাদের কৃষি ভিত্তিক হালনাগাদ জ্ঞান- দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যকে সামনে রেখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অধীন ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও কুষ্টিয়া জেলার কৃষি তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রেখে চলেছে। এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী, পাবনা সম্পর্কে সকল বিষয়ে আলোচনা করা হবে। তথ্যগুলো বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স থেকে সংগ্রহ করা।
কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী, এর ইতিহাস
কৃষক, কৃষিকর্মী ও কর্মকর্তাদের কৃষি ভিত্তিক হালনাগাদ জ্ঞান- দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যকে সামনে রেখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর অধীন ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও কুষ্টিয়া জেলার কৃষি তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রেখে চলেছে।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডর সহায়তায় ৪ (চার) বৎসর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার কোর্স সাফল্যের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় বি.এজি.এড কোর্স চালু রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা বিশেষ করে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ও অফিস স্টাফদের যথাক্রমে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কর্মসূচী গুলি এই প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি উক্ত জেলাগুলোর কৃষকদের স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। অত্র ইনস্টিটিউট তার কৃষি খামার ও উদ্যান নার্সারীতে নতুন জাতের ফসল উৎপাদন প্রযুক্ত প্রদর্শন এবং বিভিন্ন ফলের জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করে থাকে, একই সাথে ভেষজ উদ্ভিদ প্রদর্শনী কার্যক্রম চলমান আছে।
মানব সম্পদ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম আরও দক্ষ ও গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর উন্নয়ন, মাঠ কার্যক্রমের বিস্তার, শিক্ষক ও প্রশিক্ষকগণের দক্ষতার উন্নয়নসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার উৎকর্ষতা সাধন প্রয়োজন। দারীদ্র ও ক্ষুদামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
ব্যবস্থাপনা | সরকারি |
---|---|
শিক্ষার্থী ধরণ | সহশিক্ষা |
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য | |
বাংলায় | কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী, পাবনা |
ইংরেজিতে (ব্লক লেটার) | AGRICULTURE TRAINING INSTITUTE, ISHWARDI, PABNA |
স্থাপিত | ১৯৭৮ |
ফোন | ০৭৩২৬-৬৩৬৪৭ |
ই-মেইল | ish.principalati@yahoo.com |
ওয়েবসাইট | www.ati.pabna.gov.bd |
ঠিকানা | |
জেলা | পাবনা |
বিভাগ | রাজশাহী |
মিশন ও ভিশন
মিশন
যুগোপযোগী, প্রয়োগিক ও ফলপ্রসূ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষিতে নিয়োজিত জনবলের দক্ষতা উন্নয়ন।
ভিশন
টেকসই কৃষি প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনবল।
পরিচালনা পর্ষদ
মন্ত্রণালয় ও বিভাগঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের “শিক্ষা মন্ত্রণালয়” এর “কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ” এর অধিনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসনিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর” কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট,ঈশ্বরদী -এর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
একাডেমিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” এটিআই এর একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট,ঈশ্বরদী এর সুযোগ সুবিধা
এই ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার তাদের পড়ালেখার মান উন্নতি করছে। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি গৌরবময় যাত্রা শুরু করেছিল এই প্রতিষ্ঠানটি এবং বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি তার যাত্রা কাল চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডর সহায়তায় ৪ (চার) বৎসর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার কোর্স সাফল্যের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। এই ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থিদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে। শিক্ষার্থিদের পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় উন্নতির জন্য অনেক ধরনের সুযোগ রয়েছে।
লাইব্রেরি
এই ইনস্টিটিউটে একটি সুন্দর লাইব্রেরী রয়েছে। লাইব্রেরির জন্য নির্দিষ্ট কক্ষ আছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরী থেকে বই ইস্যু করা হয় এছাড়াও লাইব্রেরীতে বাংলা এবং ইংরেজি ভাষার চর্চা করা হয়।
অডিটরিয়াম ও ল্যাবরেটরি
অন্যান্য ইনস্টিটিউট এর মত এই ইনস্টিটিউটে ও ওয়ার্কশপ এবং ল্যাবরেটরির ব্যাবস্থা রয়েছে। এই ইনস্টিটিউট এর ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক/বাস্তবিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য রয়েছে আধুনিক মেশিন ও বিভিন্ন যন্ত্রে সজ্জিত ওয়ার্কশপ, যেখানে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্প উন্নয়নের সাথে নিজেকে উন্নয়ন করে দেশ ও দেশের মান বাড়িয়ে তুলবে। এই ইনস্টিটিউটে ১ টি ল্যাবরেটরি রয়েছে।
মাঠ ও উন্মক্ত স্থান
খেলাধুলার জন্য রয়েছে সুন্দর একটি উন্মুক্ত মাঠ। শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চাসহ বিভিন্ন খেলাধুলা পরিচালনা করার জন্য মাঠটি ব্যাবহার হয়ে থাকে। এই মাঠে শিক্ষার্থীরা ক্রিকেট ফুটবল এবং ভলিবল খেলে থাকে। তাছাড়াও ইনডোর এর জন্য রয়েছে কেরাম বোর্ড টেবিল টেনিস এর ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র
বর্তমানে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী এই ইনস্টিটিউটে কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। তবে একটি কক্ষ আছে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার ব্যাবস্থা আছে। সাধারনত শিক্ষার্থীরা তাদের আশেপাশের হাসপাতালে শারীরিক-মানসিক সমস্যা দেখিয়ে থাকে ।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান(মসজিদ)
বর্তমানে মুসলমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীসহ সকলের জন্য মসজিদে নামাজ পড়ার সু – ব্যাবস্থা রয়েছে।
পলিটেকনিক ডাক বিভাগ
বর্তমানে এই ইনস্টিটিউট এর কোন নিজস্ব পলিটেকনিক ডাক বিভাগ নেই।
ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) | ১ জন |
মূূখ্য প্রশিক্ষক | ৩জন |
উর্ধ্বতন প্রশিক্ষক (সংযু্ক্তি) | ২ জন |
অতিরিক্ত কৃষি অফিসার (সংযুক্ত) | ২ জন |
প্রশিক্ষক (বুনিয়াদি প্রশিক্ষণরত) | ৪ জন |
উপ-সহকারী প্রশিক্ষক | ৩ জন |
ব্যক্তিগত সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী | ১ জন |
স্টোর কিপার | ১ জন |
উচ্চমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর (সংযুক্ত) | ১ জন |
লাইব্রেরিয়ান | ১ জন |
ইলেকট্রিশিয়ান ও ক্যাশিয়ার (ভারপ্রাপ্ত) | ১ জন |
গাড়ী চালক | ১ জন |
ল্যাব এ্যটেনডেন্ট | ১ জন |
প্লাম্বিং মিস্ত্রি | ১ জন |
অফিস সহায়ক | ১ জন |
কুক | ২ জন |
মালী | ৩ জন |
নিরাপত্তা প্রহরী | ৪ জন |
পাওয়ার টিলার ড্রাইভার( নিজ বেতনে) | ১ জন |
পরিচ্ছন্নতা কর্মী | ১ জন |
একাডেমিক কার্যক্রম
কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী, একাডেমিক কার্যক্রম সাধারণত কৃষি শিক্ষার বিভিন্ন দিককে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়। এ প্রতিষ্ঠান কৃষি সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার সুযোগ প্রদান করে। এখানে কিছু মূল একাডেমিক কার্যক্রমের বিবরণ উল্লেখ করা হলো:
- ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার:
কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে ৪ বছরের ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার কোর্স প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীরা কৃষির মৌলিক ও ব্যবহারিক দিকগুলি শিখে থাকে।
- কৃষি প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা:
বিভিন্ন কৃষি প্রযুক্তি ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয় শেখানো হয়, যেমন মাটি সংরক্ষণ, সার ব্যবহার, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার ইত্যাদি।
- প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ:
শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে কৃষি কাজের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এতে তারা বাস্তবজীবনের চাষাবাদ, ফসল উৎপাদন এবং কৃষি ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা পায়।
- ফিল্ড ওয়ার্ক এবং ইন্টার্নশিপ:
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কৃষি খামারে কাজ করে ফিল্ড ওয়ার্ক এবং ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করে, যা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভে সহায়ক হয়।
- গবেষণা কার্যক্রম:
বিভিন্ন ধরণের কৃষি সমস্যার সমাধান এবং নতুন কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য গবেষণা করা হয়।
- সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম:
এই ইনস্টিটিউটটি স্থানীয় কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাতে তারা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হতে পারে এবং তাদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হয়।
এইসব একাডেমিক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কৃষি খাতে দক্ষতা অর্জন করে এবং কৃষি খাতে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়।
শর্ট কোর্স
বর্তমানে এই ইনস্টিটিউট এর কোন আপাদত শর্ট কোর্স চালু নেই।
ছাত্র সংগঠন
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দলন এর পর বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটিতে কোন ছাত্র সংঘটন নেই।
ছাত্রাবাস
এই প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্র এবং জন্য ছাত্রাবাস এর সুব্যবস্থা রয়েছে। ছাত্রাবাস রয়েছে ১টি, যেটিতে কক্ষ-৫৬টি, ধারণ ক্ষমতা – ২২৪ জন। ছাত্রীনিবাসে ১টি, কক্ষ – ৬ টি, ধারণ ক্ষমতা- ২৪ জন তাছাড়াও শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে থাকার জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে।
সাধারণত আমরা জানি যে বাংলাদেশের প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সম্পর্ক কিছু তথ্য আছে যেগুলো প্রায় একই থাকে বলা যায়, কারণ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় বলে। প্রত্যেকটি তথ্যগুলো আমরা ভেরিফাইড ওয়েবসাইট থেকে নিয়েছি এবং প্রত্যেকটি তথ্য গুলো আমাদের রিসার্চ করা যার ধরুন আপনি এখান থেকে খুব ফ্রেশ এবং আপডেট তথ্যগুলো জানতে পারবেন। সাধারণত আমাদের যে বিষয়গুলো বেশি জরুরি হয়ে থাকে যেমনঃ ভর্তির যোগ্যতা, কোর্সের সময়সীমা, শিক্ষা ব্যাবস্থা, পড়াশোনা খরচ, ছাত্রাবাস ইত্যাদি উল্লেখিত পয়েন্টগুলো ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে দেওয়া হয়েছে।
মোহেবুল্লাহ হোসেন মুবিন, প্রকাশ ০৭, সেপ্টেম্বর, ২০২৪