বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত সকল প্রতিষ্ঠানের ভিতর কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হচ্ছে অন্যতম। এটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থাপনা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত এই পলিটেকনিকের রয়েছে গৌরবময় সাফল্য। এই পলিটেকনিক বাংলাদেশের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরেই দ্বিতীয় পুরোনো পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং প্রথম আইসিটি বেসড পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই আর্টিকেলে মূলত কুমিল্লা পলিটেকনিক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হবে।
- কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইতিহাস
- ভিশন ও মিশন
- প্রিন্সিপালের বার্তা
- ভাইস প্রিন্সিপালের বার্তা
- পরিচালনা পর্ষদ
- কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সুযোগ সুবিধা
- কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
- কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক কার্যক্রম
- কুমিল্লা পলিটেকনিক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইতিহাস
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের একটি অন্যতম কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৬২ সালে স্থাপিত হয়। স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এটি বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। শিক্ষার মান তুলনামূলকভাবে ভাল হওয়াতে এবং ক্যারিয়ার গঠনে উক্ত শিক্ষার অত্যাধিক চাহিদা থাকায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা দিন দিন কারিগরি শিক্ষার দিকে ঝুকছে। কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ঐতিহ্যবাহী এবং বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান শালবন-বিহারের পাশে কুমিল্লার শিক্ষাঞ্চল নামে খ্যাত কোটবাড়ীর বুক ঘেঁষে ২৬ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। মূল ক্যাম্পাসে তিন তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন, তিন তলা বিশিষ্ট পুরাতন একাডেমিক ভবন, তিন তলা বিশিষ্ট কম্পিউটার ভবন, ছয়টি বড় ওয়ার্কসপ, একটি বিশাল লাইব্রেরী, ল্যাবরেটরী, ৮০০ আসন বিশিষ্ট একটি অডিটরিয়াম, একটি মসজিদ এবং মূল ভবনের সামনে রয়েছে শহীদ মিনার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল।
এছাড়াও ছাত্রদের জন্য দুইটি এবং ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল রয়েছে। আবাসিক হলগুলোর পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম ও সুন্দর, যা শিক্ষার জন্য উপযোগী। আবাসিক হলের সামনে রয়েছে একটি বিশাল আকৃতির পুকুর। শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য রয়েছে সরকারি বাসভবন। ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে একটি বিশাল মাঠ। মাঠের পশ্চিম পাশে একটি প্যাভিলিয়ন রয়েছে, যাতে করে দর্শনার্থীরা খেলাধুলা উপভোগ করতে পারে। আম, জাম, কাঠাল, শাল, সেগুন, গজারি, দেবদারু, কদম, নীম ইত্যাদি বনজ, ঔষধি ও ফলবৃক্ষ পরিবেষ্টিত ক্যাম্পাসটি বর্ষায় সবুজায়নের দ্বারা এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি করে।
ভিশন ও মিশন
ভিশন
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মৌলিক ট্রেড কোর্স প্রশিক্ষণের মান নিশ্চিত করার জন্য প্রধান কার্য সম্পাদন করা।
মিশন
বিশ্বমানের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে উন্নীত করণের লক্ষ্যে মান সম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রয়োজনীয় নীতি, কর্মসূচী প্রকল্প বাস্তবায়ন, আদর্শমান নির্ধারণ ও পরীক্ষণ এবং মূল্যায়ন।
প্রিন্সিপালের বার্তা
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাঙ্গনে একটি সুপরিচিত এবং সর্বজন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান। মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং দারিদ্র বিমোচনের জন্য কারিগরি শিক্ষার অবদান অনস্বীকার্য। এতদাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠিকে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করাই এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বয়নের সাথে তালমিলিয়ে একবিংশ শতাদ্বীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দক্ষ করে যুগপোযোগি কারিগরি শিক্ষা প্রদান করে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রতি বছর এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মক্ষেত্রে তাদের সফল অবদান রেখে চলেছে। আগামিতে এই সফলতা ধরে রাখার জন্য দক্ষ পরিচালনা পর্ষদের সহযোগিতা এবং একঝাক সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলির নিরলস পরিশ্রম কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সফলতার বন্দরে নোঙ্গর করবে। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের সর্বজনীন উন্নতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রূপায়নে গঠনমূলক সমালোচনা, সুশীল সমাজের মূল্যবান পরামর্শ এবং সহযোগিতা নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইনস্টিটিউটটিকে একটি সমৃদ্ধ ও গতিশীল, আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই প্রত্যয়ই হোক আগামীর পথচলা। আমি এ প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর উন্নতি ও সফলতা কামনা করছি।
ভাইস প্রিন্সিপালের বার্তা
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন তথা দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং উন্নত দেশগড়ার লক্ষ্যে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন। করিগরি শিক্ষা ছাড়া অধিক জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করা অসম্ভব । বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান এবং বাস্তব সম্মত মাধ্যম হিসেবে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে । সে আলোকে প্রযুক্তি শিক্ষা ও সৃজনশীলতার চিরন্তন আবেদন সামনে রেখে বহিঃবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ উজ্জীবিত করতে আমি সদা প্রস্তুত। তদুপরি, শিক্ষার্থীদের ফলাফলের মান উন্নয়নে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে অধ্যক্ষ হিসেবে আমি এবং আমার সহকর্মীবৃন্দ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
পরিচালনা পর্ষদ
মন্ত্রণালয় ও বিভাগঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের “শিক্ষা মন্ত্রণালয়” এর “কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ” এর অধিনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসনিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর” কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -এর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
একাডেমিক পরিচালনাঃ “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সুযোগ সুবিধা
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ঐতিহ্যবাহী এবং বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান শালবন-বিহারের পাশে কুমিল্লার শিক্ষাঞ্চল নামে খ্যাত কোটবাড়ীর বুক ঘেঁষে ২৬ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। মূল ক্যাম্পাসে তিন তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন, তিন তলা বিশিষ্ট পুরাতন একাডেমিক ভবন, তিন তলা বিশিষ্ট কম্পিউটার ভবন, ছয়টি বড় ওয়ার্কসপ, একটি বিশাল লাইব্রেরী, ল্যাবরেটরী, ৮০০ আসন বিশিষ্ট একটি অডিটরিয়াম, একটি মসজিদ এবং মূল ভবনের সামনে রয়েছে শহীদ মিনার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুড়াল।
এছাড়াও ছাত্রদের জন্য দুইটি এবং ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল রয়েছে। আবাসিক হলগুলোর পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম ও সুন্দর, যা শিক্ষার জন্য উপযোগী। আবাসিক হলের সামনে রয়েছে একটি বিশাল আকৃতির পুকুর। শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য রয়েছে সরকারি বাসভবন। ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে একটি বিশাল মাঠ। মাঠের পশ্চিম পাশে একটি প্যাভিলিয়ন রয়েছে, যাতে করে দর্শনার্থীরা খেলাধুলা উপভোগ করতে পারে। আম, জাম, কাঠাল, শাল, সেগুন, গজারি, দেবদারু, কদম, নীম ইত্যাদি বনজ, ঔষধি ও ফলবৃক্ষ পরিবেষ্টিত ক্যাম্পাসটি বর্ষায় সবুজায়নের দ্বারা এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি করে।
এই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি কো-কারিকুলার কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্কাউটিং, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করে সফলতা অর্জন করেছে।এই প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণ শেষে “ডুয়েট” সহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে আসছে। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করা প্রচুর সংখ্যক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দেশ-বিদেশে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে কারিগরি শিক্ষার প্রসারসহ উৎপাদন ও প্রযুক্তির মানোন্নয়নে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। নির্মাণ শিল্পের বিভিন্ন উপকরণ অত্র প্রতিষ্ঠানের টেস্টিং ল্যাবসমূহে পরীক্ষা করে সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি এতদঞ্চলের শিল্পায়ন ও আধুনিকায়নে অবদান রাখছে।
লাইব্রেরি
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একটি সুবিশাল লাইব্রেরি রয়েছে। এই লাইব্রেরিতে বিভিন্ন ধরনের বই, জার্নাল এবং গবেষণা সামগ্রী উপস্থিত, যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত ও গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক। শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই লাইব্রেরির সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে, যা তাদের জ্ঞানার্জন এবং তথ্যভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ওয়ার্কশপ
শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশের জন্য কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বাস্তব জ্ঞান অর্জনে প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ গুরুত্ব দেয়। সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, পাওয়ার, ইলেক্ট্রোমেডিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিউটার বিভাগের ব্যবহারিক ক্লাসগুলি নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
প্লে-গ্রাউন্ড
পড়াশোনা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে করতে ছাত্র- ছাত্রীদের মধ্যে একঘেয়ামিতা দেখা দেয়। খেলাধুলা এবং বিনোদন ছাত্র- ছাত্রীদের সেই একঘেয়েমিতা দূর করে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা এবং অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি সুবিশাল প্লে-গ্রাউন্ড রয়েছে।
ছাত্রাবাস
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ ছাত্রদের জন্য দুইটি আবাসিক হল এবং ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল রয়েছে। এই আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা উন্নত পরিবেশে থাকতে পারেন, যা তাদের পড়াশোনার মান উন্নত করতে সহায়ক। হলগুলোতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়, যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময়ভাবে জীবনযাপন করতে পারে।
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে মোট শিক্ষক এবং কর্মচারী
প্রিন্সিপাল | ১ জন |
ভাইস প্রিন্সিপাল | ২ জন |
চিফ ইনস্ট্রাকটর বা ডিপার্টমেন্ট প্রধান | ২৩ জন |
ইনস্ট্রাকটর এবং ওয়ার্কশপ সুপার | ৮৯ জন |
জুনিয়র শিক্ষক | ৮২ জন |
টেকনিক্যাল সাপোর্টিং স্টাফ | ১১৯ জন |
নন টেকনিক্যাল সাপোর্টিং স্টাফ | ৪৮ জন |
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর একাডেমিক কার্যক্রম
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর কোর্সসমূহ
অত্র ইনস্টিটিউটে মোট ৬ (ছয়) টি টেকনোলজি রয়েছে।
- কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি
- সিভিল টেকনোলজি
- ইলেকট্রিক্যাল টেকনলোজি
- ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি
- মেকানিক্যাল টেকনোলজি
- পাওয়ার টেকনোলজি
৬ (ছয়) টি টেকনোলজিতে প্রতি শিফটে ৬০০ জন (সিভিলঃ ১২০, ইলেকট্রিক্যালঃ ১২০, মেকানিক্যালঃ ১২০, পাওয়ারঃ ৬০, ইলেকট্রনিক্সঃ ৬০, কম্পিউটারঃ ১২০) করে মোট ১২০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে ১ম বর্ষ থেকে ৪র্থ বর্ষ পর্যন্ত প্রায় ৪৮০০ ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। প্রতিটি টেকনোলজির জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা একাধিক আধুনিক ল্যাব ও সপ। নিচে টেবিলে ডিপার্টমেন্ট, গ্রুপ ও সিট সংখ্যা তুলে ধরা হল।
ডিপার্টমেন্ট | শিফট | সিট সংখ্যা |
ইলেকট্রিক্যাল | ২ টি | ২৪০ টি |
সিভিল | ২ টি | ২৪০ টি |
কম্পিউটার | ২ টি | ২৪০ টি |
মেকানিক্যাল | ২ টি | ২৪০ টি |
পাওয়ার | ২ টি | ১২০ টি |
ইলেকট্রনিক্স | ২ টি | ১২০ টি |
সিভিল টেকনোলজি
যোগাযোগ অবকাঠামো, আবাসন অবকাঠামো, পরিকল্পিত শহর নির্মাণে যে কৌশল মানুষ আবিষ্কার করেছে, এ কৌশলীদেরকেই আজ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গণ্য করা হয়। দালান-কোঠা, রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট, বাঁধ, ওয়াটার ওয়ার্কস, সুয়েরেজ ওয়ার্কস, প্ল্যাম্বিং, মেটেরিয়াল টেস্টিং, সয়েল টেস্টিং, হাইড্রলোজিক্যাল ওয়ার্কস, সার্ভেয়িংসহ যাবতীয় কাজে প্ল্যানিং, এস্টিমেটিং, ডিজাইনিং ইত্যাদি কাজ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার/টেকনোলজিস্টগণ করে থাকে। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ের কাজগুলো বাস্তবায়নে তদারকি, কাজের মান নিয়ন্ত্রণ, খরচের হিসাব, নির্মাণ শ্রমিকদের পরামর্শদান এবং নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজের দায়িত্ব পালন করে। গণপূর্ত বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি, ফ্যাসিলিটিজ, রেলওয়েসহ সরকারি, আধা-সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিযুক্তি পায়। নির্মাণ কাজে ঠিকাদারী ব্যবসায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটদের কাজের ব্যাপক ক্ষেত্র রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটদের বিশাল কর্মক্ষেত্র রয়েছে।
সিভিল টেকনোলজির ল্যাবসমূহ
- সয়েল শপ
- ম্যাসন শপ
- সার্ভে ল্যাব
- উড শপ
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অবদান অনস্বীকার্য। কম্পিউটার হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার ও নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে এই টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকুরীতে নিজেদের আত্মনিয়োগ করে এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আত্ম-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশ ও জাতির উন্নতি সাধনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ল্যাবসমূহ
- সফটওয়্যার ল্যাব
- আপ্লিকেশন ল্যাব
- ডাটাবেজ ল্যাব
- নেটওয়ার্ক ল্যাব
- প্রোগামিং ল্যাব
ইলেকট্রিকাল
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৬২ সাল থেকে তার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে । তারই ধারাবাহিকতায় অত্র ইনস্টিটিউটে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কার্যক্রমে প্রতি সেশনে ২০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে । অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে শিক্ষার্থীরা এখানে বিচরণ করে তাদের ভবিষ্যৎ জীবন সমৃদ্ধশীল করণে নিজেকে শাণিত করে তুলতে সক্ষম হয় । দেশের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত , যোগ্য ও মেধাবী সমৃদ্ধশীল শিক্ষক মন্ডলী হাতে কলমে ইলেকট্রিক্যাল প্রযুক্তির সকল বিষয়গুলো অত্যন্ত যত্নসহকারে শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক ক্লাসগুলোতে পাঠদান করে থাকেন । এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জামসহ ইলেকট্রিক্যাল ল্যাব সমূহ , রয়েছে ডিজিটাল ট্রেইনারবোর্ডসমূহ , রয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ফ্যাসিলিটি । এছাড়াও রয়েছে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল , যাদের ঐকান্তিক প্রয়াসে প্রযুক্তিনির্ভর সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আগামীর বাংলাদেশ ।
প্রতিযোগীতামূলক বিশ্বে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে অত্র ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজির শিক্ষক এবং কর্মচারীবৃন্দ দায়বদ্ধ । এখান থেকে ইলেকট্রিক্যাল প্রযুক্তিতে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং সমাপ্ত করে একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তার মর্যাদা লাভ করে । এছারাও দেশে-বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সহ উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আরো সমৃদ্ধশীল করে তুলতে পারে । ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে একজন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ তথা বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদন , পরিবহন,নিয়ন্ত্রণ ও বিতরণ সেক্টরগুলোতে অত্যন্ত মর্যাদার সাথে চাকুরি করে যাচ্ছে এবং সফল শিল্প উদ্যোক্তা হিসাবে দেশের জিডিপিতে অবদান রাখছে । সর্বোপুরি দেশের সরকারি , আধা-সরকারি , স্বায়ত্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান, প্রাইভেট কোম্পানী, শিল্প-কারখানা সহ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ইলেকট্রিক্যাল প্রযুক্তির শিক্ষার্থীরা নিজেদের কর্মক্ষেত্র নির্বাচন করে কাজ করে যাচ্ছে ।
ইলেকট্রনিক্স
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (বিটিইবি) আগারগাঁও এর অধীনে ১৯৯৫ সালে ডিপ্লোমা-ইন-ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি চালু করা হয়েছিল। বিটিইবি ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির পাঠ্যক্রমটি যথাসময়ে যথাযথভাবে বিকাশ করেছে এবং এর ধারাবাহিকতা চলমান। ডিপ্লোমা-ইন-ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি প্রোগ্রাম এক সেমিস্টার শিল্পপ্রতিষ্ঠান সংযুক্তি সহ মোট আটটি সেমিস্টারের সমন্বয়ে ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার পদে প্রবেশের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার জন্য ডিজাইনকৃত একটি সিকোয়েন্স। এই শিক্ষা থেকে ছাত্রছাত্রীগণ প্রয়োজনীয় একাডেমিক , প্রায়োগিক বৃত্তিমূলক জ্ঞান ও দক্ষতা বিকাশ করে চাকুরী অর্জন এবং তা ধরে রাখা বা বিকাশ করতে পারে । বিটিইবি এর এই প্রোগ্রামটি সফল কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক তত্ত্ব এবং ব্যবহারিক প্রয়োগগুলির সংমিশ্রণের উপর জোর দেয় এবং শিক্ষার্থীদের সাধারণক্ষেত্রে কমিউনিকেশন, গনিত বা অন্যান্য আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটায়।
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে এবং মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় চাহিদা পূরণে আমাদের ইলেক্ট্রনিক্সে পেশাদারভাবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করার প্রচেষ্টার অভাব নেই। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য গর্বিত যে তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা এবং চাকরির বাজারে দেশে এবং বিদেশেও স্বীকৃতি অর্জন করছে। ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগ বিভিন্ন অতিরিক্ত ও সহ-পাঠ্যক্রমিক ক্রিয়াকলাপকে উৎসাহ দেয় এবং নিয়মিতভাবে অধ্যয়ন ট্যুর, শিল্প পরিদর্শন, সেমিনার, কর্মশালা ইত্যাদির আয়োজন করে।
পাওয়ার টেকনোলজি
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে যে ছয়টি টেকনোলজি নিয়ে বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে তার মধ্যে পাওয়ার টেকনোলজি অন্যতম। এই টেকনোলজিতে অধ্যয়নকালে একজন শিক্ষার্থীকে অটোমোবাইল ইঞ্জিন এন্ড পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম ও বডি বিল্ডিং, স্টীম জেনারেশন (বয়লার), স্টীম ইঞ্জিন ও স্টীম টার্বাইন, পাম্পস্, হাইড্রলিক্স মেশিনস্, ফ্লুইড মেকানিক্স ও এয়ারকম্প্রেসরস্, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন, ট্র্যান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন, লিফটিং ট্যাকল্স, হয়েস্টস্ ও মেকানিক্যাল মেশিন টুলস্ ইত্যাদি প্রধান প্রধান ক্ষেত্রে শিক্ষা লাভ করতে হয়। পাওয়ার টেকনোলজি থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর সরকারী, আধাসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, প্রাইভেট অর্গানাইজেশন, এনজিও-তে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ক্ষেত্র বিশেষে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ছাড়াও আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
যে সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে গণপূর্ত বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, হাউজিং এন্ড সেটেলমেন্ট, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফুড এন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন, কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন, স্টীল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন, বিএডিসি, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, টি এন্ড টি ডিপার্টমেন্ট ইত্যাদি।
ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি ও মেকানিক্যাল টেকনোলজির বিভিন্ন বিষয় সমন্বয়ে পাওয়ার টেকনোলজির পাঠ্যসূচী প্রণয়নের কারণে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইলেকট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল উভয় টেকনোলজিতেই পারদর্শী হয়ে থাকে। এই টেকনোলজি থেকে পাশ করা গ্র্যাজুয়েটগণ বিদেশে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে চাকুরী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে শক্তিশালী জাতীয় অর্থনৈতিক ভিত্তি গঠনে অবদান রাখছে।
পাওয়ার টেকনোলজির শপ ও ল্যাব সমূহ
- অটো পাওয়ার শপ
- হাইড্রলিক্স ল্যাব
- হিট ইঞ্জিন ল্যাব
মেকানিক্যাল টেকনোলজি
সভ্যতার বিবর্তনের সাথে মেকানিক্যাল টেকনোলজির একটি আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। চাকা আবিস্কারের সাথে সাথে সভ্যতার বিবর্তনের গতি সঞ্চার হয়। স্টীম ইঞ্জিন আবিস্কার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় এক বিপ্লব সাধন করে। ইলেক্ট্রনিক যুগে প্রবেশের পূর্ব পর্যন্ত মেকানিক্যাল টেকনোলজিই বিশ্ব সভ্যতাকে পূর্ণতা দান করে এবং আজ পর্যন্ত তার গুরুত্ব কোন অংশে কমেনি। এজন্য মেকানিক্যাল টেকনোলজি সকল টেকনোলজির মাতা হিসেবে আখ্যায়িত হয়। সকল প্রকার ধাতু, রাবার, প্লাস্টিক, কাঁচ তৈরীর ক্ষেত্রগুলো মেকানিক্যাল টেকনোলজির আওতাভুক্ত। কল-কারখানার মেশিন, গাড়ীর ইঞ্জিনসহ সকল প্রকার কল-কব্জা তৈরীর পরিকল্পনা, ডিজাইন এবং প্রসেস ইত্যাদি কাজ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারগণ করে থাকে। সরকারী, বেসরকারী ও আধা-সরকারী এবং এনজিও সমূহে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটদের বিস্তৃত কর্মক্ষেত্র রয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রেলওয়ে, পানি উন্নয়ন বোর্ড, গাড়ী নির্মান কারখানা, পাওয়ার প্লান্ট, সারকারখানা, টেলিযোগাযোগ, স্টীল মিল, জুট মিল, কটন মিল, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে মেকানিক্যাল ডিপ্লোমাগণ সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, কোন কোন ক্ষেত্রে এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে প্রাথমিক নিযুক্তি পেয়ে থাকে। এছাড়াও বিদেশে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটদের বিস্তৃত কর্মক্ষেত্র রয়েছে।
মেকানিক্যাল টেকনোলজির প্রধান পাঠ্য বিষয়সমূহ
এ্যাপ্লাইড মেকানিক্স, থার্মোডাইনামিক্স, মেট্রোলজি, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস, প্রোডাকশন প্লানিং এন্ড কন্ট্রোল, ওয়েল্ডিং, ফাউন্ড্রি এন্ড প্যাটার্ণমেকিং, মেটালার্জি এন্ড হিট ট্রিটমেন্ট, মেশিন সপ প্র্যাক্টিস, মেশিন ডিজাইন, স্ট্রেংথ অব ম্যাটেরিয়ালস্ ইত্যাদি।
মেকালিক্যাল টেকনোলজির শপ ও ল্যাব সমূহ
- মেশিন শপ
- ওয়েল্ডিং শপ
- মেটাল শপ
- ফাউন্ড্রি শপ
- টেস্টিং ল্যাব
উল্লেখ্য যে, প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে কিছু তথ্য একই থাকে। যার প্রদান কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ হয় বলে। তাই নিচের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো একটি মাত্র ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে রাখা হয়েছে যেন, যে কেউ খুব সহজে তথ্যগুলো পেতে পারে এবং একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত পেয়ে যায়। যেমন, শিক্ষা ব্যবস্থা, কোটা পদ্ধতি, বৃত্তি, সরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ, ক্লাসের সময়সূচি, ভর্তির যোগ্যতা, কোর্সের সময়সীমা, গ্রেডিং সিস্টেম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা। তাছাড়া আরও জানতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবিধান দেখুন।
লিমা খাতুন, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, তেজগাঁও, ঢাকা, প্রকাশ-২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,
<https://abhinoboschool.com/কুমিল্লা-পলিটেকনিক-ইনস্টিটিউট/>
কুমিল্লা পলিটেকনিক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর লাইব্রেরী আছে কি?
হ্যাঁ, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ৫০,০০০ বই সমৃদ্ধ একটি বিশাল লাইব্রেরী রয়েছে। শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি থেকে বই ধার নেওয়ার পাশাপাশি জার্নাল এবং অন্যান্য রিসোর্স সংগ্রহ করতে পারে।
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর খেলার মাঠ আছে কি?
হ্যাঁ, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি খেলার মাঠ রয়েছে। এখানে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ আছে।